'পায়ে পড়ি, চাকরি চলে যাবে আমার...' বার বার বলতে থাকেন GRP, পরমুহূর্তে তরুণী যা করে বসলেন, কনস্টেবলের ছুটল ঘাম!

ট্রেনে চড়ে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছে থাকেন। গণপরিবহনের মধ্যে এই একটি মাধ্যমেই সবচেয়ে সহজে, নির্ঝঞ্ঝাটে ও কম খরচে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। আবার অনেকেই এই ট্রেন যাত্রাকে অত্যন্ত নিরাপদও মনে করেন।

দীর্ঘ পথে ট্রেনের কামরায় সহজেই যেমন পাওয়া যায় খাওয়ার ও জলের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস। আবার এসি কোচে থাকে হয় বিছানা বালিশ ও তোয়ালের মতো রাত কাটানোর ব্যবস্থাও।কিন্তু এত কিছুর পরেও ঘটে যায় এমন অনেক ঘটনা যা দেখলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।

সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তুলেছে। ঠিক কী ঘটেছিল ট্রেনের কামরায়? শুনলে শিউরে উঠবেন। আপনি যদি একা ট্রেনে ভ্রমণ করেন তাহলে এই পুরো ঘটনাটি অবশ্যই জানুন।

ঘটনাটি ঘটে ১৪ অগাস্ট রাতে। এক ছাত্রী দিল্লি থেকে ট্রেনে চড়ে ফিরছিল। ঠিক সেই সময় ইউনিফর্ম পরা এক কনস্টেবল আচমকা তাঁকে বাজে ভাবে স্পর্শ করে। শুধু তাই নয় রীতিমতো অশালীন আচরণ শুরু করে দেয় ওই জিআরপি কনস্টেবল।

ছাত্রীটি বার্থে ঘুমাচ্ছিলেন। আচমকা এই ব্যবহারে জেগে উঠে প্রতিবাদ করলে ভয় পেয়ে যায় ওই কনস্টেবল। ভয় পেয়ে গিয়ে দৌড়ে পালাতে শুরু করে দেয় ওই জিআরপি।

ছাত্রীটি এরপরেই ভিডিও করতে শুরু করেন। তাঁকে ভিডিও করতে দেখে পাশে বসা মহিলা যাত্রী যখন বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তখন অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁর সামনে এসে তাঁর কাছেও ক্ষমা চাইতে শুরু করেন।

ট্রেনটি ততক্ষণে কানপুরে পৌঁছয়। ছাত্রীটি অবশ্য এই অশালীন আচরণ মোটেই ক্ষমা করেননি। বরং এরপরেই রেল হেল্পলাইন ১৩৯-এ অভিযোগ দায়ের করেন ওই ছাত্রী।

যদিও হাতেনাতে ধরা পড়ার পর, অভিযুক্ত হাতজোড় করে ক্ষমা চাইতে শুরু করে এবং বার বার বলতে থাকে, 'আমাকে ক্ষমা করে দাও, নইলে আমি আমার চাকরি হারাব।' পুরো ঘটনার একটি ভিডিও তৈরি করেন ওই ছাত্রী। যা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পরে।

ছাত্রীর অভিযোগ, মধ্যরাতে সিটে ঘুমন্ত মেয়েটির সঙ্গেই নোংরা আচরণ শুরু করেন এসকর্ট ডিউটিতে নিযুক্ত জিআরপি কনস্টেবল আশীষ গুপ্ত। টের পেতেই ঘুম থেকে উঠেই মেয়েটি প্রতিবাদ শুরু করে।

ইতিমধ্যেই অভিযুক্তের শনাক্তকরণ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে অভিযুক্তের নাম আশীষ গুপ্ত এবং তিনি প্রয়াগরাজ জিআরপি থানায় কর্মরত। অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর, তাকে সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করা হয়। মামলার তদন্ত সিও জিআরপি প্রয়াগরাজের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।