Indian Railways: কেটে নিলে অসুবিধা নেই, কিন্তু গোটা 'এই' ফল নিয়ে ভুলেও ট্রেনে চড়বেন না, ধরা পড়লে জেল-জরিমানা নিশ্চিত, কোন ফল জানেন?

*ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেলওয়ে নেটওয়ার্ক। এটি যাত্রীদের আরামদায়ক, সময়নিষ্ঠ যাত্রা নিশ্চিত করে। তবে নিরাপদ ও সহজে ট্রেন ভ্রমণের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কিছু নিয়ম প্রণয়ন করেছে। এই নিয়মগুলি বেশিরভাগই যাত্রীদের জানা নয়, তবে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য এগুলি অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। আপনি কি জানেন ট্রেনে কিছু জিনিস নিয়ে যাওয়া একেবারে অপরাধ? ফলে মোটা অঙ্কের জরিমানা বা কারাদণ্ড হতে পারে।

*আপনি নিশ্চয়ই জীবনের কোনও না কোনও সময়ে ট্রেনে চড়েছেন। কিন্তু জানেন কী, রেলের নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনে কোনও পণ্য বহন একেবারে নিষিদ্ধ? ট্রেনে চড়তে গেলে কোন কোন জিনিস নিলে জেলে যেতে হতে পারে? আপনি যদি এই নিয়মগুলি সম্পর্কে সচেতন না হন তবে আপনাকে অযথা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হতে পারে। সুতরাং, আপনি যদি এই তথ্য সম্পর্কে সচেতন না হন, তবে অবিলম্বে জানুন...

*আমরা সকলেই জানি ট্রেনের লাগেজে গ্যাস সিলিন্ডার, দাহ্য রাসায়নিক, আতশবাজি, অ্যাসিড, চামড়া বা ভেজা চামড়া, গ্রিজ, সিগারেট, বিস্ফোরক নেওয়া যায় না। এ ব্যাপারে রেলের কড়া নিয়মকানুন রয়েছে। যাইহোক, এই তালিকাটি এখানেই শেষ নয়, এই তালিকায় আরও একটি জিনিস রয়েছে, যার জন্য আপনাকে জেলে টেনে নিয়ে যাওয়া অস্বাভাবিক হবে না। ট্রেনে খুব সাধারণ কোনও বস্তু বহন করলে আপনার জীবনে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

*ভারতীয়দের খুব প্রিয় একটি ফলের ক্ষেত্রে একটি কঠোর নিয়ম রয়েছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, ট্রেনে কোনও নির্দিষ্ট ফল বহন করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই নিয়ম অমান্যকারী যাত্রীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। নিয়ম অনুযায়ী, ট্রেনে কোনও যাত্রী মদ্যপান করলে গুরুতর সমস্যা হতে পারে। রেলের নিয়ম অনুযায়ী, মদ্যপ অবস্থায় বা মাদকাসক্ত অবস্থায় কোনও যাত্রী ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন না।

*১৯৮৯ সালের ভারতীয় রেলওয়ে আইনের ১৬৫ ধারা অনুযায়ী একটি কঠোর আইন তৈরি করেছে। ট্রেন বা রেল চত্বরে কোনও ব্যক্তি বা যাত্রীকে মদ্যপ অবস্থায় দেখা গেলে, ঝগড়া করলে বা অন্য যাত্রীদের হেনস্থা করতে দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে টিকিট বাতিল করা যাবে। যদি যাত্রীর রেল পাস থাকে তবে তাদের পাস বাতিল করা হতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী, এই আইন অমান্য করলে ৬ মাসের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। ৫০০ টাকা জরিমানা করা যেতে পারে।

*যদি কোনও যাত্রী তাদের সঙ্গে পোষা প্রাণী বহন করতে চান তবে তাদের বিশেষ নিয়ম রয়েছে। তবে যাদের এসি প্রথম শ্রেণির টিকিট রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ নিয়ম প্রযোজ্য। নির্দিষ্ট প্রাণী বহন করার জন্য বিশেষ অনুমতি থাকে। নিয়ম অনুযায়ী ট্রেনে গ্যাস সিলিন্ডার বহন নিষিদ্ধ; তবে জরুরি চিকিৎসা পরিস্থিতিতে, নির্দিষ্ট নির্দেশিকা অনুসরণ করে সিলিন্ডারের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। রেলওয়ে নিজেই অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে থাকে।

*রেলওয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ট্রেনে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, টয়লেট ক্লিনিং অ্যাসিড, সব ধরনের খড়, পাতা বা ওয়েস্ট পেপার, তেল, গ্রিজ ইত্যাদি বহন করা নিষিদ্ধ।

*ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ী, ফলের ক্ষেত্রে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, ফলের ক্ষেত্রে 'শুকনো নারকেল' ছাড়া বাকি সব ফল প্যাসেঞ্জার ট্রেনে বহন করা যায়। শুকনো নারকেলের বাইরের অংশ (ঘাসের মতো ফাইবারযুক্ত) জ্বলনযোগ্য বলে মনে করা হয়। এই অংশটি আগুনের ঝুঁকি বাড়ায়। সেই কারণেই ট্রেনে এই ফল বহন করা নিষিদ্ধ।

*ভারতীয় রেলের নিয়ম অনুযায়ী, ট্রেনে কোনও যাত্রী নিষিদ্ধ পণ্য নিয়ে ভ্রমণ করতে গিয়ে ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে রেলওয়ে। এক্ষেত্রে যাত্রীকে দিতে হয় ১০০ টাকা। ১০০০ টাকা জরিমানা, তিন বছরের কারাদণ্ড বা দু'বার সাজা হতে পারে। নিষিদ্ধ জিনিসপত্রের কারণে রেলের সম্পত্তির কোনও ক্ষতি হলে দোষী যাত্রীকে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।