ছেঁড়া ব্যাগটা বার বার ঢেকে রাখছিল ৫ জন..., 'কী আছে ওতে?' এগিয়ে এলেন RPF কর্মীরা! পুরো ঘটনা শুনলেই 'গা-হিম'!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Indian Railway: সেদিন আলিগড় স্টেশনে যা ঘটেছিল তা ছিল, যেন সিনেমার গল্প। বিরাট বড় আলিগড় জংশনের বাইরে একটি তেঁতুল গাছের নীচে বসেছিল পাঁচজন লোক। খোলা আকাশের নীচে একটা আবছা ছাউনি মতো বানিয়ে দিব্যি বসেছিল ওরা। সে ভাবে কারও নজরও পড়েনি ওদিকে।
advertisement
1/11

রেলওয়ে স্টেশনগুলির বেশিরভাগই মোটামুটি সারাদিনই সরগরম থাকে। ফেরিওয়ালার হাক-ডাক, মুটে-মজুরদের যাতায়াত, জিনিসপত্র ওঠানো-নামানো, যাত্রীদের কথাবার্তা-যাতায়াত এই সবের মধ্যেই এক ব্যস্তসমস্ত মেজাজ থাকে বেশিরভাগ রেলস্টেশনগুলিতেই।
advertisement
2/11
প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের আসা-যাওয়া চলে এখানে। কে আসে, কে যায়, তাদের লাগেজ কোথায়, কে তাদের লাগেজ ভুলে গেলেন, অথবা তাদের পাশে কে বসে ছিল সে সম্পর্কে কেউ খুব বেশি কিছু জানে না। মানুষ স্টেশনে যাতায়াতের পথে এতই তাড়াহুড়ো করে যে কারও কিছুই লক্ষ্য করার কথা মাথায় থাকে না। AI Generated Representative Image
advertisement
3/11
কিন্তু এরই সুযোগে অনেকেই চালিয়ে যায় এমন অনেক অশুভ কাজ-কারবার যা রীতিমতো ভয়ঙ্কর। চোর-পকেটমার যেমন চালিয়ে যায় পকেট কাটা বা জিনিসপত্র সরানোর কাজ, তেমনই বড় বড় অপরাধও সকলের চোখের সামনেই ঘটে যেতে থাকে নিমেষের মধ্যে। AI Generated Representative Image
advertisement
4/11
প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের আসা-যাওয়া চলে এখানে। কে আসে, কে যায়, তাদের লাগেজ কোথায়, কে তাদের লাগেজ ভুলে গেলেন, অথবা তাদের পাশে কে বসে ছিল সে সম্পর্কে কেউ খুব বেশি কিছু জানে না। মানুষ স্টেশনে যাতায়াতের পথে এতই তাড়াহুড়ো করে যে কারও কিছুই লক্ষ্য করার কথা মাথায় থাকে না। AI Generated Representative Image
advertisement
5/11
কখনও কখনও এই চোর-ডাকাতরা ধরা পড়ে যায় স্টেশনে উপস্থিত রেল পুলিশদের হাতে, আবার কখনও কখনও তারা পুলিশের চোখে দিব্যি ধুলো দিয়ে করে ফেলে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি। কেউ কেউ তো এই ভিড়ের সুযোগে বড় অপরাধ করে এমনভাবে গা ঢাকা দেয় বছরের পর বছর ধরে তারা ধরাই পড়ে না।
advertisement
6/11
কিন্তু সেদিন আলিগড় স্টেশনে যা ঘটেছিল তা ছিল, যেন সিনেমার গল্প। বিরাট বড় আলিগড় জংশনের বাইরে একটি তেঁতুল গাছের নীচে বসেছিল পাঁচজন লোক। খোলা আকাশের নীচে একটা আবছা ছাউনি মতো বানিয়ে দিব্যি বসেছিল ওরা। সে ভাবে কারও নজরও পড়েনি ওদিকে। Representative Image
advertisement
7/11
কিন্তু বড় কাণ্ড ধরা পড়ল কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই। রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (RPF) এবং পলিটিক্যাল রেলওয়ে পুলিশ (GRP) টহল দিতে আসতেই ওই পাঁচজনের গতিবিধি একটু সন্দেহজনক মনে হয়েছিল তাঁদের। Representative Image
advertisement
8/11
সন্দেহের একটা বড় কারণ হল, দেখা যাচ্ছিল লোকগুলি বার বারই তাঁদের সঙ্গের একটি ছেঁড়া ফাটা ব্যাগ লুকানোর চেষ্টা করছিল। একদম ছেঁড়া শতছিন্ন একটা ব্যাগ নিয়ে ওই পাঁচজনের ওমন লুকোছাপা কিন্তু ঠিক ঠেকল না সিআরপিএফ-বাহিনীর জওয়ানদের চোখে। Representative Image
advertisement
9/11
স্টেশনে থাকা আরপিএফ কর্মীরা তাদের দিকে এগিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, 'কী আছে এতে?' লোকগুলি বলল কিছুই নেই। ফাঁকা। কিন্তু হঠাৎ, এই সময় আচমকাই সেই ছেঁড়া ব্যাগ থেকে একটি সোনার আংটি পড়ে গেল... আর তারপরই ধরা পড়ল আসল কীর্তি। Representative Image
advertisement
10/11
তদন্তে কী পাওয়া গেল?এরপর যখনই ওই পাঁচজনকে তল্লাশি করা শুরু হয় চোখ কপালে ওঠে সিআরপিএফ জওয়ানদের। ব্যাগ থেকে একের পর এক বেরিয়ে আসে দুটি সোনার আংটি, দুটি চুড়ি, একটি টপ, একটি লকেট, এক জোড়া কানের দুল, আরও এক জোড়া কানের দুল, একটি ব্রেসলেট, তিন জোড়া রূপার নুপুর, দুই জোড়া জুতো এবং একটি চেন! এই সমস্ত গয়নার দাম আনুমানিক প্রায় ১০ লক্ষ ১০ হাজার টাকা বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
11/11
জানা যায়, ধৃত ওই পাঁচজন অভিযুক্তের নাম পঙ্কজ, নবাব, ভগবতী, প্রসাদ এবং যাদুরাম। ওরা স্বীকারও করে নেন যাত্রীদের লাগেজ চুরি করেই এইসব নামি দামি জিনিস জড়ো করেছে তাড়া। মজার ব্যাপার হল, এই চোরদের বিরুদ্ধে আগেই স্টেশন এবং ট্রেন থেকে চুরির অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় আলিগড় জিআরপি ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
ছেঁড়া ব্যাগটা বার বার ঢেকে রাখছিল ৫ জন..., 'কী আছে ওতে?' এগিয়ে এলেন RPF কর্মীরা! পুরো ঘটনা শুনলেই 'গা-হিম'!