AC কামরার টিকিট কেটেছিলেন, স্টেশনে পৌঁছেই দেখলেন 'কোচ'টাই উধাও...! তার পর?

শীতকালে কুয়াশার কারণে ট্রেন দেরি হওয়া স্বাভাবিক। শীতকালে ট্রেন বা কোচে কারিগরি সমস্যাও দেখা যায়। তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জয়পুর জংশনে একটি অদ্ভুত ঘটনা সামনে আসে।

জয়পুর থেকে জয়সলমীর চলাচলকারী লীলন এক্সপ্রেস (১২৪৬৮)-এ ভ্রমণ করতে আসা ৬৪ জন যাত্রী তাঁদের এসি কোচ পাননি। ট্রেনে BE-1 (তৃতীয় এসি) কোচ লাগানোই হয়নি। যাত্রীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন।

এরপর একজন যাত্রীর নজর পড়ে একটি নন-এসি কোচে, যেখানে BE-1/SL লেখা ছিল। ভিতরে গিয়ে তিনি দেখেন এটি একটি স্লিপার কোচ, এসি কোচ নয়। যাত্রীরা হইচই শুরু করে দেন।

উত্তেজনা বাড়তে দেখে রেল কর্মকর্তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারা কোনোভাবে ক্ষুব্ধ যাত্রীদের শান্ত করার চেষ্টা করেন। পরে রেলের পক্ষ থেকে যাত্রীদের একটি বার্তা পাঠানো হয়, যাতে বলা হয় যে তৃতীয় এসি কোচের সুবিধা পাওয়া যাবে না এবং তাদের স্লিপার কোচে ভ্রমণ করতে হবে।

তৃতীয় এসি টিকিট ইস্যু করা হল, কিন্তু যাত্রীরা কোচ পেলেন না, এটা কী ভাবে সম্ভব? এ নিয়ে ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়।

জানা যায়, এক মাস আগে রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেন থেকে এসি কোচ সরিয়ে দেয়, কিন্তু এটি সিস্টেম থেকে সরানো হয়নি এবং টিকিট ইস্যু করা হয়। ডিসেম্বর মাসে রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেনে অতিরিক্ত ভিড়ের কথা মাথায় রেখে একটি অস্থায়ী তৃতীয় এসি কোচ লাগিয়েছিল। এটি ১ জানুয়ারির পরে সরিয়ে দেওয়া হয়, কিন্তু সিস্টেম আপডেট না হওয়ায় ২ জানুয়ারির জন্য ৬৪ জন যাত্রীর বুকিং গ্রহণ করা হয়।

পরবর্তীতে এই ভুলটি আবিষ্কার হলে অন্য একটি তৃতীয় এসি কোচ পাওয়ার চেষ্টা করা হয়, কিন্তু জয়পুরে তৃতীয় এসি কোচ উপলব্ধ ছিল না। এই পরিস্থিতিতে, রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের বার্তার মাধ্যমে জানায়। যাত্রীদের শীতের রাতে স্লিপার কোচে ১০ ঘণ্টা ভ্রমণ করতে হয়।

রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে যাত্রীদের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরতের বিকল্প এবং ভাড়ার পার্থক্যের জন্য TDR দেওয়া হবে।