Husband Wife Chaos on Wedding Night: বিয়ের রাতে 'স্পর্শ' ফিরিয়ে দেন স্বামী! গোপন সত্যিটা জানার পর ভয়ঙ্কর পরিণতি, নববিবাহিতা তারপর যা করলেন! চমকে যাবেন পুরোটা জানলে...

ভাবুন তো, নতুন জীবনের এক সুখের অধ্যায় শুরু হওয়ার কথা ছিল, সেখানে শুরু হল দুঃস্বপ্নের মতো এক রাত। বিয়ের পরে কনে যখন ভালোবাসা ও সঙ্গ প্রত্যাশা করে স্বামীর জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তখন কিছুক্ষণ পর ঘরে প্রবেশ করেন বর। নববধূ আন্তরিকভাবে তাঁকে গ্রহণ করতে গেলে আচমকা পরিস্থিতির মোড় ঘুরে যায়।

যখন নববধূ আলতো করে স্বামীর হাত ধরতে যান, তিনি রেগে গিয়ে হাত সরিয়ে নেন। কনেটি হতবাক হয়ে পড়েন এবং কিছু সময় পর উপলব্ধি করেন—স্বামী যৌনক্ষম নন, এবং এই বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছিল।

এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে কানপুরে। নববধূর অভিযোগ, যৌন অক্ষমতা গোপন রেখে তাঁকে ঠকিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুধু পণের জন্য।

রাওয়াটপুরের বাসিন্দা ওই তরুণীর বিয়ে হয় ২০২৪ সালের মার্চ মাসে, উন্নাও জেলার এক যুবকের সঙ্গে। বিয়ের রাতেই তিনি স্বামীর সমস্যা বুঝে যান। পরদিন সকালে জেঠির কাছে বিষয়টি বলেন, কিন্তু তিনি হাস্যকরভাবে উড়িয়ে দেন।

পুনরায় কথা তুলতেই শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে অবজ্ঞা করতে থাকেন। এক পর্যায়ে স্বীকার করেন যে তারা বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন এবং বলেন, এই বিয়ে শুধুই পণ আদায়ের জন্য হয়েছে। স্বামীর চিকিৎসার প্রস্তাব দিলে নববধূর কাছে ২ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়।

নববধূ এরপরও সব কিছু ঠিক হওয়ার আশায় শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন। কিন্তু এরপর শুরু হয় শ্লীলতাহানির চেষ্টা। অভিযোগ, বড় দেওর তার উপর অশোভন আচরণ শুরু করে। প্রতিবাদ করতেই শুরু হয় মারধর।

অবস্থা এতটাই খারাপ হয় যে, একদিন তাঁর বাবা-মা এসে দেখা করতে এলে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা হয়। অভিযোগ, তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করা হয়েছিল, যাতে সে আর কিছু প্রকাশ করতে না পারে।

অবশেষে, নির্যাতিতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে স্বামী, বড় দেওর এবং জেঠির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রুজু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।