TRENDING:

গভীর নদীর মাঝে কীভাবে বানানো হয় সেতু? জীবন ঝুঁকি নিয়ে কীভাবে কাজ করেন শ্রমিকরা? বিষয়টি জানলে আঁতকে উঠবেন

Last Updated:
নদীর ওপর সেতু নির্মাণের মূল প্রযুক্তি হল ‘কফারড্যাম’ (Cofferdam) — এটি এক ধরনের অস্থায়ী জলরোধী কাঠামো, যা নদীর জল আটকে ভেতরে একটি শুকনো এলাকা তৈরি করে
advertisement
1/7
গভীর নদীর মাঝে কীভাবে বানানো হয় সেতু? জীবন ঝুঁকি নিয়ে কীভাবে কাজ করেন শ্রমিকরা?
আজকের যুগে রাজপথ ও রেলসেতুর যুগ। দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নদীর ওপর সেতু তৈরি হচ্ছে, ফলে যাতায়াত আরও সহজ হয়েছে। কিন্তু জানেন কি, এই সেতুগুলির ভিত্তি বা পিলারগুলো নদীর গভীর জলে কীভাবে তৈরি হয়? জমিতে যেমন খনন করে পিলার বসানো সহজ, নদীর দ্রুত স্রোত ও গভীরতা সেই কাজকে করে তোলে ভীষণ বিপজ্জনক। শ্রমিকরা বলেন, সামান্য ভুল মানেই ভেসে যাওয়া — তাই কাজের সময় আতঙ্ক তাদের সঙ্গী।
advertisement
2/7
নদীর ওপর সেতু নির্মাণের মূল প্রযুক্তি হল ‘কফারড্যাম’ (Cofferdam) — এটি এক ধরনের অস্থায়ী জলরোধী কাঠামো, যা নদীর জল আটকে ভেতরে একটি শুকনো এলাকা তৈরি করে, যেখানে ভিত্তি বসানোর কাজ করা যায়। প্রথমে সার্ভে করে নদীর গভীরতা, মাটির শক্তি ও স্রোতের গতি মাপা হয়। তারপর ডিজাইন ঠিক হয় — কতগুলো পিলার লাগবে, কতটা গভীরে বসাতে হবে ইত্যাদি।
advertisement
3/7
কফারড্যাম তৈরিতে ব্যবহৃত হয় পাতলা ও মোটা ইস্পাতের চাদর বা 'শিট পাইল’ (Sheet Pile), যার দৈর্ঘ্য ১০ থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত হতে পারে। এগুলো হাইড্রোলিক হ্যামার বা ভাইব্রেটরের সাহায্যে নদীর তলদেশে পোঁতা হয়। একটির সঙ্গে আরেকটি ইন্টারলক করে ঘিরে তৈরি করা হয় বৃত্তাকার বা চৌকো প্রাচীর — যাতে বাইরে থেকে জল ঢুকতে না পারে।
advertisement
4/7
এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছিল ভারতের বোম্বে হাইকোর্টের কাছের থানে ক্রিক সেতুতে (Thane Creek Bridge)। প্রকৌশলীরা জানান, শিট পাইল বসানোর সময়ের কম্পনে নদীর মাছগুলো দূরে সরে যায়। শ্রমিকদের অবশ্য বাধ্যতামূলকভাবে হেলমেট ও লাইফ জ্যাকেট পরে কাজ করতে হয়।
advertisement
5/7
প্রাচীর প্রস্তুত হলে শুরু হয় আসল কাজ — ভেতরের জল পাম্প করে বের করে দেওয়া। বিশাল আকারের পাম্প ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলে, এবং জল ফের নদীতেই ছেড়ে দেওয়া হয় যাতে পরিবেশের ক্ষতি না হয়। একবার এলাকা শুকিয়ে গেলে শ্রমিকরা নিচে নামে — কখনও মই দিয়ে, কখনও ক্রেনের সাহায্যে।
advertisement
6/7
এইভাবেই নদীর বুকে তৈরি হয় এক একটি সেতুর মজবুত ভিত্তি — যা পরে কোটি কোটি মানুষের জীবনকে করে তোলে আরও সহজ ও গতিময়।
advertisement
7/7
প্রথমে বালি, কাদা এবং পাথর সরিয়ে ফেলা হয়। যদি দেখা যায় মাটি দুর্বল তাহলে নদী বক্ষে ২০-৫০ মিটার লোহার পাইপ দিয়ে শক্ত করা হয়। এরপরে কংক্রিটের একটি কাঠামো রাখা হয়। যদি কোনও হাওয়ার বুদ্বুদ তৈরি হয় তাহলে তা সরিয়ে ফেলা হয় যার ফলে কোনও কম্পনে তা দুর্বল না হয়ে পড়ে।কিন্তু, এটা একদমই সহজ নয়, যদি কোনওভাবে ফাটল ধরে বা ভূমিকম্প আসে তাহলে সবকিছু ভেঙে পড়তে পারে। যদিও কাঠামো গুলি এমন ভাবেই তৈরি করা হয়। যাতে নদীগর্ভে জলের চাপে তা একদম বায়ুরুদ্ধ ভাবে শক্তভাবে আটকে থাকে।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
গভীর নদীর মাঝে কীভাবে বানানো হয় সেতু? জীবন ঝুঁকি নিয়ে কীভাবে কাজ করেন শ্রমিকরা? বিষয়টি জানলে আঁতকে উঠবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল