Pon Festival: পোন উৎসবের বিশেষ রীতি, যৌনমিলনে অচেনা পুরুষের সঙ্গে মাতেন বাড়ির বউরা!
- Published by:Pooja Basu
- news18 bangla
Last Updated:
Physical Intimacy at Indonesia Pon Festival: ইন্দোনেশিয়ার বিশেষ উৎসব পোন৷ যা বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে৷
advertisement
1/5

ইন্দোনেশিয়ায় একটি অদ্ভুত ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে প্রতি বছর নারীরা অচেনা পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক লিপ্ত হন। এই সম্পর্কের বিষয়ে বিবাহিত মহিলাদের স্বামীরাও অবগত থাকেন। তাদের এই রীতি বহু পুরনো।
advertisement
2/5
ইন্দোনেশিয়ার পোন উৎসবের সময়, বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ কেমুকাস পর্বতে পৌঁছন। এখানে মহিলারা একজন অচেনা ব্যক্তিকে খোঁজেন এবং তারপর তার সঙ্গে সঙ্গম করেন৷ এই উৎসবের রীতি অনুযায়ী প্রতি ৩৫ দিন পরপর এই ভাবে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হতে হয়৷ এবং তা ৭বার পূরণ করতে হয়ে৷ এভাবেই এই বিশেষ অনুষ্ঠানের রীতি সম্পন্ন হয়৷
advertisement
3/5
এই ঐতিহ্যের পিছনে রয়েছে এক বিশেষ ইতিহাস৷ ষোড়শ শতাব্দীতে জাবায় পাঙ্গেরান সামোদ্রো নামে একজন রাজা ছিলেন। তিনি তাঁর সৎ মা নাই ওনট্রোভুলানের প্রতি মোহগ্রস্ত ছিলেন। তাঁরা সোলো-তে পালিয়ে যান৷ এক রাতে দু’জনে যখন রতিক্রিয়ায় মত্ত, তখন দু’জনেই খুন হন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে পাঞ্জেরান সামোদ্রো এবং নয়ি অন্ট্রভুলান মৃত্যুর আগে যে মিলন সম্পূর্ণ করতে পারেনি, সেই কাজটিই সম্পন্ন করেন গ্রামের মহিলারা৷ এটাও বিশ্বাস করা হয় যে এর মাধ্যমে সব অশান্তি ও ঝামেলা শেষ হয় এবং বাড়িতে সমৃদ্ধি আসে।
advertisement
4/5
এমনও একটি বিশ্বাস রয়েছে যে প্যাঙ্গেরান সামোদ্রো এবং নয়ি অন্ট্রভুলান শারীরিক সম্পর্ক করে পাপ করেছিলেন কারণ তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল মা ও ছেলের। যদি কোন মহিলা বা পুরুষ অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে সহবাস করেন তবে তিনিও পাপ করছেন। এবং এই 'পাপ' কর্মের ফলে সামোদ্রো এবং অন্ট্রভুলান তাঁদের আশীর্বাদ করছেন৷ যা সাধারণ গ্রামের মহিলাদের জীবনে সুখ-শান্তি বয়ে নিয়ে আসবে৷ ফলে এই পাপ আখেরে পুণ্য ডেকে নিয়ে আসবে তাঁদের জীবনে৷
advertisement
5/5
জাভার সোলো গ্রামে কেমুকাস পর্বতে পোন উৎসব উদযাপিত হয়। এখানে আসা লোকেরা প্রথমে প্যাঙ্গেরান সামোদ্রো এবং নাই ওনট্রোভুলানের সমাধিতে ফুল দিয়ে পুজো করেন। তারপর পুকুরে স্নান করার পর সঙ্গীর সঙ্গে যৌনমিলন করেন। এভাবেই উৎসবের বিশেষ রীতি পালন হয়৷
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
Pon Festival: পোন উৎসবের বিশেষ রীতি, যৌনমিলনে অচেনা পুরুষের সঙ্গে মাতেন বাড়ির বউরা!