পোশাক পরেন না ভারতের এই গ্রামের নারীরা, বাক্যালাপ করেন না দম্পতি! এই অদ্ভুত প্রথার চল হল কীভাবে?
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Himachal Pradesh Nude Women Village: লোকবিশ্বাস, যে নারী এই প্রথা পালন করবেন না, তিনি স্বল্পকালমধ্যেই দুঃসংবাদ পাবেন। ফলে, এই সময়কালে পিনি গ্রামে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ।
advertisement
1/5

অরণ্যচারী আদিম মানব-মানবী পোশাকের ব্যবহার শুরু করেছিল লজ্জা নিবারণের জন্য না সংবেদনশীল অঙ্গ সুরক্ষিত রাখার জন্য- তা নিয়ে বিতর্ক চলতেই পারে। তবে, আধুনিক গোষ্ঠীবদ্ধ সমাজে পোশাক পরাটাই দস্তুর, প্রয়োজনে তার কিছু অংশ অনাবৃত রেখে তৈরি হয় ফ্যাশনের নিত্য নতুন সংজ্ঞা। ন্যুডিস্ট কলোনি অবশ্য আছে বিশ্বের কিছু দেশে। কিন্তু আমাদের দেশে তেমন কিছুর অস্তিত্বের কথা কেউ জানেন না। তাহলে ভারতের হিমাচল প্রদেশের মণিকর্ণ উপত্যকার পিনি গ্রামে নারীদের পোশাক না পরাকে কোন সংজ্ঞায় বাঁধা যেতে পারে? Representative Image
advertisement
2/5
তার নাম ঐতিহ্য। ভারত এক ধ্রুপদী দেশ, এর নানা আচার-অনুষ্ঠান যুগ-যুগান্তরের ঐতিহ্যের তারে এখনও জড়িয়ে আছে সমাজে আর তার বাসিন্দাদের মননে। পিনি গ্রামের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ঠিক সে রকম। তবে, সারা বছর নয়, পিনি গ্রামের নারীরা অঙ্গে পোশাক ধারণ করেন না কেবল বছরের পাঁচটি দিনে। এই পাঁচ দিন তাঁরা স্বামীর থেকে দূরে থাকেন। কথা বলেন না তাঁর সঙ্গে। এমনকী, দৈবাৎ দেখা হয়ে গেলে হাসেন না পর্যন্ত। সঙ্গত কারণেই মনে প্রশ্ন জাগে- এই বিস্ময়কর প্রথার জন্ম হল কীভাবে?
advertisement
3/5
সেই রহস্য উদঘাটন করেন এক হিমাচলি লোককথা। বলা হয় যে, কোনও এক কালে পিনি গ্রাম অসুরের উপদ্রবে আতঙ্কে দিন কাটাত। সুসজ্জিতা নারীদের অসুরেরা হরণ করে নিয়ে যেত। এমতাবস্থায় গ্রামে আবির্ভবত হন দেবতা লাহুয়া ঘোঁদ, অসুর বধ করে তিনি গ্রামজীবনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করেন। একই সঙ্গে বিধান দেন দেবতা- যাতে এই সমস্যার আর পড়তে না হয়, সেই জন্য নারীদের পোশাক না পরা, সুন্দর সাজ ধারণ না করাই বাঞ্ছনীয়। Representative Image
advertisement
4/5
সেই শুরু। এখনও লাহুয়া ঘোঁদের সম্মানার্থে এই প্রথার পালন করে আসছেন পিনি গ্রামবাসী। বর্তমানে শ্রাবণ মাসের পাঁচ দিন কেবল এই প্রথার পালন করেন নারীরা। এই সময়ে তাঁরা ঘর থেকে বের হন না। স্বামী সহবাস বর্জনীয়, তাই পুরুষরা তাঁদের স্ত্রীদের থেকে দূরে অন্যত্র থাকেন। তাঁরা এই পাঁচ দিন নিজেদের মধ্যে কোনও যোগাযোগ রাখেন না, যাতে চিত্তচাঞ্চল্য না আসে। তবে শুধুই নারী নয়, শ্রাবণের এই পাঁচ দিন কৃচ্ছসাধন করেন পুরুষেরাও- তাঁদের সংযম রক্ষার পাশাপাশি মদ এবং মাংস গ্রহণ করা চলে না। Representative Image
advertisement
5/5
লোকবিশ্বাস, যে নারী এই প্রথা পালন করবেন না, তিনি স্বল্পকালমধ্যেই দুঃসংবাদ পাবেন। ফলে, এই সময়কালে পিনি গ্রামে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ। Representative Image
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
পোশাক পরেন না ভারতের এই গ্রামের নারীরা, বাক্যালাপ করেন না দম্পতি! এই অদ্ভুত প্রথার চল হল কীভাবে?