GK Safest Countries During World War: বিশ্বযুদ্ধ লাগলে কোন দেশে থাকা সবচেয়ে সুরক্ষিত জানেন! ৯৯% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তরটি...

বিশ্বে ইরান-ইজরায়েল সংঘাত থামার কোনো লক্ষণ না দেখাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর অন্তর্বর্তী শান্তি চুক্তিও রদ্দ হয়েছিল, বিশ্ব ভাবছে—যদি যুদ্ধ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে, তবে কোথায় নিরাপদ থাকা যায়? যে দেশগুলির কথা প্রথমে চলে আসবে জানুন...

আইসল্যান্ড ১৭ বছর ধরে গ্লোবাল পিস ইনডেক্সে প্রথম সারিতে রয়েছে। ভূ-রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ, কখনোও কোনও যুদ্ধে অংশ নেয়নি আর প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী ভূখণ্ডের কারণে যুদ্ধবিরোধী শক্তির জন্য লক্ষ্যবস্তু নয়।

নিউজিল্যান্ড শান্তি সূচকে চতুর্থ স্থান অধিকারী, নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করে এবং জোরালো ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতায় অবস্থিত। প্রকৃতিতে পরিপূর্ণ, যুদ্ধক্ষেত্রে উচ্চ ঝুঁকি নেই।

সুইজারল্যান্ড দীর্ঘদিন ধৈর্যশীল নিরপেক্ষ অবস্থান পালন করছে। গভীর পাহাড়, কঠিন ভূগঠন, এবং সিভিল শেল্টার তাদের যুদ্ধকালীন নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। শান্তি সূচকে ষষ্ঠ স্থান পাওয়া এটা স্পষ্ট করে।

গ্রীনল্যান্ড রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ ও জনসংখ্যা বিরল (প্রায় ৫৬ হাজার), সংস্কারহীন এলাকায় অবস্থিত। বৃহৎ যুদ্ধে লক্ষ্যবস্তু হওয়ার সম্ভাবনা নিম্ন।

ইন্দোনেশিয়া স্বাধীন ও বহির্বিশ্বনীতি অনুসরণ করে। বৃহত্তর সামরিক জটিলতায় নিজেদের যুক্ত না করাই তাদের নিরাপত্তা বাড়ায়।

টুভালু মাত্র ১১ হাজার মানুষ বসবাসরত, প্রশান্ত মহাসাগরের এক ছোট থেকেও সুদূর দ্বীপ। একে সেনাবাহী জমি হিসেবে ব্যবহার করা কঠিন, তাই লক্ষ্যবস্তু হবার সম্ভাবনা কম।

আর্জেন্টিনা গমসহ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ। পারমাণবিক যুদ্ধের সময় খাদ্য সংকটে পড়ার কোনও সুযোগই নেই।

ভুটান: ১৯৭১ থেকে নিরপেক্ষ, পাহাড়ি দেশ হিসেবে প্রাকৃতিক বাধাদিয়ে সুরক্ষিত। চিলি: দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত ও খাদ্য উৎপাদনশীলতার কারণে যুদ্ধের চাপ সহ্য করার ক্ষমতা আছে। ফিজি: অস্ট্রেলিয়া থেকে দূরে, বড় সামরিক বাহিনী নেই, ঘন বন ও নৈসর্গিক উপকরণ থাকার কারণে নিরাপদ।

দক্ষিণ আফ্রিকা: উর্বর ভূমি ও আধুনিক পরিকাঠামোর কারণে খাদ্য নিরাপত্তা কঠিন পরিস্থিতিতেও বজায় রাখা সম্ভব। অ্যান্টার্কটিকা: দূর দক্ষিণে অবস্থিত আর কোনো আগ্রাসী শক্তি নেই। বিশাল জমির মাঝে আশ্রয়ের সুযোগ থাকলেও অত্যন্ত শীতল আবহাওয়ার কারণে জীবিত থাকা কঠিন।

এগুলোকে মাথায় রেখে বলা যায়, বিশ্বযুদ্ধের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতিতে এই দেশগুলোতে আশ্রয় নেওয়া তুলনামূলকভাবে নিরাপদ হতে পারে।