টি-শার্টের 'T' শব্দের 'অর্থ' কী জানেন...? প্রশ্ন শুনেই ভ্যাবাচ্যাঁকা খাচ্ছেন, চমকে দেবে 'উত্তর'!

আমরা জানি যে যেকোনও চাকরি ক্ষেত্রেই সাধারণ জ্ঞান সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। চাকরির পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞানের এমন অনেক প্রশ্ন থাকে যেগুলি বিষয় বহিভূত অথচ আমরা সেগুলি নিয়ে খুব একটা ভাবি না বলেই উত্তর নিয়েও মাথা ঘামাই না।

আবার প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাতে সেই সব উত্তরই হয়ে উঠতে পারে তুরুপের তাস। আপনিও যদি এই মুহূর্তে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাহলে এমনই কিছু সাধারণ জ্ঞান জানা আবশ্যক যার উত্তর খুঁজতে গেলেই ভাবাচ্যাঁকা খেয়ে যেতে হয়।

আমরা অনেক নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহার করি, কিন্তু সেগুলো সম্পর্কে আমাদের কাছে প্রাথমিক তথ্যই সেভাবে থাকে না। এরকম অনেক জিনিস হয়তো আপনার বাড়িতে, আলমারিতে লুকিয়ে থাকে, অথবা আপনি হয়তো প্রায় প্রতিদিনই ব্যবহার করে থাকেন, কিন্তু সেগুলি সম্পর্কে কিছুই জানেন না।

এমনই একটি জিনিস হল টি-শার্ট। আজকাল শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, পুরুষ থেকে মহিলা সকলেই এই ট্রেন্ডি পোশাকটি পরে থাকেন। মানুষ টি শার্ট পরতে পছন্দ করে কারণ এগুলো ব্যবহারের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক, আবার বেশ হালকা। কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় টি-শার্টে "T" বলতে আদৌ কী বোঝায়?

টি-শার্ট নিঃসন্দেহে অত্যন্ত আরামদায়ক একটি পোশাক। এই জামা পরা বা খোলা খুবই সহজ এবং যে কোনও ভাবে এটি ভাঁজ করা যায়, কিন্তু শার্টের তুলনায় এগুলি ভাঁজ করা বেশি সহজ। আবার ভাঁজ করতে গেলে সহজে কুঁচকে যায় না এটি।

কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন কেন "T" শার্ট এই শব্দটির সামনে একটা "T" যুক্ত করা হয়? নিশ্চই এবার প্রশ্ন শুনে মাথা চুলকাচ্ছেন? তাহলে আজ এই প্রতিবেদনে জেনে নিন এই উত্তরের মধ্যে লুকিয়ে থাকা দুটি আকর্ষণীয় গল্প। শুনলেই চমকে উঠবেন আপনি!

ফ্যাশন বিশেষজ্ঞদের মতে, টি-শার্টটি তৈরি করা খুবই সহজ। এর কলার নেই। এর হাতা সোজা এবং এটি শরীরের আকৃতির সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই। সামনে বা পিছন থেকে দেখলে এটি ইংরেজির "T" অক্ষরের মতোই দেখায়। তাই, ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা নাকি এর নাম দেন, "টি-শার্ট"।

এদিকে, ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান অনুসারে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকান সৈন্যরা প্রশিক্ষণের সময় হালকা এবং আরামদায়ক শার্ট পরতেন। সেই সময়ে, এগুলিকে "প্রশিক্ষণ শার্ট" বা "ট্রেনিং শার্ট" বলা হত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, এগুলিকে ছোট করে টি-শার্ট বলে আখ্যা দেওয়া হয়।

বলা হয়, ১৯১৩ সালের দিকে মার্কিন নৌবাহিনী তাঁদের সেনাদের জন্য টি-শার্ট তৈরি শুরু করেন।এই বিশেষ ধরণের শার্টগুলি এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে তাঁদের বুকের লোম তাদের ইউনিফর্মের শক্ত কাপড় স্পর্শ না করে। এর ফলেই ইউনিফর্মের নীচে সুতি বা হালকা ওজনের টি-শার্ট ব্যবহার শুরু হয়।

ডিসক্লেইমার: এই খবরের সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্য নিউজ 18 বাংলা নিশ্চিত করে না। বিশেষত আপনার সাধারণ জ্ঞান বৃদ্ধি করাই আমাদের এই প্রতিবেদনের মূল উদ্দেশ্য। আমরা বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার জন্য এই ধরনের তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছি। এই সংক্রান্ত চূড়ান্ত জ্ঞানের জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের মত নেওয়া কাম্য।