ফ্লাইটে একেবারেই নিষিদ্ধ! পাইলট ও এয়ারহোস্টেসরা করতে পারেন না কোনও দিন! কারণ জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
বিমানে উঠলেই চারপাশে একটা হালকা সুবাস টের পান? ভাবেন হয়তো এয়ার হোস্টেসের পারফিউম! কিন্তু জানেন কি, পাইলট আর এয়ার হোস্টেসদের জীবন কততা কঠিন? কী কী করতে পারেন না তাঁরা?
advertisement
1/12

Flight information: বিমানের পাইলট এবং বিমান সেবিকাদের নিয়ে সাধারণ মানুষের অনেক সময়েই কৌতূহল তৈরি হয়। তাঁরা যেন অন্য জগতের বাসিন্দা। সব সময়ে উড়ে চলেন। কি সুন্দর জীবন! কিন্তু জানেন, বিমানসেবিকা এবং পাইলট ভুলেও কিছু জিনিস করতে পারেন না। এগুলো বাদ হয়ে গিয়েছে তাঁদের দৈনন্দিন অভ্যাস থেকে। কী সেগুলো?
advertisement
2/12
অনেকেই বিমানে যাত্রার সময় বা যে কোনও সময়ে ফ্লাইট সংক্রান্ত নানা তথ্য জানার আগ্রহ দেখান। আজকের প্রতিবেদনে জানানো হচ্ছে সেইসব বিষয় সম্পর্কে, যা পাইলট এবং এয়ার হোস্টেসদের জন্য সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
advertisement
3/12
একজন পাইলটের প্রধান দায়িত্ব হল বিমানকে নিরাপদভাবে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া। তারা বিমান চালানোর পাশাপাশি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, নেভিগেশন, কমিউনিকেশন ও জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলা করেন। যোগ্যতা: পাইলট হতে গেলে কমপক্ষে ১২ পাশ করে, তারপর একটি অনুমোদিত ফ্লাইং স্কুল থেকে CPL (Commercial Pilot License) নিতে হয়। সেইসঙ্গে মানসিক ও শারীরিক ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হতে হয়। শিফটিং ওয়ার্ক: পাইলটদের কাজের সময় নির্দিষ্ট নয়। তাঁদের শিফট আন্তর্জাতিক ফ্লাইট হলে একটানা ১০–১৪ ঘণ্টা পর্যন্তও হতে পারে।
advertisement
4/12
এরপর বিশ্রামের জন্য নিয়ম অনুযায়ী সময় বরাদ্দ থাকে। চোখে সমস্যা? চশমাও চলবে! হ্যাঁ, অনেকেই ভাবেন পাইলট হতে গেলে চোখ ৬/৬ হতে হবে। আসলে কিছু লিমিটেড রেঞ্জের চোখের সমস্যা থাকলেও পাইলট হওয়া যায়, যদি তা সংশোধনযোগ্য হয়। পাইলটরা ককপিটে খাওয়া-দাওয়া করেন, কিন্তু... একই খাবার দুই পাইলটকে দেওয়া হয় না। যাতে খাদ্যে সমস্যা হলে দুজন একসঙ্গে অসুস্থ না হন।
advertisement
5/12
বিমানে ওঠার সময় আপনার মুখে যে মিষ্টি হাসি পান, সেটি শুধু সৌজন্য নয়, আত্মবিশ্বাস ও প্রশিক্ষণের প্রতিফলন। বিমানসেবিকাদের কাজ শুধু খাবার পরিবেশন নয়—জরুরি অবস্থায় যাত্রীদের জীবন রক্ষা করাও তাঁদের দায়িত্ব। যোগ্যতা: সাধারণত ১০+২ পাশ করার পর একটি স্বীকৃত ইনস্টিটিউট থেকে ট্রেনিং নিতে হয়। ইংরেজি জানা বাধ্যতামূলক, অন্য ভাষা জানা থাকলে বাড়তি সুবিধা। বয়স ও উচ্চতা: বেশিরভাগ এয়ারলাইন্স ১৮ থেকে ২৭ বছরের মধ্যেই নিয়োগ করে।
advertisement
6/12
উচ্চতার জন্য সাধারণত ১৫৫ সেমি (মেয়েদের ক্ষেত্রে) বা তার বেশি হতে হয়। ভ্রমণ কিন্তু বিলাস নয়! শুনতে গ্ল্যামারাস লাগলেও, তাঁদের কাজ দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকা, নানা টাইম জোনে ঘোরা, ও মাঝেমধ্যেই টানা শিফটে কাজ করা। হোটেলে থাকা মানেই ছুটি নয়! সেফটি ট্রেনিং মাস্ট! প্রত্যেক বিমানসেবিকাকে CPR, ফায়ার ফাইটিং, ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং, এবং ইভাকুয়েশন সম্পর্কে বিশদ প্রশিক্ষণ নিতে হয়।
advertisement
7/12
এবার জানাব, পাইলট আর এয়ারহোস্টেসদের জীবনে সীমাবদ্ধতার কথা। আপনি যদি কখনও বিমানে ভ্রমণ করে থাকেন, তাহলে হয়তো লক্ষ্য করেছেন প্লেনের ভিতরে একটি মৃদু সুগন্ধ বিরাজ করে। তবে খেয়াল করে দেখেছেন কি, যখন পাইলট বা এয়ার হোস্টেস আপনার পাশ দিয়ে যান, তখন তাঁদের শরীর থেকে কোনও পারফিউমের গন্ধ আসে না?
advertisement
8/12
ভাবেন হয়তো এয়ার হোস্টেসের পারফিউম! কিন্তু জানেন কি, পাইলট আর এয়ার হোস্টেসদের এক ফোঁটা পারফিউমও ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না? DGCA-র নিয়ম অনুযায়ী, কোনও পাইলট বা ক্রু সদস্য যদি ওষুধ গ্রহণ করেন, তাহলে তাঁকে অবশ্যই ফ্লাইট চালানোর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
advertisement
9/12
আসলে, ফ্লাইট চলাকালীন পাইলট ও এয়ার হোস্টেসদের পারফিউম ব্যবহার করা একেবারে নিষিদ্ধ। কারণ, পারফিউমের গাঢ় গন্ধ পাইলটকে বিভ্রান্ত করতে পারে, যার প্রভাব পড়তে পারে বিমান নিরাপত্তায়।
advertisement
10/12
এছাড়া, বেশিরভাগ পারফিউমেই অ্যালকোহল থাকে। পাইলটদের প্রতিটি ফ্লাইটের আগে ব্রেথ অ্যানালাইজার টেস্ট দিতে হয়। যদি কোনও পারফিউম বা অ্যালকোহল-যুক্ত পণ্য এই পরীক্ষায় প্রভাব ফেলে, তবে সংশ্লিষ্ট পাইলটকে সাময়িকভাবে বরখাস্তও করা হতে পারে।
advertisement
11/12
তাই শুধু পারফিউমই নয়, ফ্লাইট চলাকালীন পাইলট ও ক্রু সদস্যরা স্যানিটাইজার, মাউথওয়াশ, টুথপেস্ট বা যেকোনও অ্যালকোহল-যুক্ত পণ্য ব্যবহার করতে পারেন না।
advertisement
12/12
শুধু তাই নয়, বিমানের ভিতরে থাকা যাত্রীদের মধ্যেও অনেকের পারফিউমে অ্যালার্জি থাকতে পারে। অতিরিক্ত গন্ধ তাঁদের শ্বাসকষ্ট বা অস্বস্তির কারণ হতে পারে। তাই এই সতর্কতা।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
ফ্লাইটে একেবারেই নিষিদ্ধ! পাইলট ও এয়ারহোস্টেসরা করতে পারেন না কোনও দিন! কারণ জানলে মাথা ঘুরে যাবে!