রাফাল, F-35 বা সুখোই-57 নয়, ভারতের নজর এখন এই যুদ্ধবিমানের দিকে, ঢেলে সাজবে বাহিনী
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Fighter Jet News: ভারত বিদেশি কোম্পানি থেকে যুদ্ধবিমান কিনতে চায় না। কিন্তু, অন্য দিকে, ভারতীয় কোম্পানি অর্থাৎ HAL এখনও বিমান বাহিনীর চাহিদা মেটাতে সক্ষম প্রমাণিত হয়নি। তারা প্রায় ৪০ বছর ধরে তেজস যুদ্ধবিমান তৈরি করে আসছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত খুব বেশি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারেনি।
advertisement
1/6

Story: Santosh Kumar: পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে ইতিমধ্যেই তার দক্ষতা প্রশ্নাতীত ভাবে প্রমাণ করে দিয়েছে। কিন্তু তার পরেও ভারতীয় বিমান বাহিনী যুদ্ধবিমানের বিশাল ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছে। সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্ব প্রকাশ্যে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। চিন এবং পাকিস্তান, দুটি ফ্রন্টেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ভারতের সামনে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল এই ঘাটতি কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়। ভারত বিদেশি কোম্পানি থেকে যুদ্ধবিমান কিনতে চায় না। কিন্তু, অন্য দিকে, ভারতীয় কোম্পানি অর্থাৎ HAL এখনও বিমান বাহিনীর চাহিদা মেটাতে সক্ষম প্রমাণিত হয়নি। তারা প্রায় ৪০ বছর ধরে তেজস যুদ্ধবিমান তৈরি করে আসছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত খুব বেশি যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারেনি।
advertisement
2/6
ভারতের সমস্যা: যদি ভারতকে বিদেশ থেকেই যুদ্ধবিমান কিনতে হয়, তাহলে তার কাছে তিনটি বিকল্প আছে - রাশিয়া, ফ্রান্স এবং আমেরিকা। রাশিয়া তার পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান সুখোই-৫৭ ভারতকে দিতে চায়, অন্য দিকে, আমেরিকা তার এফ-৩৫ ভারতকে দিতে রাজি হয়েছে। ভারত ইতিমধ্যে ফ্রান্স থেকে দুটি স্কোয়াড্রন রাফাল কিনেছে। তাদের কাছে আরও এই জাতীয় বিমান কেনার বিকল্প রয়েছে। কিন্তু, কোনও চুক্তিই ভারতের জন্য উপযুক্ত বলে মনে হচ্ছে না। কারণ একদিকে তার জন্য অনেক টাকা খরচ তো হয় বটেই, অন্য দিকে প্রযুক্তিগতভাবে দেশ এটি এই বিমানগুলির উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পায় না। ভবিষ্যতে বিমানের সোর্স কোড এবং আপগ্রেডিং নিয়ে বিতর্কের সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি, রাশিয়ার সুখোই-৫৭ এবং আমেরিকার F-35 এর কর্মক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। আমেরিকান F-35 যথেষ্ট ব্যয়বহুল। রাফাল একটি ৪.৫ প্রজন্মের বিমান এবং এটিও খুব ব্যয়বহুলও। (Photo: Reuters)
advertisement
3/6
ভারতকে F-21 দেওয়ার প্রস্তাব: সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠছে, এমন পরিস্থিতিতে ভারত কী করবে। আমেরিকান লকহিড মার্টিন কোম্পানি ভারতের জন্য আরেকটি জেটের বিকল্প দিয়েছে। লকহিড মার্টিন আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় ফাইটার জেট তৈরির কোম্পানি। তারা এফ-৩৫ তৈরি করেছে। তাদের এফ সিরিজের ফাইটার জেট বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের কাছে রয়েছে। পাকিস্তানের কাছেও একই কোম্পানির এফ-১৬ বিমান রয়েছে। লকহিড মার্টিন F-35-এর পরবর্তী প্রজন্মের এক উন্নত যুদ্ধবিমান F-21 ভারতকে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। কোম্পানির সিইও জিম টেইকলেট বলেছেন যে ভারত F-35-এর পরিবর্তে F-21 কিনতে পারে। এই বিমানটি ভারতের চাহিদা অনুসারে তৈরি করা হয়েছে। F-21 একই কোম্পানির F-16-এর একটি উন্নত সংস্করণ। (Photo Courtesy: Lockheed Martin)
advertisement
4/6
F-21 এবং F-35-এর মধ্যে পার্থক্য: F-21 হল লকহিড মার্টিনের ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান, যা F-16-এর একটি উন্নত সংস্করণ। এটি বিশেষভাবে ভারতের চাহিদার কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে এবং মেক ইন ইন্ডিয়ার অধীনে টাটা গ্রুপের সহযোগিতায় ভারতে তা তৈরিও করা যেতে পারে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, এতে আধুনিক রাডার (AESA), উন্নত ককপিট এবং মিশন কম্পিউটার রয়েছে। এই বিমানটি আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমিতে মিশনের জন্য উপযুক্ত। এর প্রতি জেটের দাম প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৫০ কোটি টাকা)। ভারতের চাহিদা অনুসারে যদি এতে আরও পরিবর্তন আনা হয়, তাহলে দাম বাড়তে পারে। অন্য দিকে, F-35 হল একটি ৫ম প্রজন্মের স্টিলথ জেট। এতে রাডার, উন্নত সেন্সর এবং ডেটা শেয়ারিং প্রযুক্তি এড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমসের মতে, এর প্রতি জেটের দাম ১১০-১৫০ মিলিয়ন ডলার।
advertisement
5/6
মার্কিন কৌশলে পরিবর্তন: ভারত ও সৌদি আরবের মতো মিত্রপক্ষকে F-35 দিতে আগে আমেরিকা দ্বিধাগ্রস্ত ছিল। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে, আমেরিকার আশঙ্কা ছিল যে তার সংবেদনশীল প্রযুক্তি চিন বা রাশিয়ার মতো দেশের হাতে চলে যেতে পারে। এছাড়াও ইজরায়েলের আমেরিকার সঙ্গে একটি চুক্তি আছে যে তারা মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে উন্নত অস্ত্র পাবে, যাতে তাদের সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব বজায় থাকে। কিন্তু এখন আমেরিকার কৌশল পরিবর্তিত হচ্ছে, কারণ রাশিয়ার SU-57 এবং চিনের J-20-এর মতো স্টিলথ জেটগুলি অন্যান্য দেশের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।
advertisement
6/6
ভারতের জন্য এটাই সুযোগ: লকহিড মার্টিনের সিইও বলেছেন যে ভারত এখনও F-35-এর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয়, তাই তারা F-21 কিনতে পারে। দ্য হিন্দুর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে লকহিড মার্টিন ভারতে F-21 তৈরি করতে দিতে প্রস্তুত। এর ফলে ভারতীয় শিল্প লাভবান হবে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর পুরনো MiG-21 এবং MiG-27 জেট প্রতিস্থাপনের জন্য এই F-21 একটি অর্থনৈতিক বিকল্পও হয়ে উঠবে।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
রাফাল, F-35 বা সুখোই-57 নয়, ভারতের নজর এখন এই যুদ্ধবিমানের দিকে, ঢেলে সাজবে বাহিনী