১০০০ ফলোয়ার্স হলেই কি মিলতে শুরু করে টাকা...? 'ফেসবুক' কী ভাবে মানিটাইজড হয় জানেন? চমকে উঠবেন শুনলেই!

আজকের ডিজিটাল যুগে, সোশ্যাল মিডিয়া কেবল বিনোদনের মাধ্যমই নয়, বরং মানুষের জন্য উপার্জনেরও একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বিশ্বের প্রাচীনতম এবং বৃহত্তম সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে একটি সক্রিয় মাধ্যম হল ফেসবুক।

এই মাধ্যমটি এখন কন্টেন্ট নির্মাতাদের অর্থ উপার্জনের একটি দুর্দান্ত সুযোগ দিচ্ছে। কিন্তু প্রায়শই মানুষের মনে এই প্রশ্নটি আসে যে ফেসবুকে কতজন ফলোয়ার্স থাকা উচিত, পেজ মানিটাইজড করতে কত ভিউ পাওয়া উচিত এবং কীভাবেই বা মানিটাইজেশন শুরু হয়?

অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে শুধুমাত্র ১০০০ ফলোয়ার থাকলেই কি কেউ অর্থ উপার্জন শুরু করে দেওয়া যায় এই ফেসবুকে? আসুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক। আজ এই প্রতিবেদনে।

ফেসবুক কী ভাবে অর্থ উপার্জন করবেন?ফেসবুকের মনিটাইজেশন সিস্টেমটি মেটা ফর ক্রিয়েটরস প্রোগ্রামের অধীনে চলে যা দর্শকদের নিয়মিত কন্টেন্ট দেওয়া ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করেই নেওয়া হয়েছে।

ফেসবুক মনিটাইজেশনের জন্য বিভিন্ন ধরণের টুল অফার করে যেমন ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপন (ভিডিওর মধ্যে চলমান বিজ্ঞাপন), ফ্যান সাবস্ক্রিপশন (সাবস্ক্রাইবারদের কাছ থেকে আয়), ব্র্যান্ডেড কন্টেন্ট এবং ফেসবুক রিলস বোনাস।

কী ভাবে আপনি ফেসবুক থেজে উপার্জন শুরু করতে পারেন?আপনি যদি একজন ভিডিও নির্মাতা হন এবং ফেসবুকে নিয়মিত কন্টেন্ট পোস্ট করেন, তাহলে আপনি ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপন থেকে আয় শুরু করতে পারেন। তবে এর জন্য কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হবে।

প্রথমত, আপনার পেজে কমপক্ষে ১০,০০০ ফলোয়ার্স থাকতে হবে এবং ভিডিও দেখার মোট সময় গত ৬০ দিনে কমপক্ষে ৬০,০০০ মিনিট থাকতে হবে। একইসঙ্গে আপনার কন্টেন্ট ফেসবুকের কমিউনিটি নির্দেশিকা মেনে এবং নগদীকরণ নীতি অনুসারে অবশ্যই হতে হবে।

১০০০ জন ফলোয়ারের জন্য কি আমি টাকা পাব?এখন প্রশ্ন উঠছে ১০০০ ফলোয়ারস পাওয়ার পরই কি আপনি টাকা পেতে শুরু করেন? এর সোজা উত্তর হল 'না'। আপনার যদি মাত্র ১০০০ ফলোয়ার্স থাকে তাহলে ফেসবুক আপনাকে এমনিতে টাকা দেয় না।

হ্যাঁ, যদি আপনার 'রিচ' ভাল হয়, ভিডিওতে ভিউ বাড়ে এবং আপনি একটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে লেনদেন শুরু করেন, তাহলে আপনি ব্র্যান্ড স্পনসরশিপের মাধ্যমে আয় করতে পারেন।

কিন্তু মেটার অফিসিয়াল মনিটাইজেশন নীতি অনুসারে, ইন-স্ট্রিম বিজ্ঞাপন এবং বোনাস প্রোগ্রামের মতো বৈশিষ্ট্যগুলি তখনই পাওয়া যায় যখন আপনার ফলোয়ার্স সংখ্যা এবং দেখার সময় দুটোই তাদের নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে।

ফেসবুক রিলের মাধ্যমেও ক্রিয়েটররা মোটা অর্থ উপার্জন করতে পারেন। মেটা "রিলস বোনাস প্রোগ্রাম" শুরু করেছে যেখানে কিছু নির্বাচিত ক্রিয়েটরকে তাদের রিলের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে প্রতি মাসে বোনাস দেওয়া হয়। এর জন্য ফেসবুক নিজেই ক্রিয়েটরদের আমন্ত্রণ জানায় এবং এতে সকলের অন্তর্ভুক্ত থাকা জরুরিও নয়।

ফ্যান সাবস্ক্রিপশনগুলিও আয় করে:এছাড়াও, ফ্যান সাবস্ক্রিপশন অর্থাৎ সাবস্ক্রাইবারদের কাছ থেকে মাসিক ফি নেওয়াও আয়ের আরেকটি উপায়। যদি আপনার একজন বিশ্বস্ত শ্রোতা থাকে, তাহলে আপনি তাদের এক্সক্লুসিভ কন্টেন্টের বিনিময়ে মাসিক সাবস্ক্রিপশন অফার করতে পারেন।

সামগ্রিকভাবে, ফেসবুকে অর্থ উপার্জনের জন্য কেবল ফলোয়ার্স বাড়ানোই কিন্তু যথেষ্ট নয়। নিয়মিত মানসম্পন্ন কন্টেন্ট সরবরাহ করা, দর্শকদের সঙ্গে যুক্ত থাকা এবং ফেসবুকের নীতিমালা অনুসারে কাজ করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম করেন এবং ধৈর্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন, তাহলে ফেসবুক আপনার জন্য একটি ভাল আয়ের প্ল্যাটফর্মও হয়ে উঠতে পারে।