Extra Marital Affairs: পরকীয়ায় বেশি আকর্ষণ 'এই' পেশার নারীদেরই... চমকে দেওয়া তথ্য উঠে এল সমীক্ষায়!

অধিকাংশ দেশেই পরকীয়াকে দেখা হয় অপরাধ হিসেবে। কারণ, দাম্পত্য কলহ ও বিচ্ছেদের অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হয় পরকীয়াকে। যদিও সম্পর্কের টানাপোড়েনে পরকীয়া নতুন কিছু নয়।

প্রেম, ভালোবাসা কখন কী ভাবে এসে পরে জীবনে তা কেই বা বলতে পারে! কারও বাল্যবয়সে স্কুলজীবনেই আসে একের পর এক প্রেম। আবার কেউ প্রেমপর্বে পা রাখেন বিয়ের হাত ধরে।

তবে সাত পাকে বাধা পড়লেই যে প্রেম আর আসবেনা জীবনে এমন বলা যায় না। হামেশাই তাই ঘটে যায় বিবাহ বহির্ভূত প্রেম অর্থাৎ পরকীয়া।

সম্প্রতি পরকীয়া সংক্রান্ত একটি সমীক্ষায় চমকে দিয়েছে একটি খ্যাতনামা ডেটিং ওয়েবসাইট। সমীক্ষায় প্রকাশ্যে এসেছে আশ্চর্য তথ্য, সাধারণত ১২টি পেশার মানুষের মধ্যে পরকীয়ার প্রবণতা সর্বাধিক।

কিন্তু কী কী সেই পেশা? সমীক্ষা বলছে, পরকীয়ায় লিপ্ত নারীদের মধ্যে ২৩ শতাংশই চিকিৎসক কিংবা নার্স। কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লম্বা সময় ধরে কাজ করা ও মানসিক চাপ কমানোর জন্যই পরকীয়ার আশ্রয় নিয়েছেন তারা।

দ্বিতীয় যে পেশার মানুষ সর্বাধিক পরকীয়ায় আগ্রহ দেখিয়েছেন সেটি হলো শিক্ষাক্ষেত্র। পরকীয়ায় লিপ্ত নারীদের ১২ শতাংশ ও পুরুষদের ৪ শতাংশই অধ্যাপক বা প্রভাষক কিংবা শিক্ষক বলে মত সমীক্ষকদের।

এদিকে, আরও আশ্চর্যের বিষয় হল এই তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন উদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদরা। দেখা যাচ্ছে, পরকীয়ায় আগ্রহী ৯ শতাংশ নারী ও ৮ শতাংশ পুরুষ এই ধরনের পেশায় যুক্ত।

তালিকায় এরপর যথাক্রমে রয়েছেন- খুচরা বিক্রেতা, সমাজকর্মী, যোগাযোগ মাধ্যমের কর্মী, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের কর্মী, উকিল, বিনোদন জগতের মানুষ, কৃষিকাজ ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।

পুরুষের মধ্যে সর্বাধিক ২৯ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছেন সমীক্ষকরা। তবে বলা বাহুল্য, এই ধরনের সমীক্ষাকে কখনওই সামাজিক সত্যের সামগ্রিক প্রতিফলন বলে ধরা যায় না।

এই ধরনের সমীক্ষা লঘুমেজাজে নেওয়াই যুক্তিযুক্ত। এটার উপর ভিত্তি করে কোনও বড় সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কাম্য নয় কখনই।