ইট, সিমেন্ট ছাড়াই তৈরি ইঞ্জিনিয়ার দম্পতির আশ্চর্যবাড়ি! প্রচণ্ড গরমেও লাগে না পাখা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- local18
Last Updated:
Eco-Friendly Home: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার কথা মাথায় রেখে একেবারে অন্য রকম একটি বাড়ি তৈরি করেছেন এক দম্পতি। এই বাড়িটি কংক্রিটের নয়। ইট,সিমেন্ট আর এসি মেশিনের কোনও জায়গা নেই এই বাড়িতে। বরং এই বাড়ি তৈরি করা হয়েছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য কিছু জিনিস দিয়ে।
advertisement
1/7

সব মানুষই একটা ঘরের স্বপ্ন দেখেন। নিজের পরিবার নিয়ে সুখে, শান্তিতে বাস করতে চান। সেখানে প্রয়োজন হয় স্বস্তি আর স্বাচ্ছন্দ্যের। আজকাল তাই এসি ছাড়া ঘর বাঁধার কথা ভাবেন না কেউই প্রায়। কিন্তু আদতে তা ক্ষতি করছে প্রকৃতির। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার কথা মাথায় রেখে একেবারে অন্য রকম একটি বাড়ি তৈরি করেছেন এক দম্পতি।
advertisement
2/7
এই বাড়িটি কংক্রিটের নয়। ইট সিমেন্ট আর এসি মেশিনের কোনও জায়গা নেই এই বাড়িতে। বরং এই বাড়ি তৈরি করা হয়েছে পুনর্ব্যবহারযোগ্য কিছু জিনিস দিয়ে। রাজস্থানের দুঙ্গারপুর শহরের বাসিন্দা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার আশিস পান্ডা ও তাঁর স্ত্রী মধুলিকা তাঁদের স্বপ্নের বাড়ি বানিয়েছেন এই বিশেষ উপায়ে।
advertisement
3/7
মধুলিকা সফটওয়্যার ডেভেলপার। পাশাপাশি তিনি সমাজ সেবামূলক কাজও করেন। তাই তাঁদের বাড়ির ভিত, অন্দর-বাহির— সব কিছুই পরিবেশবান্ধব। বছর চল্লিশের আশিস আদতে ওড়িশার বাসিন্দা। যদিও তাঁর স্কুল জীবন কেটেছে চেন্নাইতে। এরপর পিলানি বিআইটিএস থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন।
advertisement
4/7
তারপর দেশের বিভিন্ন স্থানে কাজ করেছেন। অন্য দিকে, বিজয়ওয়াড়ার বাসিন্দা বছর একচল্লিশের মধুলিকাও বিআইটিএস পিলানি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন। স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন আমেরিকা থেকে। এক বছর সেখানে কাজ করে ফিরেছেন দেশে। মধুলিকা বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম রাজস্থানে ফিরে আসতে। এখানেই বাড়ি করতে। কলেজে পড়ার সময় থেকেই আমি সামাজিক সমস্যা নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী ছিলাম। একই ভাবে আশিসের আগ্রহ ছিল প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের দিকে।’
advertisement
5/7
দেশে বিদেশে নানা জায়গায় কাটানোর পর ২০০৮ এই দম্পতি রাজস্থানে ফিরে আসেন। আশিস বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম কোনও মেট্রো শহরে থাকব না। সব সময় প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে চেয়েছি দু’জনেই। তাই প্রথম দিকে বিভিন্ন গ্রামে থাকার চেষ্টা করেছি।’
advertisement
6/7
২০১০ সালে দুঙ্গারপুরেই তাঁদের মেয়ের জন্ম হয়। তারপর সেখানেই স্থায়ী বাসস্থান তৈরির সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। আশিস এবং মধুলিকা বাড়িটি তৈরি করতে সমস্ত স্থানীয় উপকরণ ব্যবহার করেছেন, যেমন বলওয়াড়া পাথর, ঘুগরা পাথর এবং চুন। বাড়ির সমস্ত দেয়াল পাথরের তৈরি এবং গাঁথনি, প্লাস্টার এবং ছাদের ব্যালাস্টে চুন ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে এই বাড়ির ভিতর ঠান্ডা। প্রচণ্ড গরমেও এসি তো দূর, পাখারও প্রয়োজন হয় না।
advertisement
7/7
আশিস ও মধুলিকা জানান, রাজস্থানে নির্মিত সমস্ত পুরনো প্রাসাদ, হাভেলি ও বাড়িগুলো পাথর, চুন বা মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। কোনও ছাদে সিমেন্ট, স্টিল ব্যবহার করা হয়নি। তবু বছরের পর বছর অক্ষত রয়েছে এসব বাড়ি। এই বিষয় থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তাঁরা।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
ইট, সিমেন্ট ছাড়াই তৈরি ইঞ্জিনিয়ার দম্পতির আশ্চর্যবাড়ি! প্রচণ্ড গরমেও লাগে না পাখা