ঘণ্টায় ৩৮,০০০ কিমি...! ধেয়ে আসছে 'মহাপ্রলয়'! ধ্বংস হবে বহু শহর...ভারতও 'গুঁড়ো' হয়ে যাবে?
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
Asteroid: এটি কোনও কল্পনা নয়, বাস্তব। বিজ্ঞানীদের দাবি, ‘অ্যাস্টেরয়েড ২০২৪ YR4’ নামক একটি গ্রহাণু মহাকাশ থেকে ধেয়ে আসছে, যার প্রস্থ প্রায় ১০০ মিটার। এটিই ডেকে আনবে মহাপ্রলয়! কী হবে? জানলে শিউরে উঠবেন।
advertisement
1/9

আপনি নিশ্চয়ই পৃথিবী ধ্বংসের বহু ভবিষ্যদ্বাণী শুনেছেন। তবে, এটি কোনও কল্পনা নয়, বাস্তব। বিজ্ঞানীদের দাবি, ‘অ্যাস্টেরয়েড ২০২৪ YR4’ নামক একটি গ্রহাণু মহাকাশ থেকে ধেয়ে আসছে, যার প্রস্থ প্রায় ১০০ মিটার। এটিই ডেকে আনবে মহাপ্রলয়!
advertisement
2/9
২০৩২ সালের ডিসেম্বরে এটি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে এবং এর সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে। তখন এর গতি হবে ঘণ্টায় ৩৮,০০০ কিমি। যদি এটি পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খায়, তবে বহু শহর ধ্বংস হয়ে যাবে। তার মধ্যে কি রয়েছে আমাদের দেশেরও কোনও শহর? জানলে শিউরে উঠবেন।
advertisement
3/9
তাই সংঘর্ষ এড়াতে চিন ইতিমধ্যেই ‘সেনা’ মোতায়েন করতে শুরু করেছে। তবে, এই সেনারা আসলে মহাকাশ প্রকৌশলী, যারা গ্রহাণুটিকে অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
advertisement
4/9
বিজ্ঞানীদের মতে, আগে পৃথিবীর সঙ্গে এর সংঘর্ষের সম্ভাবনা ছিল মাত্র ১.৩ শতাংশ, কিন্তু এখন তা বেড়ে ২.৩ শতাংশে পৌঁছেছে। বর্তমানে এটি পৃথিবী থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে, তবে যত এটি কাছে আসবে, ততই বিপদের আশঙ্কা বাড়বে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই গ্রহাণু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটবে।
advertisement
5/9
এরপর প্রায় ৮ মিলিয়ন টন TNT শক্তি উৎপন্ন হবে, যা হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ফেলা পরমাণু বোমার চেয়ে ৫০০ গুণ বেশি ধ্বংসাত্মক হবে। প্রায় ৫০ কিমি ব্যাসার্ধের এলাকা সম্পূর্ণ ছাই হয়ে যাবে।
advertisement
6/9
নাসার ‘ক্যাটালিনা স্কাই সার্ভে’ প্রকল্পের ইঞ্জিনিয়ার ডেভিড র‍্যাঙ্কিনের মতে, এই গ্রহাণুটি উত্তর দক্ষিণ আমেরিকা, প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ এশিয়া, আরব সাগর এবং আফ্রিকার মধ্যে যে কোনও জায়গায় আছড়ে পড়তে পারে। অর্থাৎ ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া, সুদান, নাইজেরিয়া, ভেনেজুয়েলা, কলম্বিয়া এবং ইকুয়েডর এর আওতায় রয়েছে। ফলে এটি ভারতের কোনও শহরেও আঘাত হানতে পারে।
advertisement
7/9
এর আগে ‘অ্যাপোফিস’ নামক আরেকটি গ্রহাণু ২০২৯ সালে পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খাবে বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তার গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় সংঘর্ষের সম্ভাবনা শূন্য বলে ঘোষণা করা হয়। এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে যাবে, তবে ধাক্কা খাবে না। তবুও নাসাসহ সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এই বিষয়টিতে নজর রাখছেন।
advertisement
8/9
চিন বুঝতে পেরেছে যে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটাতে পারে। তাই তারা ইতিমধ্যেই মহাকাশ বিশেষজ্ঞদের একটি ‘সেনা’ তৈরি করতে শুরু করেছে। এই বাহিনী মহাকাশ থেকে আসা বিপদের মোকাবিলা করবে এবং পৃথিবীকে রক্ষার উপায় খুঁজবে।
advertisement
9/9
চিন এমন গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তন করার চেষ্টাও চালাচ্ছে। তারা ‘অ্যাস্টেরয়েড ওয়ার্নিং নেটওয়ার্ক’ তৈরি করেছে, যা প্রতি মুহূর্তে এই ধরনের মহাজাগতিক বস্তুর ওপর নজর রাখে এবং সারা বিশ্বের সঙ্গে ডেটা শেয়ার করে। বিশ্ব কি এই ধ্বংস থেকে রক্ষা পাবে? আপাতত বিজ্ঞানীরা এর উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
ঘণ্টায় ৩৮,০০০ কিমি...! ধেয়ে আসছে 'মহাপ্রলয়'! ধ্বংস হবে বহু শহর...ভারতও 'গুঁড়ো' হয়ে যাবে?