TRENDING:

‘একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম’ সাধ্যমতো উপাচারে ঘরে আনুন গণপতিকে, বিপদ ছুঁতে পারবে না

Last Updated:
আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, তারপরেই ঘরে ঘরে আসীন হবেন ‘গণপতি বাপ্পা মোরিয়া’-জেনে নিন পূজার পবিত্রতম মুহূর্ত ও পূজার পদ্ধতি৷
advertisement
1/6
‘একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম’সাধ্যমতো উপাচারে ঘরে আনুন গণপতিকে,বিপদ ছোঁবে না
দ্রিক পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ি এবারে ২২ জুন সকাল ১১.০৬ এ পড়ছে গণেশ চতুর্থী৷ পঞ্জিকা অনুযায়ি শুভ সময় থাকছে বেলা ১.৪২ অবধি৷ উৎসবের তিথি শুরু হচ্ছে রাত ১১.০২ এ, আর শেষ হচ্ছে ২২ তারিখ সন্ধ্যা ৭.৫৭ এ৷
advertisement
2/6
সামনেই গণেশ চতুর্থী৷ পশ্চিম ভারত ও মধ্য ভারতের এই দারুণ জনপ্রিয় উৎসব এখন শুধু সেই ভৌগোলিক সীমা অতিক্রম করে সারা ভারতেই ছড়িয়ে গেছে৷ যেহেতু গণেশ সিদ্ধিদাতা তাই তাঁর অর্চনাতে খামতি রাখতে চান না কেউই৷ বিশেষত এই অস্থির সময়ে যখন ব্যবসা-বাণিজ্য, কাজকর্ম সবকিছুই একটা অদ্ভুত অস্বস্তি৷ বুধবার হচ্ছে সিদ্ধিদাতা গণেশকে নিয়মিত আরাধনা করার দিন৷ বিশেষত গণেশ চতুর্থীর আগের এই বুধবার ভক্তিভরে অর্চনা করলে রাস্তায় থাকা পাহাড় প্রমাণ বিপদও টলে যায় –এমনটাই মনে করেন বিশ্বাসী ভক্তকূল৷ Photo- File
advertisement
3/6
তাই চতুর্থীতে মহাসমারোহে পুজো করার আগে জেনে নিন কী ভাবে গণেশ পুজো করলে আপনার জীবনে আসবে সমৃদ্ধি। গণেশ খুবই অল্পে তুষ্ট হন, কিন্তু তিনি যখন আশীর্বাদ করেন তা একদম উপচে যায় ৷ গণেশ পুজোর বিবিধ মন্ত্র রয়েছে তবে যে মন্ত্রটি না বললেই নয় তাহল ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ’ বা ‘ওঁ গাং গণেশায় নমঃ ওঁ শ্রী গণেশায় নমঃ’ বা ‘ওঁ গাং গণেশায় নমঃ, এছাড়া বলতে হয় একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম।বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং পনমাম্যহম।।অর্থাৎ, যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।Photo- File
advertisement
4/6
কেমন করে শুরু গণেশ চতুর্থীর- হিন্দু শাস্ত্রে এর উল্লেখে আখ্যান রয়েছে৷ তা অনুযায়ি চাঁদ গণেশ চতুর্থী উদযাপন করেছিলেন। চাঁদ তাঁর সৌন্দর্যে খুব গর্বিত ছিলেন এবং গণেশের, বিশেষ আকৃতি দেখে তিনি খুব ঠাট্টা করেছিলেন। এর পরে গণেশ তাঁকে অভিশাপ দিলেন। চাঁদ তখন অনুশোচনা করেছিলেন এবং গণেশের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। গনেশ তাঁকে শাপ মুক্ত করার জন্য পূর্ণ ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে চতুর্থীতে উপবাস করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই সময় চাঁদই প্রথম গণেশ চতুর্থী পালন করেছিলেন৷Photo- File
advertisement
5/6
গণেশ পুজো করার জন্য বুধবার দিন ভোরে উঠে স্নানের পরে সূর্য দেবের উদ্দেশ্য জল উৎসর্গ করতে হয়। এখন যা পরিস্থিতি তাতে মন্দিরে না যাওয়াই ভালো৷ বাড়ির ঠাকুর ঘরে যে প্রতিষ্ঠিত গণেশের মূর্তিটি রয়েছে তার পুজো করুন। গণেশ মূর্তির পা স্পর্শ করে অভিষেক করুন, তারপর উপাসনা করুন। গণেশকে ফুল এবং দুর্ব্বা অর্পণ করুন৷ গণেশ দেবের অর্চনায় পাঁচ সংখ্যাটি খুবই পবিত্র৷ তাই দুর্বা পাঁচটি দিন৷ আর তিনি জবা ফুল খুব পছন্দ করেন, তাই তাঁকে জবা ফুল দিয়ে সাজাতে পারেন৷Photo- File
advertisement
6/6
এটা নিয়মিত গণেশ পুজোর বিধি৷ তবে চতুর্থীর বিশেষ পুজোর জন্য আরও বিশেষ কিছু রীতি মানতেই হয়৷ সেদিন উপরিউক্ত নিয়মগুলি পালন করতেই হয়৷ তাছাড়া পাঁচ ব্রাহ্মণকে পারলে ফল, মিষ্টান্ন, পৈতে দান করতে হয়৷ এদিন কয়েকটি জিনিস একেবারেই করতে নেই৷ সেগুলির মধ্যে চতুর্থীতে চন্দ্র দর্শনের আগে খাদ্য গ্রহণ করতে নেই। এই উপবাস চলাকালীন দিনের বেলায় ঘুমানো উচিত নয়। চন্দ্র দর্শন শেষে, নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে হয়। এই দিন কড়াভাবে ব্রহ্মাচার্য পালন করা উচিত। স্বামী-স্ত্রীর একই বিছানায় ঘুমানোও উচিত নয়।Photo- File
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
‘একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদর গজাননম’ সাধ্যমতো উপাচারে ঘরে আনুন গণপতিকে, বিপদ ছুঁতে পারবে না
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল