TRENDING:

Deadliest Ship Disaster: দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে গোটা জাহাজ, মৃত প্রায় ৯ হাজার যাত্রী, এটাই সর্বকালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জাহাজডুবি, টাইটানিকের চেয়েও ভয়াবহ

Last Updated:
এটাই সর্বকালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জাহাজডুবি, টাইটানিকের চেয়েও ভয়াবহ। এই জাহাজডুবির ঘটনা আজও বিভীষিকাময়
advertisement
1/11
জলে দেহর স্তূপ, মৃত প্রায় ৯ হাজার যাত্রী, এটাই সর্বকালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জাহাজডুবি
সমুদ্রের জলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে মানুষের লাশ। মৃত প্রায় ৯০০০ যাত্রী। এটাই সর্বকালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জাহাজডুবি, টাইটানিকের চেয়েও ভয়াবহ। এই জাহাজডুবির ঘটনা আজও বিভীষিকাময়।
advertisement
2/11
তখন ১৯৪৫ সাল। এই সময়েই বাল্টিক সাগরের মাঝে যাত্রিবোঝাই জাহাজ তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার আক্রমণের মুখে পড়ে। টর্পেডোর আঘাতে জাহাজটি মাঝসমুদ্রে ডুবে যায়। জাহাজটির নাম ছিল 'ভিলহেল্ম গাস্টলফ'। জাহাজডুবির পর সমুদ্রের বরফজলে জমে মারা গিয়েছিলেন প্রায় ৯ হাজার মানুষ।
advertisement
3/11
বিশালাকার 'ভিলহেল্ম গাস্টলফ' জাহাজটি ছিল ২০৮.৫ মিটার লম্বা ও ২৩.৫৯ মিটার চওড়া। নানা সমসয়ে নানা ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল জাহাজটি। কখনও সেনাছাউনি হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে, কখনও পরিণত হয়েছে হাসপাতালে।
advertisement
4/11
১৯৪০ সালের নভেম্বর মাস থেকে জাহাজটি পোল্যান্ডে ঠাঁই নিয়েছিল। তখন সাবেক সোভিয়েত রাশিয়ার ভয়ে অনেক মানুষই নিরাপদ আশ্রয় খুঁজছিল। তখন ঠিক হয় ফের যাত্রী বহন করবে ‘ভিলহেল্ম গাস্টলফ’।
advertisement
5/11
১৯৪৫ সালের ২৫ জানুয়ারি যাত্রীদের নিয়ে রওনা হবে বলে বন্দরে এসেছিল জাহজটি। জাহাজে চাপার জন্য নাম লিখিয়েছিল ৭৯৬৫ জন। এদিকে জাহাজের যাত্রী বহন ক্ষমতা ২০০০ জনের। ৩০ জানুয়ারি দুপুরবেলা ১০ হাজার যাত্রী নিয়ে জার্মানির ক্রিয়েগসমেরিন বেসের অন্তর্গত কিয়েলের উদ্দেশে রওনা হয় জাহাজটি।
advertisement
6/11
জাহাজের ক্যাপ্টেন ফ্রেডরিক পিটারসন নির্দেশ দেন, মাঝসমুদ্রে জাহাজ নিয়ে যেতে। এতে সোভিয়েত আক্রমণের হাত থেকে বাঁচা যাবে। কিন্তু জাহাজে যিনি সেনা কম্যান্ডার ছিলেন, তিনি ক্যাপ্টেনের এই নির্দেশ মানতে রাজি হননি। তাঁর মত ছিল, জাহাজের সমস্ত আলো নিভিয়ে সৈকত বরাবর যাওয়া, এতে শত্রুপক্ষ জাহাজের উপস্থিতি টের পাবে না, আবার প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের হাত থেকেও বাঁচা যাবে।
advertisement
7/11
এরইমধ্যে দেখা যায় জার্মানির একটি বিস্ফোরক অনুসন্ধানকারী জাহাজ ‘ভিলহেল্ম গাস্টলফ’-এর দিকে আসছে। জাহাজে আলো না জ্বালালে দুই জাহাজের সংঘর্ষ হতে পারে, ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, কাজেই আলো জ্বালানোর নির্দেশ দেন জাহাজের ক্যাপ্টেন পিটারসন।
advertisement
8/11
আর এখানেই বড় ভুল করে ফেলেন জাহাজের ক্যপ্টেন। দূর থেকে আসা জাহাজটি জার্মানের বিস্ফোরক অনুসন্ধানকারী জাহাজ ছিল না, ছিল রাশিয়ান এস-১৩ সাবমেরিন। আলো জ্বালিয়ে শত্রুপক্ষের হাতে ধরা পড়ে যায় ‘ভিলহেল্ম গাস্টলফ’।
advertisement
9/11
সাবমেরিন থেকে পর পর তিনটি টর্পেডো জাহাজের দিকে ছোড়া হয়। একদিকে হেলে যায় জাহাজ। যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়, প্রাণ বাঁচাতে সবাই ছুটোছুটি শুরু করেন। এমনিতেই জাহাজে ৪ গুণ বেশি লোক ছিল, ধাক্কাধাক্কিতে অনেকে মাটিতে পড়ে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান। জাহাজে থাকা ৯ খানা লাইফবোটে ওঠা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে শুরু হয় মারামারি।
advertisement
10/11
অনেকে সাঁতার কেটে প্রাণ বাঁচাবেন ভেবে জলে ঝাঁপ দেন। কিন্তু তখন জানুয়ারি মাসের কনকনে ঠান্ডা। বাল্টিক সাগরের জলের তাপমাত্রা -১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। বরফজলে ঝাঁপ দিতেই ঠান্ডায় জমে মারা যান অনেকে।
advertisement
11/11
এই ঘটনার প্রায় ৪৫ মিনিট পর যাত্রীদের উদ্ধার করতে কয়েকটি জাহাজ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয়। কিন্তু তত ক্ষণে সব শেষ। পড়ে রয়েছে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ আর যেদিকে চোখ যায় সমুদ্রে ভেসে সারি সারি মৃতদেহ। ১০ হাজার যাত্রীর মধ্যে মাত্র ১,২০০ জনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
Deadliest Ship Disaster: দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে গোটা জাহাজ, মৃত প্রায় ৯ হাজার যাত্রী, এটাই সর্বকালের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর জাহাজডুবি, টাইটানিকের চেয়েও ভয়াবহ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল