'খুনি' ৩০ মিনিট 'হেঁটেছিল'..., পাড়ি দিয়েছিল ১৬ কিলোমিটার পথ! রাজা রঘুবংশী হত্যা মামলায় পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর প্রমাণ!

ইন্দোরের রাজা রঘুবংশী এবং সোনম মামলায় এবার পুলিশের হাতে এল চাঞ্চল্যকর প্রমাণ। উল্লেখ্য পুলিশি তদন্তের সময়, রাজার মৃতদেহ ওয়েইসওয়াদং এলাকার একটি গভীর উপত্যকায় পাওয়া যায়।

রাজার স্কুটিটি অপরাধস্থল থেকে অনেক দূরে সোহরা রিম এলাকায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। বাস্তবে, এই দুটি জায়গার মধ্যে অনেক দূরত্ব রয়েছে, তাই পুলিশ তদন্ত করছে যে কীভাবে খুনি প্রকাশ্য দিবালোকে অপরাধ করার পরে পালিয়ে গেল?

পুলিশ গোয়েন্দাদের মতে, মৃতদেহটি যেখানে পাওয়া গিয়েছে সেখান থেকে স্কুটিটি যেখানে পাওয়া গিয়েছে তার দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার, যা স্বাভাবিক গতিতে যেতে প্রায় ৩০ মিনিট সময় লাগে।

তাহলে অপরাধ করার পর রাজা রঘুবংশীর খুনি ৩০ মিনিট ধরে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল? আর তারপরেই সে ফেরার হয়? উত্তর খুঁজতে পুলিশি তদন্ত দল এখন সোহরা রিম এবং ওয়েইসওয়াডংয়ের মধ্যে ইন্সটল্ড যাবতীয় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করছে।

এছাড়াও, পথে থাকা সমস্ত ক্যাফে, দোকান মালিক এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সম্প্রতি, দম্পতির একটি নতুন ভিডিও সামনে এসেছে, যেখানে সোনমকে পুলিশের উদ্ধার করা কালো এবং লাল জ্যাকেটটি খুলে ফেলতে দেখা যাচ্ছে এবং তাতে রক্তের দাগও রয়েছে।

এখন পর্যন্ত এই তদন্তে, পুলিশ রাজা রঘুবংশী হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছে। এখনও পর্যন্ত পাওয়া ফরেনসিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে ছুরিটি খুবই ধারালো। আগে কাঠ কাটার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়নি। অর্থাৎ, ছুরিটি স্থানীয় কোনও ব্যক্তির নয়।

এই ঘটনার পর, স্থানীয় মানুষ এবং এলাকার ক্যাফে মালিকরা খুবই উদ্বিগ্ন। তাদের অভিমত যে এই ঘটনাটি এলাকার বদনাম করছে। এর ফলে পর্যটকদের সংখ্যা কমে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

পুলিশ রাজার ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে, যা খুনিদের ধরতে সাহায্য করবে বলেই আশা করা হচ্ছে। পুলিশ বিভিন্ন সম্ভাবনা থেকে ঘটনাটি তদন্ত করছে, যার মধ্যে স্থানীয় অপরাধী নাকি ঘনিষ্ঠ কোনও ব্যক্তি এই ঘটনায় জড়িত তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।