TRENDING:

Chair of Death: অভিশপ্ত এক চেয়ার! যে বসেছেন, সেই মরেছেন! কী ছিল সেই চেয়ারে? আঁতকে উঠবেন জানলে

Last Updated:
Chair of Death: পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে কুখ্যাত এই চেয়ারটি ছিল ইংল্যান্ডের উত্তর ইয়র্কশায়ারের বাসবি স্টুপ ইন নামে এক সরাইখানায়।
advertisement
1/7
অভিশপ্ত এক চেয়ার! যে বসেছেন, সেই মরেছেন! কী ছিল সেই চেয়ারে? আঁতকে উঠবেন জানলে
চেয়ারকে সবাই আরামের প্রতীক হিসেবেই জেনে এসেছি। কিন্তু সেই আরামের প্রতীকই যদি হয়ে ওঠে মৃত্যুর কারণ-তাহলে বিষয়টি অস্বাভাবিক হওয়ারই কথা। কিন্তু চেয়ার অব ডেথ বা মৃত্যু চেয়ারের গল্প যেন অস্বাভাবিকতাকেও হার মানিয়ে দিয়েছে।
advertisement
2/7
পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে কুখ্যাত এই চেয়ারটি ছিল ইংল্যান্ডের উত্তর ইয়র্কশায়ারের বাসবি স্টুপ ইন নামে এক সরাইখানায়। শুধুমাত্র এই চেয়ারটির কারণেই জায়গাটি সমগ্র ইংল্যান্ডের মানুষের কাছে এক রহস্যময়, ভয়ের জায়গা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অবশ্য চেয়ারটির অভিশপ্ত ইতিহাসের সঙ্গেও এই সরাইখানাটি জড়িয়ে আছে অঙ্গাঙ্গীভাবে।
advertisement
3/7
১৭০২ সালের কথা। সে বছর থমাস বাসবি নামে একজন অপরাধীর মৃত্যুদণ্ড হয়। অপরাধী যত ভয়ঙ্করই হোক না কেন, মৃত্যু দণ্ডাদেশ কার্যকর করার আগে তার শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়ার নিয়ম সেই তখন থেকেই প্রচলিত ছিল। আর তাই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে থমাসের মৃত্যু দণ্ডাদেশ কার্যকর করার আগে তার শেষ ইচ্ছা জানতে চাওয়া হয়।
advertisement
4/7
কর্তৃপক্ষের কাছে থমাস এক অদ্ভুত আবদার করে বসে। সে অতিপ্রিয় পানশালাতে গিয়ে নিজের প্রিয় চেয়ারে বসে জীবনের শেষ খাবার খাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। ফলে থমাসের শেষ ইচ্ছা পূরণের ব্যবস্থা করে কর্তৃপক্ষ। খাবার শেষ করে চেয়ারটি ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় থমাস। এরপর বক্তব্য রাখার ঢঙে বলে ওঠে-'সবাইকে সাবধান করে দিচ্ছি। এটা আমার প্রিয় চেয়ার। আমি আর কখনও এটাতে বসার সুযোগ পাব না। তাই বলে দিচ্ছি, এই চেয়ারে যে বসবে সে হঠাত্‍ করেই মারা যাবে।'
advertisement
5/7
ঘটনাটি পানশালার সবাইকে অবাক করে দিয়েছিল। এর পরের ২০০ বছর পার হয়ে গেলেও চেয়ারটি সেই পানশালাতেই রয়ে যায়। কিন্তু কেউ সেটিতে বসত না। সেই থেকেই চেয়ারটির নাম দেওয়া হয়েছে মৃত্যু চেয়ার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একজন সেনা অফিসার সেই পানশালাতে এসে অভিশপ্ত চেয়ারে বসেন। সে দিন তার কিছু হয়নি। তবে এরপর তিনি আর যুদ্ধ থেকে ফিরে আসেননি। এর বাইরে আরও ক'জন সৈন্য এই চেয়ারে বসেছিলেন। আশ্চর্যের ব্যাপার হল-এদের কেউই কখনো জীবিত ফিরে আসেননি। ১৯৬৭ সালে ব্রিটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীর দুইজন পাইলট ওই চেয়ারে বসেছিলেন। খাবার-দাবার শেষে পানশালা থেকে বের হয়েই তারা এক ট্রাক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। আর সেই দুর্ঘটনায় দুজনেই মারা যান। এসব ঘটনার পর এই চেয়ারটির দুর্নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
advertisement
6/7
১৯৭০ সালে একজন স্থপতি এই চেয়ারে বসে অভিশাপকে ভুল প্রমাণের চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিশাপকে ভুল প্রমাণের আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। যেদিন চেয়ারটায় বসেছিলেন, ঠিক সেদিন বিকালেই এক গর্তে পড়ে মারা যান ওই স্থপতি।
advertisement
7/7
১৯৭২ সালে অভিশপ্ত এই চেয়ারটি স্থানীয় জাদুঘরে দিয়ে দেওয়া হয়। এখনো সেখানেই রয়েছে এটি। চেয়ারটি মাটি থেকে পাঁচ ফুট উপরে ঝুলিয়ে রেখে প্রদর্শন করা হচ্ছে, যাতে সেটিতে কেউ বসতে না পারে।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
Chair of Death: অভিশপ্ত এক চেয়ার! যে বসেছেন, সেই মরেছেন! কী ছিল সেই চেয়ারে? আঁতকে উঠবেন জানলে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল