CAA in India: ভারতে চালু হল CAA, আর কোন দেশ এমন আইন চালু করেছিল জানেন? শুনলে চমকে যাবেন!

প্রত্যাশিত ভাবেই লোকসভা নির্বাচনের ঠিক মুখে সিএএ আইন কার্যকর হয়ে গেল৷ সিএএ আইন কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক৷ এর সঙ্গে সঙ্গেই দেশ জুড়ে কার্যকর হয়ে গেল নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকেই সরকারি ভাবে সিএএ কার্যকর করার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে৷

সিএএ আইনের অধীনে প্রতিবেশী তিন দেশ থেকে ভারতে আসা হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের মানুষ সিএএ আইনের অধীনে ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন৷

যদিও বিরোধীদের তরফে, CAA-এর আইনটির বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হল, এটি ধর্মীয় বৈষম্যকে গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই, ভারতীয় সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছে।

বর্তমানে বিশ্বের বেশিরভাগ গণতন্ত্রে আইনের অধীনে সমান আচরণের সাংবিধানিক বিধান রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীতে সমান সুরক্ষা ধারা অন্তর্ভূক্ত রয়েছে যা, ১৮৬৮ সালে কার্যকর হয়েছিল।

বিশ্বের প্রাচীনতম গণতন্ত্রও প্রায় দুই দশক ধরে ইহুদি, ধর্মপ্রচারক খ্রিস্টান, যারা সংখ্যালঘু, নিজ দেশে নিপীড়নের সম্মুখীন, তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করে আসছে।

Lautenberg সংশোধনী, পাবলিক ল 101-167, ১৯৮৯ সালের ২১ নভেম্বর প্রণীত হয়েছিল এবং তারপর থেকে এই সংশোধনীকে মার্কিন কংগ্রেসে বার্ষিক পুনর্নবীকরণ করা হয়।

১৯৮৯-৯০ সালে মার্কিন সিনেটর ফ্রাঙ্ক লাউটেনবার্গের নেতৃত্বে ঘটেছিল এই সংশোধনী, তাই এটি লাউটেনবার্গ সংশোধনী নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, যা শরণার্থীদের মর্যাদা দেয় এবং শেষ পর্যন্ত তিনটি দেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেয়।

যদিও CAA ও লাউটেনবার্গ সংশোধনীর মধ্যে পদ্ধতিগত ও নীতিগত অনেক তফাৎ রয়েছে বলেও দাবি করে ওয়াকিবহল মহল।