Burari Death: পরিবারের ১১ জনেরই একসঙ্গে মৃত্যু! গণ আত্মহত্যা নাকি খুন? ভারতের সবথেকে রহস্যময় মৃত্যু-ঘটনা
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Burari Death: পরিবাররের সবথেকে বয়স্ক সদস্য ৭৭ বছরের নারায়ণ দেবীর দেহ উদ্ধার হয় মেঝে থেকে। সে সময় প্রশ্ন ওঠে এটি কি কোনও গণ আত্মহত্যা নাকি খুন?
advertisement
1/8

একের পর এক কাগজে লেখা ধর্মীয় বিশ্বাসের কথা। কোথাও লেখা, ‘একই গোষ্ঠীর ১১ জন যদি একই ধর্মীয় মত মেনে চলে, তবে মোক্ষ লাভ করা সম্ভব।’ কোনও কাগজে আবার লেখা, ‘চোখ এবং মুখ কাপড়ে ঢেকে ফেললে, মনের ভয় অনেকটাই কেটে যায়।’ দিল্লির একই পরিবারের ১১ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে, এমনই সব নথি উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
advertisement
2/8
যা তদন্তের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করছিল পুলিশই। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ১১ জনের মধ্যে ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে গলায় দড়ি দিয়ে। তাঁদের শরীরে কোনো রকমের ধস্তাধস্তির বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
advertisement
3/8
পরিবাররের সবথেকে বয়স্ক সদস্য ৭৭ বছরের নারায়ণ দেবীর দেহ উদ্ধার হয় মেঝে থেকে। সে সময় প্রশ্ন ওঠে এটি কি কোনও গণ আত্মহত্যা নাকি খুন? বুরারি রহস্যমৃত্যু-কাণ্ডের উপর ভিত্তি করে একটি তথ্যচিত্র নিয়ে এসেছে নেটফ্লিক্স। যার নাম 'হাউস অফ সিক্রেটস: দ্য বুরারি ডেথস।
advertisement
4/8
টানটান সেই ছবিতে প্রতিটি মুহূর্ত একেবারে চমকে ওঠার মতো। মৃত্যুর পিছনে কী কী কারণ থাকতে পারে সেসব পরিষ্কার ভাবে তথ্যচিত্রে তুলে ধরেছেন পরিচালক লীনা যাদব। দীর্ঘদিন এনিয়ে বিভিন্ন মাধ্য়মে গবেষণা চালিয়ে তথ্য জোগার করে তথ্যচিত্রটি বানিয়েছেন তিনি।
advertisement
5/8
বুরারি এলাকার সন্ত নগরের দোতলা বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ভাটিয়া পরিবারের ১১ জনের প্রাণহীন দেহ। এঁরা হলেন বছর সাতাত্তরের গৃহকর্ত্রী নারায়ণ দেবী। দুই ছেলে ভবনেশ (৫০) ও ললিত (৪৫), দুই পুত্রবধূ সবিতা (৪৮) ও টিনা (৪২) এবং পাঁচ নাতি-নাতনি—প্রিয়ঙ্কা (৩৩), নীতু (২৫), মোনু (২৩), ধ্রুব (১৫) এবং শিবম (১৫)।
advertisement
6/8
এঁদের মধ্যে ১০ জনের দেহ পাওয়া যায় একই ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায়। অন্য ঘরে পড়ে ছিল নারায়ণ দেবীর দেহ। তিনি শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জানিয়েছিল পুলিশ।
advertisement
7/8
প্রাথমিকভাবে পুলিশের মনে হয়েছিল, তাঁরা প্রত্যেকে হয়ত আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু লেখা নথি উদ্ধারের পর, পুলিশের একাংশের ধারণা, পরিবারের অন্যান্যদের মেরে শেষ ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু তিনি কে? তবে কি পরিবারের সকলেই অতিপ্রাকৃতে বিশ্বাস করতেন? উদ্ধার হওয়া একটি কাগজে লেখা ছিল, ‘শরীর সাময়িক, কিন্তু আত্মা অবিনশ্বর।’
advertisement
8/8
সমস্ত লেখায়, ‘মোক্ষ লাভ হলে চিরশান্তি লাভ করা সম্ভব’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর এখানেই রহস্যের গন্ধ পায় পুলিশ। প্রত্যেকের হাত ও পা বাঁধা হয়েছিল একই ভাবে। পরিবারে ছোটদের হয় খুন করা হয়েছিল, না হলে তাঁদের আত্মহত্যায় উত্সাহ দেওয়া হয়েছিল। বয়সের কারণে নারায়ণ দেবী টুলে উঠে গলায় দড়ি দিতে পারবেন না বুঝে, তাঁকে গলা টিপে মারা হয়েছিল। এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
Burari Death: পরিবারের ১১ জনেরই একসঙ্গে মৃত্যু! গণ আত্মহত্যা নাকি খুন? ভারতের সবথেকে রহস্যময় মৃত্যু-ঘটনা