Bizarre News: বনে-বাদাড়ে প্রস্রাব করতে গিয়ে ভাগ্য খুলে গেল এই ব্যক্তির! ফিরলেন 'গুপ্তধন' নিয়ে! দেখুন

কোনও কিছু আবিষ্কার করতে বহু গবেষক এবং বিজ্ঞানী সারা জীবন সঁপে দেন, কিন্তু সাফল্য আসে না। অথচ কিছু মানুষ এতই ভাগ্যবান যে তাঁরা মাত্র কয়েকদিন বা মাসের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করে ফেলেন। এমনই এক ব্যক্তির গল্প ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ব্যক্তির নাম ক্লিফোর্ড কোলথার্ড, যিনি অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা। গবেষণার সময় এই ব্যক্তি হাজার হাজার বছরের পুরনো গুপ্তধনের সন্ধান পান, যা তাঁর ভাগ্যকে উজ্জ্বল করেছে।

ভাইরাল হওয়া এই গল্পটি ২০১১ সালের, যখন ক্লিফোর্ড তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক সাইট আদন্যমাথানহাতে গিয়েছিলেন। তাঁরা সকলেই ছিলেন লা ট্রোব ইউনিভার্সিটির ছাত্র। ক্লিফোর্ড এবং তাঁর বন্ধুরা আশা করেছিলেন অনুসন্ধান করে নিশ্চয়ই কিছু পাওয়া যাবে, যদিও কিনারা হচ্ছিল না। এর পর হঠাৎ সেই তাজ্জব ঘটনা!

অনুসন্ধানের সময় ক্লিফোর্ডের একদিন প্রস্রাবের বেগ এল। জঙ্গলের মধ্যে একটি নির্জন জায়গা দেখে টয়লেট ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেন। ক্লিফোর্ড প্রস্রাব করতে এসে দেখলেন যে সেটি একটি নির্জন গুহা! মনোযোগ সহকারে দেখতে লাগলেন, এবং দেখলেন, এই ফাঁকা গুহার দেয়ালে একটি ভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম তৈরি করা হয়েছে।

শুধু তাই নয়, গুহার ছাদে কালিও ছিল, যা থেকে বোঝা যায় যে একসময় এখানে মানুষ বাস করত এবং তারা গুহায় খাবারও রান্না করত। এমতাবস্থায় ক্লিফোর্ড সঙ্গে সঙ্গে তাঁর দলকে সেখানে ডাকেন।

ক্লিফোর্ডের দল গুহা খনন শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যে, তাঁর চোখ জ্বলে উঠল, কারণ তিনি ৫০ হাজার বছরের পুরনো সরঞ্জাম এবং অস্ত্র খুঁজে পেয়েছেন, যা গুপ্তধনের চেয়ে কম নয়!

এই আবিষ্কার তাঁর ভাগ্যকেও উজ্জ্বল করেছে। অনুসন্ধানে আরও অনেক সত্যও প্রকাশ পেয়েছে। এই সময় তিনি জানতে পারেন যে এই স্থানটি অস্ট্রেলিয়ার প্রাচীনতম প্রত্নতত্ত্বের স্থানগুলির মধ্যে একটি। এছাড়াও, গবেষণায় জানা গেছে যে ৪০ হাজার বছর আগে পর্যন্ত এই স্থানে মানুষ বসবাস করত। কিন্তু এই গুহাটি গত ১০ হাজার বছর ধরে নির্জন ছিল।

ক্লিফোর্ড এবং তাঁর দল তাদের আবিষ্কারে খুব খুশি হয়েছিল। তারা গুহার ভিতরে এবং চারপাশে খনন করতে থাকে। এ সময় ক্লিফোর্ডের দল কিছু প্রাণীর হাড়, কয়লা এবং গাছ-গাছালির অবশিষ্টাংশও খুঁজে পায়।

এছাড়াও ৩৩ থেকে ৪০ হাজার বছরের পুরনো অস্ত্রও মিলেছে, যার মধ্যে একটি কুড়ুলও রয়েছে। এই সব মাটি থেকে বের করা হয়েছে।

ক্লিফোর্ডের দল সেখান থেকে ১৬টি ভিন্ন প্রাণীর দেহাবশেষও খুঁজে পেয়েছে। অতএব, ক্লিফোর্ড সত্যিই ভাগ্যবান! তিনি সেখানে প্রস্রাব করতে না গেলে এত বড় আবিষ্কার হতো না।