অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তরুণী, প্রেমে পড়ে গেলেন জেলা প্রশাসক ! তারপরের গল্প সিনেমাকেও হার মানাবে
- Published by:Siddhartha Sarkar
- local18
Last Updated:
Reporter: Manmohan Seju- সঞ্জয়ের বিয়ে অনেকটা সিনেমার মতো। একটু ভুল হল, সিনেমার চেয়েও বেশি। ২০১৭ সালের ঘটনা। সঞ্জয় তখন উত্তর প্রদেশের গাজিপুরের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর। কয়েক দিন অন্তর শহরবাসীদের নিয়ে বসেন। তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন। সমাধান করেন। সেরকমই একদিন তাঁর কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেন বিজয়লক্ষ্মী নামের এক তরুণী।
advertisement
1/6

কথায় বলে, ‘জোড়ি স্বর্গে ঠিক হয়।’ কে কখন কার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবে, তা না কি পূর্নর্নিধারিত। ভগবানই ঠিক করে রাখেন। সেখান থেকে আর নড়চড় হওয়ার জো নেই। আইএএস অফিসার সঞ্জয় খত্রীর সঙ্গেও এমনটাই ঘটেছে।
advertisement
2/6
সঞ্জয়ের বিয়ে অনেকটা সিনেমার মতো। একটু ভুল হল, সিনেমার চেয়েও বেশি। ২০১৭ সালের ঘটনা। সঞ্জয় তখন উত্তর প্রদেশের গাজিপুরের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর। কয়েক দিন অন্তর শহরবাসীদের নিয়ে বসেন। তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনেন। সমাধান করেন। সেরকমই একদিন তাঁর কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেন বিজয়লক্ষ্মী নামের এক তরুণী। সঞ্জয় অভিযোগ শোনেন। সাধ্য মতো সাহায্যের আশ্বাস দেন। কিন্তু তাঁর মনে তখন ঝড় উঠেছে। আসলে বিজয়লক্ষ্মীকে আগে থেকেই চেনেন সঞ্জয়। সঞ্জয়ের আদি বাড়ি রাজস্থানের বারমেঢ় জেলায়।
advertisement
3/6
গ্রামের স্কুলেই অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তারপর তাঁর পরিবার চলে যায় জয়পুর। সেখানেই থিতু হয়। সঞ্জয় জয়পুর থেকেই স্নাতক হন। এরপর রাজস্থান ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি করেন। তারপর চলে যান দিল্লি। সেখানে ইউপিএসসি-এর প্রস্তুতি শুরু করেন।
advertisement
4/6
বিজয়লক্ষ্মী গাজিপুরের কিলা মহল্লার বাসিন্দা। লুদার্স কনভেন্ট ইন্টার কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট (উচ্চ মাধ্যমিক) পাশ করেন তিনি। এর কিছুদিনের মধ্যেই বাবার মৃত্যু হয়। বিজয়লক্ষ্মী উচ্চশিক্ষার জন্য দিল্লি চলে যান। তিনিও ইউপিএসসির প্রস্তুতি শুরু করেন। সেই সময়েই সঞ্জয়ের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বিজয়লক্ষ্মীর। দু’জনের বন্ধুত্বও হয়। তিনবার ইউপিএসসি দেন বিজয়লক্ষ্মী। কিন্তু পাশ করতে পারেননি।
advertisement
5/6
তিনবারই ব্যর্থ হন। শেষে হাল ছেড়ে দিয়ে নিজের শহরে মানে গাজিপুরে ফিরে আসেন। অন্য দিকে, সঞ্জয় ট্রেনিং শেষ করে গাজিপুরের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগ দেন। এর মধ্যে সাত বছর কেটে গিয়েছে। পুরনো বন্ধুত্বের কথা দু’জনের কারোরই আর মনে নেই।একদিন অভিযোগ নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের দরবারে আসেন বিজয়লক্ষ্মী। সঞ্জয় দেখেই চিনতে পারেন। তবে প্রথমে কিছু বলেননি।
advertisement
6/6
মন দিয়ে অভিযোগ শোনেন। তারপর তোলেন পুরনো কথা। বিজয়লক্ষ্মীরও সব মনে পড়ে যায়। পুরনো স্মৃতিতে ডুব দেন দু’জনে। নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ শুরু হয়। বন্ধুত্ব গড়ায় প্রেমে। এরপর দু’জনেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৭ সালের ১৯ নভেম্বর গাঁটছড়া বাঁধেন সঞ্জয় ও বিজয়লক্ষ্মী। সঞ্জয়দের বিয়ের গল্প সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। নেটিজেনরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অনেকেই বলছেন, এমন ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট মানুষের জন্য সত্যিকারের অনুপ্রেরণা।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন তরুণী, প্রেমে পড়ে গেলেন জেলা প্রশাসক ! তারপরের গল্প সিনেমাকেও হার মানাবে