Banana Buying Tips: দোকানদারকে শুধু এটা বলুন...আপনাকে হাফ দামে দিয়ে দেবে কলা! কম খরচে কলা কেনার দুর্দান্ত টিপস

আমরা সবাই বিভিন্ন ধরনের ফল কিনি। এর মধ্যে কলা সবচেয়ে সুস্বাদু এবং সস্তা ফল। তাছাড়া, কলা খাওয়াও সোজা। হজমের কোনও সমস্যা হয় না। পেটের পক্ষেও ভাল৷ কলা সবসময় আপনাকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয়।

কলা পছন্দ করেন না এমন লোক খুব কমই আছেন৷ কলা বছরে সবসময় পাওয়া যায়। ১০০০ টিরও বেশি ধরনের কলা পাওয়া যায়। অতএব, সকলেই কোনও না কোন ধরনের ফল পছন্দ করেন। আর যদি আমরা এগুলো কেনার সময় একটা কৌশল অনুসরণ করি... তাহলে আমরা অর্ধেক দামে ভাল কলা পেতে পারি। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে।

ধরুন আপনি বাজার করতে গেছেন, দেখতে পেলেন তাজা, সুন্দর এবং সদ্য পাকা কলা বিক্রি হচ্ছে। আর আরেকটু এগিয়েই দেখলেন একজনের কাছে কলা রয়েছে, কিন্তু তার গায়ে কালো দাগ রয়েছে৷ আপনি কোনটা কিনবেন? নিশ্চই একেবারে পরিষ্কার, ঝকঝকেটা, তাই না? এখানেই কিন্তু করবেন ভুল৷

যেসব কলায় ছোট বাদামি বিন্দু থাকে, সেগুলোই আসল ভাল কলা। এগুলোই আমাদের কেনা উচিত। আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন?

দাগহীন কলা খেলে তুলনায় বেশি উপকার পাওয়া যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, কলা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। জানা যায় যে, এই ফলের মধ্যে উপস্থিত জৈব সক্রিয় যৌগগুলি ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে।

দাগযুক্ত কলায় টিউমার নেক্রোসিস ফ্যাক্টর নামে একটি প্রোটিন থাকে। এটি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার জন্য প্রয়োজনীয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দাগযুক্ত কলার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষগুলিকে ক্যান্সারে পরিণত হতে বাধা দেয়। এই ফলের ফাইবার অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এই ফলের মধ্যে থাকা ফেনোলিক যৌগ, যেমন ফেরুলিক অ্যাসিড এবং কোয়ারসেটিন, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। এই বিষয়ে গবেষণা চলছে। তবে, দাগহীন কলা খাওয়ার আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে।

সাধারণত, আপনি প্রতিদিন ১ বা ২টি কলা খেতে পারেন। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে, এই ফল খেলে তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তাই, প্রতিদিন এই ফলগুলির মধ্যে কতগুলি এবং কী পরিমাণে খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে যে কারও ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ সবার স্বাস্থ্য এক রকম হয় না। তাদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে খাদ্যাভ্যাসের নিয়ম মেনে চলতে হবে।

দাগযুক্ত কলায় থাকা পটাশিয়ামের কারণে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদপিণ্ডকে রক্ষা করে। এই ফলের ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়াও, এই ফলের ফাইবার এবং পটাসিয়াম আমরা যে খাবার খাই তা ভালোভাবে হজম করতে সাহায্য করে। এই ফলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের দাগ এবং ব্রণ কমাতে পারে। এইভাবে, আপনি ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে পারেন।

সবসময় ছোট ছোট বাদামি দাগ ওয়ালা কলা বেছে নেওয়া উচিত। এগুলোই ভাল কলা হিসেবে গণ্য করা হয়। যেসব কলার দাগ আছে এবং দেখতে নষ্ট হয়ে গেছে বলে মনে হয়, সেগুলো আমাদের জন্য বেশি উপকারী। তাছাড়া, এগুলো কম দামেও পাওয়া যায়। রীতিমতো পরিষ্কার খোসাওয়ালা কলার চেয়ে হাফ দামে মেলে এই কলা৷