সমুদ্রের জলে ডুবে আছে আর একটা 'পৃথিবী'? বিজ্ঞানীদের 'বিরাট' আবিষ্কারে চমকে গেল দুনিয়া...কী দেখা গেল জানেন?
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
বিজ্ঞানীরা প্রশান্ত মহাসাগরের নীচে এক রহস্যময় "ডুবে যাওয়া জগৎ" আবিষ্কার করেছেন, যা পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ মানচিত্রায়ণের নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে।
advertisement
1/10

আর কোনও গল্পকথা নয়, সত্যিকারের গুপ্তধনের হদিশ মিলল এবার। পৃথিবীর মধ্যেই যে রয়েছে আরও পৃথিবী...সম্প্রতি বিজ্ঞানীদের আবিষ্কার চমকে দিল। কেউ কি ভাবতে পেরেছেন এই অজানা জগতের কথা?
advertisement
2/10
বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন জগৎ ও জীবনের সন্ধানে সবসময় কাজ করে চলেছেন। মহাকাশে তাঁদের অনুসন্ধান অব্যাহত থাকলেও, এবার প্রথমবারের মতো পৃথিবীর গভীরে এক নতুন জগতের সন্ধান মিলল। আসলে, সুইস বিজ্ঞানীরা প্রশান্ত মহাসাগরের নীচে রহস্যময় কিছু স্থান আবিষ্কার করেছেন, যা তাঁরা একটি "ডুবে যাওয়া জগৎ" বলে অভিহিত করেছেন।
advertisement
3/10
বিজ্ঞানীদের মতে, এই রহস্যময় স্থানগুলো সম্ভবত পৃথিবীর আবরণের (Mantle) গঠনের সময় তৈরি হয়েছিল, অর্থাৎ প্রায় ৪ বিলিয়ন (চারশো কোটি) বছর আগে।
advertisement
4/10
অনুমান করা হচ্ছে, যখন পৃথিবীর আবরণ তৈরি হচ্ছিল, তখনই এর ভূত্বকও গঠিত হয়েছিল। তবে এই নতুন আবিষ্কারের প্রকৃত পরিচয় সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা এখনই নিশ্চিত কিছু বলতে পারছেন না। তাঁদের মতে, এটি পৃথিবীর অভ্যন্তরে কয়েকশো কোটি বছর ধরে ঘনীভূত বস্তু গঠনের ফলাফলও হতে পারে।
advertisement
5/10
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই বিস্ময়কর আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ মানচিত্রায়ণের (ভিতরের তরঙ্গ বিশ্লেষণ) এক নতুন পদ্ধতির মাধ্যমে। এই ডুবে থাকা জগৎটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত ভূগর্ভস্থ পাতগুলোর (subducted slabs) তুলনায় সম্পূর্ণ আলাদা।
advertisement
6/10
এটি দুটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত। গবেষকদের মতে, এটি পৃথিবীর এক নতুন ‘ডুবে যাওয়া জগৎ’, যা ভূমিকম্প সৃষ্টিকারী প্লেট সংঘর্ষের এলাকা থেকে দূরে অবস্থিত। এর গঠন, অবস্থান ও টুকরোগুলোর বিন্যাস বিজ্ঞানীদের জন্য এক রহস্য হয়ে রয়েছে।
advertisement
7/10
এই আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে ভূমিকম্পের তরঙ্গ বিশ্লেষণের মাধ্যমে পৃথিবীর অভ্যন্তরের উচ্চ-রেজোলিউশনের মডেলিং করার ফলে। এই যুগান্তকারী গবেষণা "ফুল-ওয়েভফর্ম ইনভার্সন" (Full-Waveform Inversion) নামের এক প্রযুক্তির মাধ্যমে করা হয়েছে, যা বিভিন্ন সিসমিক (কম্পনজনিত) তথ্য একত্রিত করে পৃথিবীর অভ্যন্তরের বিস্তারিত ও স্পষ্ট চিত্র তৈরি করে। গবেষণার জন্য সুইজারল্যান্ডের লুগানোতে অবস্থিত সুইস ন্যাশনাল সুপারকম্পিউটিং সেন্টারের "Piz Daint" সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করা হয়েছে, যা অত্যন্ত শক্তিশালী কম্পিউটিং ক্ষমতা সম্পন্ন।
advertisement
8/10
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই আবিষ্কার তাঁদের জন্য অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক হলেও, এখনও এসব রহস্যময় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি। সুইস ভূতাত্ত্বিক ইনস্টিটিউটের পিএইচডি গবেষক থমাসের মতে, "এটি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার, তবে আমরা এখনও জানি না এগুলো আসলে কী। আমরা এ বিষয়ে গভীরভাবে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছি এবং আরও অনুসন্ধান করছি।"
advertisement
9/10
এই নতুন আবিষ্কার প্রচলিত ভূতাত্ত্বিক তত্ত্বগুলোর ওপর প্রশ্ন তুলেছে। এটি পৃথিবীর উৎপত্তি সম্পর্কে নতুনভাবে গবেষণার সুযোগ এনে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখন এই "ডুবে যাওয়া জগত" নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন, যাতে পৃথিবীর প্রাথমিক উৎপত্তি সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়।
advertisement
10/10
এই গবেষণার মাধ্যমে শুধু অতীত নয়, ভবিষ্যত সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। এর ফলে পৃথিবীর ভূ-আকৃতি, টেকটোনিক প্লেটের চলাচল এবং কয়েক বিলিয়ন বছরের ইতিহাস সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি পাওয়া যেতে পারে।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
সমুদ্রের জলে ডুবে আছে আর একটা 'পৃথিবী'? বিজ্ঞানীদের 'বিরাট' আবিষ্কারে চমকে গেল দুনিয়া...কী দেখা গেল জানেন?