সত্যিই কি অম্বুবাচীতে রজঃস্বলা হন মা কামাক্ষ্যা? আসলে কী এই অম্বুবাচী?
- Published by:Simli Raha
- news18 bangla
Last Updated:
advertisement
1/7

• লোকবিশ্বাস মতে, আষাঢ় মাসে মৃগ শিরা নক্ষত্রের তিনটি পদ শেষ হলে পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুময়ী হন। এই সময়টিতে অম্বুবাচী পালন করা হয়। বাংলা প্রবাদে রয়েছে ‘কিসের বার কিসের তিথি, আষাঢ়ের সাত তারিখ অম্বুবাচী।’ এ দিন থেকেই হয় অম্বুবাচী শুরু।
advertisement
2/7
• জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, সূর্য যে বারের যে সময়ে মিথুন রাশিতে গমন করেন, তার পরবর্তী সেই বারের সেই কালে অম্বুবাচী হয়। অর্থাৎ, পৃথিবী এই সময়ে ঋতুমতী হন।
advertisement
3/7
• অসমের কামাক্ষ্যা মন্দিরে অম্বুবাচী উপলক্ষ্যে উৎসব পালন করা হয়। সূর্যের দক্ষিণায়নের দিন থেকে তিন দিন অর্থাৎ আষাঢ়ের ৭ তারিখ থেকে ১০ দিনের মধ্যে পালিত হয় এই পার্বণ। আষাঢ় মাসে রবি, মিথুন রাশির আর্দ্রা নক্ষত্রের প্রথমার্ধে অর্থাৎ এক চতুর্থাংশ স্থিথিকালে পৃথিবী বা ধরিত্রী মা ঋতুমতী হন ৷
advertisement
4/7
• এই পৃথিবীর প্রতিটি নারীই রজঃস্বলা হন ৷ আদিঅনন্ত কাল ধরে প্রকৃতিকে নারী রূপেই বন্দনা করে আসছে এই মানবজাতি ৷ তাই প্রকৃতি মায়েরও বার্ষিক ঋতুদর্শন হয় এ সময় ৷ তবে এর পিছনে রয়েছে যথাযথ বিজ্ঞান ৷
advertisement
5/7
• আসলে বর্ষার নতুন জলধারায় সিক্ত হয়ে ওঠে প্রকৃতি ৷ অম্বুবাচী আদতে একটি কৃষিভিক্তিক অনুষ্ঠান ৷ বর্ষার জলে সিক্ত ধরিত্রীকে এই সময় ঋতুমতী নারী রূপে দেখা হয় ৷ তাই এই সময়, তাঁর পুজো বন্ধ অর্থাৎ, এই কয়েকটি দিন পৃথিবীকে কর্ষণ করতে নেই ৷ তাই এই সময় একদিকে যেমন বন্ধ থাকে পুজোআচ্চা, তেমনই এই কয়েকদিন বন্ধ থাকে চাষাবাদও ৷
advertisement
6/7
• ঋতুস্রাবের পর প্রতিটি নারীই যেমন, সন্তান ধারণে সক্ষম হয়ে ওঠেন, তেমনই বর্ষার জল পেয়ে নতুন প্রাণের সৃষ্টি করে ধরিত্রীও ৷ সবুজে সবুজ হয়ে ওঠে আমাদের চারপাশ ৷ মাঠ ভরে ওঠে ফসলে ৷
advertisement
7/7
• ২২ জুন (৭ আষাঢ়) সকাল ৭টা ৫৪ মিনিটে অম্বুবাচী আরম্ভ। ২৫ জুন (১০ আষাঢ়) রাত ৮টা ১৮ মিনিটে অম্বুবাচী সমাপ্ত।