ভূত চতুর্দশী! আজই কি সেই প্রেত-রাত? ঠিক কী হয়...

গত সপ্তাহ ধরে বিদেশিরা খুব পালন করল হ্যালোউইন৷ এবার আমাদের পালা৷ ভূত চতুর্দশী৷ একে একে এই বঙ্গদেশে নেমে আসতে শুরু করেছেন প্রেতাত্মারা৷

ভূত কথার অর্থ অতীত৷ দীপান্বিতা অমাবস্যার আগে চতুর্দশী তিথিতে এই রীতি পালন করা হয় বলে এর নাম ভূত চতুর্দশী৷

হিন্দুরা বিশ্বাস করেন এইদিন তাদের মৃত পূর্ব পুরুষরা মর্ত্যে নেমে আসেন৷ তাদের খুশি করতে, তাদের অভিশাপ থেকে বাঁচতে এদিন নানা আচার পালন করেন হিন্দুরা৷

এই আচারের মধ্যে একটি চোদ্দশাক ভক্ষণ৷ হিন্দুরা বিশ্বাস করেন মৃত্যুর পর দেহ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায়৷ তাই আকাশ, মাটি, জল, হাওয়া, অগ্নি প্রকৃতির এই পাঁচ উপাদানের মধ্যেই মিশে থাকেন আমাদের পূর্বপুরুষরা৷

প্রকৃতির কোল থেকে তুলে আনা চোদ্দ প্রকার শাক খেয়ে তাই তারা চোদ্দ পুরুষের উদ্দেশ্যে উত্সর্গ করে এই দিনটিকে৷

সনাতন ধর্ম মতে এই দিন রাতে মর্ত্যে নেমে আসেন আমাদের চোদ্দ পুরুষরা৷ ভূত চতুর্দশীর দিন তাই গৃহস্থ বাড়িতে সারা দিন চোদ্দ প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখার রীতি৷ এই সময়ই পূর্ব পুরুষের প্রেতাত্মারা আসেন আমাদের কাছে৷ তাদের স্বাগত জানাতেই জ্বালিয়ে রাখা হয় প্রদীপ৷

আবার অনেকে মনে করেন অশুভ শক্তি দূর করতে এই দিন সারা রাত আলো জ্বালিয়ে রাখা হয়৷ পরদিন দীপান্বিতা অমাবস্যায় পশ্চিমবঙ্গের মানুষরা অলক্ষ্মী বিদায় করতে লক্ষ্মী পুজো করেন৷