১১ মাস ধরে অ্যাকাউন্টে ঢুকল ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা! রিসেপশনিস্ট খরচ করে ফেললেন 'সবটাই'...পরে জানা গেল বড় ভুল!
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
ক্লিনিকে রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতেন ২৯ বছর বয়সী ইয়েসিকা আরুয়া (Yessica Arua)। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আচমকাই নিজের মাইনে দেখে চমকে যান তিনি। বরাবরের চেয়ে অনেক বেশি টাকা ঢুকেছে অ্যাকাউন্টে।
advertisement
1/11

ভাবুন তো, আপনার মাসে ৫০ হাজার টাকা মাইনে হঠাৎ করে বেড়ে দাঁড়াল ৮০ হাজার টাকায়—কোনও নোটিশ ছাড়াই সেই বাড়তি টাকা ঢুকে পড়ল অ্যাকাউন্টে! প্রথমে কি HR-কে ফোন করবেন? না বোনাস বুঝে চুপচাপ বসে থাকবেন?
advertisement
2/11
ফ্লোরিডার একটি ঘোড়ার ক্লিনিকে রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতেন ২৯ বছর বয়সী ইয়েসিকা আরুয়া (Yessica Arua)। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আচমকাই নিজের মাইনে দেখে চমকে যান তিনি। বরাবরের চেয়ে অনেক বেশি টাকা ঢুকেছে অ্যাকাউন্টে।
advertisement
3/11
কিন্তু কোনও প্রশ্ন করেননি, কারও সঙ্গে কথাও বলেননি। বরং ভেবেছিলেন, "বোধহয় ক্লিনিক খুশি হয়ে বোনাস পাঠিয়েছে!" আর এই 'ভুল বোনাসে' শুরু হয়ে গেল এক অন্যরকম জীবন — নতুন বাড়ি, দামি রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া, শপিং, আর মনের মতো খরচ!
advertisement
4/11
এইভাবে ১১ মাস ধরে, ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত, প্রায় ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা (৪ লক্ষ ডলার) ঢুকেছে তাঁর অ্যাকাউন্টে।
advertisement
5/11
এই টাকাগুলো কিন্তু আসলে ছিল ক্লিনিকের এক চিকিৎসকের মাইনে — যা ভুল করে রিসেপশনিস্ট আরুয়ার অ্যাকাউন্টে চলে যাচ্ছিল। ওই চিকিৎসক প্রায় এক বছর নিজের অ্যাকাউন্ট চেকই করেননি। কিন্তু একদিন হঠাৎ তাঁর কিছু ক্রেডিট কার্ড বাতিল হয়ে যায়। তখনই সন্দেহ হয় এবং তিনি নিজের মাইনে সংক্রান্ত তথ্য দেখেন। তখনই ফাঁস হয় এই ভয়ঙ্কর ভুল।
advertisement
6/11
তদন্তে জানা যায়, এই চিকিৎসকের বার্ষিক মাইনে ছিল প্রায় ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা — যার একটা বড় অংশ এতদিন আরুয়ার অ্যাকাউন্টে ঢুকছিল! খবর পাওয়া মাত্রই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে।
advertisement
7/11
পুলিশ আরুয়াকে জিজ্ঞাসা করলে, তিনি জানান যে তিনি জানতেন যে বেশি টাকা আসছে, কিন্তু তাঁর ধারণা ছিল, এটা তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বোনাস। তিনি নাকি শুনেছিলেন, আগের রিসেপশনিস্টও এমন বোনাস পেয়েছিলেন ‘সাপ্লাই খরচ বাঁচানোর’ জন্য।
advertisement
8/11
তদন্তে উঠে আসে, আরুয়া এই টাকা দিয়ে ঘর সাজানোর ফার্নিচার, একটি নতুন বাড়ি, দামি খাবারদাবার, এমনকি এক বন্ধুর জন্য ৮০ হাজার ডলার দিয়ে একটি ফুড ট্রাক কিনে দিয়েছেন। তাঁর মা-র এক বন্ধুকে তিনি টাকা পাঠিয়েছেন ‘মামা ডিউকস’ নামে এক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
advertisement
9/11
তিনি আর্জেন্টিনার বাসিন্দা, এবং সেখানকার আত্মীয়দের জন্য বাড়ি কেনার কাজেও টাকা পাঠিয়েছেন। পরে ক্লিনিক ডিরেক্টর আরুয়ার সঙ্গে কথা বলেন। আরুয়া কেঁদে ফেলেন, এবং প্রায় ১ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা চেকে ফেরত দেন। তবে বলেন, বাকি টাকা তিনি ফেরত দিতে পারবেন না, কারণ তাঁর মা ইতিমধ্যেই তা আর্জেন্টিনায় পাঠিয়ে দিয়েছেন।
advertisement
10/11
এখন আরুয়ার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ, এবং মানি লন্ডারিং-এর মামলা চলছে। তিনি বর্তমানে ফ্লোরিডার পাম বিচের মেইন ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি। এদিকে, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ যে অ্যাকাউন্টিং ফার্ম এই ত্রুটির নজরদারি করছিল, তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছে। তারা জানায়, এই ভুল যাঁরা প্রথমে বুঝতে পারতেন, তাঁরা আর এখন সংস্থায় কাজ করেন না।
advertisement
11/11
এই ২৪ ঘণ্টা খোলা ঘোড়ার ক্লিনিকটি ১৯৮১ সাল থেকে চালু রয়েছে। কিন্তু এমন ঘটনা তারা আগে কখনও দেখেনি বলেই জানিয়েছে।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
১১ মাস ধরে অ্যাকাউন্টে ঢুকল ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা! রিসেপশনিস্ট খরচ করে ফেললেন 'সবটাই'...পরে জানা গেল বড় ভুল!