TRENDING:

Sam Manekshaw: ভারতের প্রিয় প্রথম ফিল্ড মার্শাল, স্যাম বাহাদুর (স্যাম মানেকশ) সম্পর্কে এই ৫ জিনিস অনেকেরই অজানা

Last Updated:
5 things to know about Sam Bahadur (Sam Manekshaw): স্যাম মানেকশ। এই নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে অনেক ছবি ভিড় করে আসে। হার না মানা লড়াইয়ের, শূন্য থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর। দেশের প্রথম ফিল্ড মার্শাল।
advertisement
1/7
ভারতের প্রিয় প্রথম ফিল্ড মার্শাল, স্যাম মানেকশ সম্পর্কে এই ৫ তথ্য অনেকেরই অজানা
স্যাম মানেকশ। এই নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে অনেক ছবি ভিড় করে আসে। হার না মানা লড়াইয়ের, শূন্য থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর। দেশের প্রথম ফিল্ড মার্শাল। ১৯৭১ যুদ্ধের নায়ক। স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের কাণ্ডারী। আর হ্যাঁ, সেই ছবি। বলা ভাল চিরস্মরণীয় ছবি। ৯০ হাজার সেনা-সহ আত্মসমপর্ণ করছে পাকিস্তান। স্যাম মানেকশর সামনে আত্মসমর্পণের দলিলে সই করছেন পাকিস্তানের জেনারেল নিয়াজি। স্যাম মানেকশ কিংবদন্তি। যিনি পেটে ৯টা গুলি খেয়েও বলতে পারেন, ‘আই অ্যাম ওকে’।
advertisement
2/7
দরাজ বুকের পাটা। সঙ্গে সাহস। আদর্শ সেনা অফিসারের এই দুটো গুণই তো চাই। মানেকশর ছিল। তাঁকে ঘিরে তাই জন্ম নিয়েছে সহস্র গল্প, অজস্র মিথ। সেই মিথ আর গল্পের ভিড় ঠেলে আসল মানুষটাকে চেনাতে বড় পর্দায় হাজির হয়েছে ‘স্যাম বাহাদুর’। নাম ভূমিকায় ভিকি কৌশল। কিন্তু এমন কিংবদন্তি চরিত্রকে কি ২ ঘণ্টায় ধরা যায়! না, যায় না। এই অবসরে তাই দেখে নেওয়া যাক মানেকশর জীবনের অজানা দিক।
advertisement
3/7
পঞ্জাবিতে অনর্গল কথা বলতে পারতেন: স্যাম মানেকশ ছিলেন পার্সি। কিন্তু পঞ্জাবিতে কথা বলতে পারতেন অনর্গল। আসলে মানেকশর জন্ম অমৃতসরে। শৈশব কেটেছে সেখানেই। ফলে পঞ্জাবি তাঁর মাতৃভাষাই বলা যায়। পড়াশোনা নৈনিতালের শেরউড কলেজে। ভারতীয় সেনার শিখ সৈন্যদের সঙ্গে পঞ্জাবিতেই কথা বলতেন মানেকশ। চাকরি জীবনের শুরুতে কয়েক বছর শিখ সৈন্যদের সঙ্গে ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটেলিয়ানে কাটান। পরবর্তীকালে পুরনো ফ্রন্টিয়ারের অনেক সেনাই আপদে বিপদে মানেকশর কাছে হাজির হতেন। তিনিও হাসিমুখে মেটাতেন সব আবদার।
advertisement
4/7
গোর্খা রেজিমেন্টে কাজ করেননি কোনওদিন: স্যাম মানেকশর জনপ্রিয়তা ছিল ব্যাপক। সেনারা ভালবেসে তাঁকে ‘স্যাম বাহাদুর’ বলে ডাকতেন। তবে এই নাম প্রথম দিয়েছিল ৮ গোর্খা রাইফেলসের সেনারা। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, মানেকশ কিন্তু গোর্খা রেজিমেন্টের অংশ ছিলেন না। তারপরেও এই নাম। জনপ্রিয়তা বোঝা যায় এখান থেকেই।স্যাম ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টের একটি ব্যাটিলিয়নে অফিসার হিসেবে যোগ দেন। এটা মূলত শিখ সেনাদের ব্যাটিলিয়ন ছিল। পরে তিনি কোম্পানি কম্যান্ডার হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই ব্যাটিলিয়নের হয়েই বর্মায় যুদ্ধে গিয়ে গুরুতর চোট পান। দেশভাগের পর এই রেজিমেন্টকে পাঠানো হয় পাকিস্তান সীমান্তে। কিছু সময়ের জন্য স্যাম ১৬ পঞ্জাব রেজিমেন্টে বদলি হন। পরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসাবে তাঁকে ৫ম গোর্খা রাইফেলসের তৃতীয় ব্যাটালিয়নকে কমান্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৪৮-৪৯-এ কাশ্মীর যুদ্ধের সময় ময়দানে ছিলেন না স্যাম মানেকশ। সেই সময় তাঁকে পাঠানো হয় সেনা সদর দফতরে। কাঁধে চাপানো হয় বিশেষ দায়িত্ব। ১৯৫৩ সালে, স্যাম অষ্টম গোর্খা রাইফেলসের কর্নেল হন।
advertisement
5/7
১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধের আগে স্যামের বিরুদ্ধে তদন্ত: ১৯৬২ সাল ভারত-চিন যুদ্ধের ঠিক আগে স্যাম মানেকশর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ট্রাম্প-আপের অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় স্যাম মেজর জেনারেল পদে ওয়েলিংটনের ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অনেকেই মনে করেন, স্যামকে রাজনীতির বলির পাঁঠা করা হয়েছিল। আর এর পিছনে ছিল তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভি কে কৃষ্ণ মেনন এবং কিছু রাজনৈতিক নেতার উস্কানি। তৎকালীন জিওসি-ইন-সি ওয়েস্টার্ন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল দৌলত সিংয়ের নেতৃত্বে চলে তদন্ত।মানেকশর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হতেই বহু সেনা অফিসার পদত্যাগ করেন। তাঁরা সবাই মানেকশর পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। অনেকে আবার তাঁর বিরুদ্ধেও সাক্ষ্য দেন। তবে শেষ পর্যন্ত কোনও অভিযোগই প্রমাণ হয়নি। বেকসুর খালাস পান স্যাম মানেকশ। এরপর তাঁর পদোন্নতি হয়। তবে তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়া অফিসারদের উপর কোনও রাগ ছিল না মানেকশর। বরং দৌলত সিংকে জিওসি-ইন-সি ওয়েস্টার্ন কমান্ডের স্থলাভিষিক্ত করেন। পরে বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।
advertisement
6/7
নেহরুর মৃত্যুর পর দিল্লিতে সেনা পাঠানোর জন্য স্যামকে দায়ী করা হয়: ১৯৬৩ সালের ডিসেম্বরে জিওসি-ইন-সি ওয়েস্টার্ন কমান্ডের দায়িত্ব নেন স্যাম মানেকশ। নেহরুর মৃত্যুর পর জাতীয় রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হবে, এই আশঙ্কায় তৎকালীন সেনাপ্রধান দিল্লিতে সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই অনুযায়ী নেহরুর মৃত্যুর পরপরই ৪ পদাতিক ডিভিশন মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয় মানেকশকে। স্যাম লিখিতভাবে সেই নির্দেশের প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু সেনাপ্রধানের আদেশ বলে কথা। স্যাম শেষ পর্যন্ত তা মানতে বাধ্য হন। নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জানতে চাওয়া হয়, কেন সেনা পাঠানো হল? মেজর জেনারেল এস ডি সুদের লেখা থেকে জানা যায়, সেই সময় সব দোষ চাপানো হয়েছিল স্যামের ঘাড়ে।
advertisement
7/7
পাক সেনা যুদ্ধবন্দীকে কোরান: ১৯৭১-এর ভারত-পাক যুদ্ধে ৯০ হাজার সেনা-সহ আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান। যুদ্ধবন্দীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করা হচ্ছে তা নিজে খতিয়ে দেখতেন স্যাম মানেকশ। ঘুরে দেখতেন বন্দীদের শিবির। দিল্লি ক্যান্টনমেন্টের সামরিক হাসপাতালে পরিদর্শনের সময় তিনি চিকিৎসাধীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন কর্নেলের সঙ্গে দেখা করেন। কিছু দরকার কি না জানতে চাইলে স্যামের কাছে কোরান চান সেই সেনা অফিসার। সঙ্গে সঙ্গে তা মঞ্জুর করেন স্যাম। পাকিস্তান অফিসারের জন্য আনা হয় কোরান।
বাংলা খবর/ছবি/পাঁচমিশালি/
Sam Manekshaw: ভারতের প্রিয় প্রথম ফিল্ড মার্শাল, স্যাম বাহাদুর (স্যাম মানেকশ) সম্পর্কে এই ৫ জিনিস অনেকেরই অজানা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল