Nature Adventure: গেলে নাকি ফেরে না কেউ, কার্শিয়াংয়ের গুহায় গেলেন ওঁরা ছ’জন, দেখুন এক্সক্লুসিভ ছবি

এ এক আশ্চর্য ইতিহাস যেন৷ যেন শিউরে ওঠা অতীত হাজির চোখের সামনে৷ কার্শিয়াংয়ের দক্ষিণ-পূর্ব ঢালে আড়াআড়ি ভাবে অবস্থান করছেন রাজারানি পাহাড়৷ আর সেই পাহাড়েই অজানা ছিল এক গুহার উপস্থিতি

স্থানীয় মানুষদের মধ্যে কথিত আছে, এক বার গেলে আর সেই গুহা থেকে নাকি ফেরে না কেউ৷ এ বার সেই গুহার অভিযানেই অনিন্দ্য মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ছ’জন পাড়ি দিয়েছিলেন৷ (ছবি - আশিস চন্দ্র)

এত দিন এই রহস্যময় পাহাড়ের পথে যাওয়ার সাহস দেখাননি কেউই৷ ২০০১ সালে এই অনিন্দ্যই এক বার গিয়েছিলেন৷ তার পর ২২ বছর কেটে গিয়েছে৷ ফের তাঁরা পাহাড়ে গেলেন৷ (ছবি - আশিস চন্দ্র)

ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে, এক সময় দার্জিলিং, কার্শিয়ং, কালিম্পং ছিল সিকিমের অংশ৷ সেখানকার আদি বাসিন্দারা ছিলেন লেপচা৷ সেই লেপচারা মনে করেন, তাঁদের পূর্বপুরুষরা বাস করতেন গুহায়৷ (ছবি - আশিস চন্দ্র)

তেমনই রাজারাও নাকি যুদ্ধের সময় আত্মগোপন করার তাগিদে স্থান নিতেন গুহার মধ্যে৷ সেই চারণে আত্মগোপন করা রাজাদের লেপচারা ডাকতেন গুলমা রাজা ও গুলমা রানি বলে৷ সেখান থেকেই গুলমার জঙ্গল কথাটা এসেছে৷ (ছবি - আশিস চন্দ্র)

এ বারের এই অভিযাত্রী দলে ছিলেন সুকান্ত, শুভ, সৌরভ, ঋভু, আশিস ও অনিন্দ্য৷ তাঁরা বলছেন, এ বারের অভিযান ছিল বেশ কঠিন ছিল৷ কারণ, গুহাটি ছিল ২০০ ফুট উঁচু খাড়া পাহাড়ে ঢাকা৷ রক ক্লাইবিং না জানলে সেখানে প্রবেশ মুশকিল৷ (ছবি - আশিস চন্দ্র)

প্রশাসন থেকে ইতিহাস গবেষক, সকলেই বলছেন, উত্তরবঙ্গের এমন নানা অংশ আছে, যেগুলি এখনও একেবারে অজানা হয়ে রয়েছে৷ এমন অভিযান নতুন করে সেই ইতিহাসের দরজা নবীন প্রজন্মের কাছে খুলে দিতে পারবে৷