Turkey Earthquake: তুরস্কে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে জুলি-রোমিওর জুটি! এবার প্রাণ বাঁচল ৬ বছরের ফুটফুটে শিশুর

তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার মানুষের। ভূমিকম্পের পর পরই উদ্ধারকার্যের জন্য তুরস্কে NDRF দল পাঠিয়েছিল ভারত। তার মধ্যে ছিল ৬ টি কুকুরও। এক NDRF আধিকারিক জানান, যে কোনও জায়াগায় উদ্ধারকাজের জন্য যেতে হলেই সারমেয় বাহিনীর উপরে বড় ভরসা করেন তাঁরা। কোনও জায়গায় গেলেই প্রথমে একজন অন্তত দক্ষ কুকুরকে এলাকা ঘুরে দেখার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। তারপরে তারাই ঘটিয়ে ফেলে একের পর এক চমৎকার। (ছবি:ANI)

প্রথম কুকুরটি যদি ধ্বংস্তূপের নীচে কোনও জীবিত মানুষের সন্ধান পায়, সঙ্গে সঙ্গে তারা তা চিৎকার করে জানান দেয় তার হ্যান্ডলারদের। এরপরে, বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হতে আরও কুকুরদের ওই জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। তারাও একই ইঙ্গিত দিলে, শুরু হয় উদ্ধারকাজ। সম্প্রতি তুরস্কের নুর্দগী এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নীচে ৬ বছরের একটি শিশুর সন্ধান দেয় এই সারমেয়বাহিনী। (ছবি:ANI)

এর আগেও গত ৯ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের গাঞ্জিয়ানতেপ শহরে একটি বহুতলের ধ্বংসস্তূপের নীচে ৬ বছরের একটি বাচ্চার সন্ধান বের করেছিল জুলি। তারপরে, শিশুটিকে তড়িঘড়ি উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদি সময়মতো জুলি বাচ্চাটির খোঁজ না দিত, তাহলে হয়ত ফুটফুটে ওই শিশুকে বাঁচানো যেত না। (ছবি:ANI)

সেই সময় প্রথমে জুলি গোটা এলাকা ঘুরে দেখে। তারপরে, হঠাৎই একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরে চিৎকার করে তার হ্যান্ডলারকে জানান দেয়। তারপরে, রোমিওকেও ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়। সে-ও সেই একই ইঙ্গিত দিতে শুরু হয় উদ্ধারকাজ। কিছুক্ষণের মধ্যে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। (ছবি:ANI)

গত ৬ ফেব্রুয়ারি প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। তারপর থেকেও একাধিকবার আফটার শকে কেঁপেছে ওই এলাকা। গত রবিবারই ৪.৭ স্কেলে কেঁপেছে তুরস্ক। এখনও তুরস্কের একাধিক জায়গায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় NDRF-র দল। জুলি-রোমিওরাও রয়েছে সঙ্গে। (ছবি:ANI)