SIR in West Bengal: ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যদি বাবা-মায়ের নাম না থাকে, তাহলে কী করবেন? আপনার নাম আর উঠবে না? সহজ উপায় কিন্তু আছে
- Published by:Raima Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
SIR in West Bengal: এই রাজ্যে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের কোনও নথিই দিতে হবে না। যদি ২০০২ সালের তালিকায় বাবা-মায়ের নাম না থাকে, তাহলে কী করতে হবে?
advertisement
1/8

পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন বা এসআইআর শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর থেকে।
advertisement
2/8
অনেকেরই প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গের এসআইআরে কী কী নথি প্রয়োজন? কাদের নাম তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে? কারা অবৈধ ভোটার?
advertisement
3/8
পশ্চিমবঙ্গে ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় শেষ বার আমূল বিশেষ সংশোধন হয়েছিল। গত ১০-১৫ বছরে গোটা দেশে এই কাজ আর করেনি কমিশন।
advertisement
4/8
কমিশন সূত্রের খবর, দু’-একটি পরিবর্তন ছাড়া বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গেও একই ভাবে এসআইআর হবে। সেই অনুযায়ী, এই রাজ্যে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের কোনও নথিই দিতে হবে না। ওই তালিকায় নাম দেখাতে পারলেই এ বারের এসআইআরে তাঁদের নাম উঠে যাবে। এসআইআরে ১১টি নথি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কমিশন।তিনি আরও বলেন, "আজ রাত ১২টা থেকে যে সব রাজ‍্যে এসআইআর হচ্ছে সেই সব রাজ‍্যের ভোটার তালিকা ফ্রিজ করে দেওয়া হবে।"
advertisement
5/8
সুপ্রিম কোর্ট পরিচয়পত্র হিসাবে আধার কার্ড গ্রহণ করতে বলেছে। কমিশন জানিয়েছে, ওই ১১টির মধ্যে যে কোনও একটি নথি এবং ২০০২ সালের তালিকায় বাবা অথবা মায়ের নাম রয়েছে প্রমাণ করতে পারলেই নতুন তালিকায় নাম উঠবে। কিন্তু যাঁদের বাবা-মায়ের নাম ২০০২ সালের তালিকায় নেই, তাঁরা কী করবেন?
advertisement
6/8
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আপনার নাম ২০০২, ২০০৩ বা ২০০৪ সালের এসআইআরে নাম না থাকলে বাবা-মা বা অভিভাবকদের নামও দেওয়া যাবে। এবার শুরু থেকেই ফর্ম ৬ নেওয়া হবে। সেখানে বাবা-মায়ের পরিবর্তে অভিভাবকের নামও দেখানো যাবে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোটার তালিকায় থাকা সব মৃত এবং অবৈধ ভোটারের নাম বাদ পড়বে।নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে, পরিচয় এবং বয়সের প্রমাণ হিসেবে নিম্নলিখিত ১১টি নথির যে কোনও একটি জমা দেওয়া যেতে পারে:
advertisement
7/8
যাঁরা অন্যত্র চলে গিয়েছেন বা যাঁদের নাম দু’টি এপিক নম্বরে দু’জায়গায় রয়েছে তাঁদের নাম এক জায়গা থেকে বাদ পড়বে। কারচুপি করে তালিকায় নাম তোলা ব্যক্তিরা ‘অবৈধ ভোটার’। এ ক্ষেত্রে বিশেষত বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের ইঙ্গিত করা হয়েছে। কমিশন মনে করছে, কারচুপি করে ওই ১১টি নথির মধ্যে কোনও একটি তৈরি করা গেলেও ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বাবা বা মায়ের নাম দেখাতে পারবেন না। স্বাভাবিক ভাবেই তখন নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ভারতের নাগরিক প্রমাণ করতে না পারলে নাম বাদ যাবে।
advertisement
8/8
কমিশনের নির্দিষ্ট ১১টি নথি কী কী? ১) কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন অথবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র। ২) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি। ৩) জন্ম শংসাপত্র। ৪) পাসপোর্ট। ৫) মাধ্যমিক বা তার অধিক কোনও শিক্ষাগত শংসাপত্র। ৬) রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র। ৭) ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট। ৮) জাতিগত শংসাপত্র। ৯) কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার। ১০) স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার। ১১) জমি অথবা বাড়ির দলিল।