RCB Stampede: ‘ফ্রি পাস’-র লোভেই কি হুড়মুড়িয়ে এসেছিল মানুষ! জানেন? কর্ণাটকে কেন ভিড় সামলাতে পারেনি পুলিশ
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
জানা গিয়েছে, গত ৩ জুনই একটি চিঠি পাঠিয়ে কর্ণাটক প্রশাসনকে বিধান সৌধে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করার অনুমতি চেয়েছিল কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন৷ যদিও কর্ণাটক সরকার দাবি করেছে, তারা একেবারে শেষ মুহূর্তে বিষয়টা জানতে পেরেছিল৷ সেই কারণেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি৷ তাই স্টেডিয়ামে কম ও বিধান সৌধে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল৷
advertisement
1/10

বেঙ্গালুরু: থিক থিক করছে ছেঁড়া চটি, জুতো৷ বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ঠিক গেটের বাইরে৷ বৃহস্পতিবার সকালে চোখে পড়ল অদ্ভুত সেই শিহরণ জাগানো দৃশ্য, যা দেখে স্তব্ধ হওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু করার থাকে না৷ আনন্দ করতে এসে চলে গেল তরতাজা ১১টা প্রাণ৷ কী কারণে, কাদের গাফিলতিতে এই ঘটনা ঘটলা? সামনে আসছে ৫-৬টা কারণ৷
advertisement
2/10
গতকালের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় ৩ কিশোর-সহ ১১ জন মারা গিয়েছে৷ সবচেয়ে ছোট যে, তার বয়স ছিল ১৩ বছর৷ মৃতদের প্রত্যেকরই বয়স ৪০ এর নীচে৷
advertisement
3/10
পরস্পর বিরোধী ঘোষণা: প্রথমে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছিল, আরসিবি-র ভিক্ট্রি প্যারেড বাতিল করে দেওয়া হয়েছে৷ কারণ, আগে থেকেই অনিয়ন্ত্রিত ভিড় হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল৷ কিন্তু অনুষ্ঠান করার পক্ষেই ছিল কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং আরসিবি৷ গতকাল দুপুর ৩টে ১৪ মিনিট নাগাদ আরসিবি’র তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়, ৫টার সময় ভিক্ট্রি প্যারেড হবে৷
advertisement
4/10
পোস্টে বলা হয়েছিল, ‘‘চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ভিক্ট্রি প্যারেড করা হবে। আমরা সকল ভক্তদের অনুরোধ করছি পুলিশ এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষের দ্বারা নির্ধারিত নির্দেশিকা অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে রোডশো উপভোগ করুন। shop.royalchallengers.com-এ বিনামূল্যে পাস (সীমিত প্রবেশ) পাওয়া যাবে।’’
advertisement
5/10
ফ্রি পাসের ঘোষণা: প্রথম সমস্যা শুরু হয় বুধবার বিকেলের দিকে৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বিভিন্ন এন্ট্রি গেটের বাইরে দুপুর ২টো থেকেই লোকজন জড়ো হতে শুরু করে৷ তারমধ্যে যখন টিম বাস ভিড় ঠেলে এগিয়ে যায়, তখন সবচেয়ে বেশি ধাক্কাধাক্কি শুরু হয় থিক থিক করা ভিড়ের মধ্যে৷ অনেকেই ভেবেছিলেন তাঁদের ফ্রি পাস দেওয়া হবে৷ বা এমনি এমনিই ঢুকতে দেওয়া হবে৷ কিন্তু, পরবর্তী ঘোষণাতেই তোলপাড় পড়ে যায় ভিড়ের মধ্যে..
advertisement
6/10
স্টেডিয়ামের সময় গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ জানতে পারেন, ফ্রি পাস নয়, স্টেডিয়ামের ভিতর ঢুকতে দেওয়া হবে ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভড -এর ভিত্তিতে৷ যা নিয়ন্ত্রণ করার মতো কোনও ব্যবস্থাই সেখানে ছিল না৷
advertisement
7/10
এর মধ্যে স্টেডিয়ামের পূর্ব দিকের গেটটিও ফ্যানদের ঢোকার জন্য খুলে দেওয়া হয়৷ এই গেটটি অত্যন্ত সরু৷ পাশাপাশি ২ জন এখান দিয়ে ঢুকতে পারে কি না সন্দেহ৷ বরং, তাতে হুড়মুড় করে বিনা লাইনেই ঢুকতে শুরু করে মানুষ৷ শুরু হয় বিশৃঙ্খলা৷ ভাঙে ব্যারিকেড৷
advertisement
8/10
পুলিশ বাহিনী ভাগ করে দেওয়া: বিধান সৌধ কমপ্লেক্সের নিরাপত্তার জন্য বেঙ্গালুরু সিটি পুলিশ বাহিনীর একটি বড় অংশকে মোতায়েন করেছিল সেখানে৷ কারণ সেখানে মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের সঙ্গে আরসিবি দলের দেখা করার কথা ছিল।
advertisement
9/10
মনে করা হচ্ছিল, বিধান সৌধের সামনে এক লক্ষেরও বেশি লোক জড়ো হবে। কিন্তু, অন্যদিকে স্টেডিয়ামের সামনে যেখানে দেড় লাখ লোকের জমায়েত হবে বলে মনে করা হয়েছিল, তার দ্বিগুণ, অর্থাৎ ৩ লাখ মানুষ জড়ো হয়েছিল সেখানে। যার ফলে পুলিশের পক্ষে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
advertisement
10/10
জানা গিয়েছে, গত ৩ জুনই একটি চিঠি পাঠিয়ে কর্ণাটক প্রশাসনকে বিধান সৌধে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করার অনুমতি চেয়েছিল কর্ণাটক ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন৷ যদিও কর্ণাটক সরকার দাবি করেছে, তারা একেবারে শেষ মুহূর্তে বিষয়টা জানতে পেরেছিল৷ সেই কারণেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি৷ তাই স্টেডিয়ামে কম ও বিধান সৌধে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল৷