গরিব পাকিস্তানের সেনাবাহিনী বড়লোক! যুদ্ধ করতে হয় না তবু 'কাঁড়ি কাঁড়ি' টাকা জেনারেলদের! কী করে জানেন?
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
Pakistan Army: গরিব দেশের ধনকুবের সেনা! ব্যবসা, জমি আর বিলাসিতার সাম্রাজ্য গড়েছে পাকিস্তানের জেনারেলরা! কী করে জানেন?
advertisement
1/7

পাকিস্তান, এক সময়কার দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত দেশ, আজ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে। জনজীবন দারিদ্র্যের করালগ্রাসে বিপর্যস্ত, কিন্তু সেনাবাহিনীর শীর্ষকর্তাদের বিলাসী জীবনযাপন থেমে নেই। কারণ, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী কেবল একটি সামরিক বাহিনী নয়—এটি একটি শক্তিশালী ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য, একটি ভূমি-মাফিয়া চক্র, একটি ছায়া-সরকার। (Representative Image: AI)
advertisement
2/7
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যুদ্ধ করে না, কিন্তু চালায় ৫০টিরও বেশি ব্যবসা। কয়েকশো কোটি ডলারের রিয়েল এস্টেট ও শিল্প সাম্রাজ্য রয়েছে তাদের। দেশটির মোট দেশজ উৎপাদনের (GDP) ১০ শতাংশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে, যার জেরে সাধারণ মানুষ দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত, আর জেনারেলরা বিলাসবহুল জীবনে অভ্যস্ত। (Representative Image: AI)
advertisement
3/7
আজ পাকিস্তান দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে, তার অন্যতম কারণ সেনাবাহিনী নিজেই। বাইরে থেকে দেশরক্ষার বাহিনী মনে হলেও, ভেতরে তারা যেন একটি সংগঠিত ভূমি-মাফিয়ার চক্র। পাকিস্তানের রাজনীতি, প্রশাসন, অর্থনীতি—সব কিছুতেই সেনাবাহিনীর গভীর দখল। তারা সরকার চালায়, আবার ব্যবসাও করে। এই দ্বৈত ভূমিকা দেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা আজ দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। (Representative Image: AI)
advertisement
4/7
আজ পাকিস্তান দেউলিয়া হওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে, তার অন্যতম কারণ সেনাবাহিনী নিজেই। বাইরে থেকে দেশরক্ষার বাহিনী মনে হলেও, ভেতরে তারা যেন একটি সংগঠিত ভূমি-মাফিয়ার চক্র। পাকিস্তানের রাজনীতি, প্রশাসন, অর্থনীতি—সব কিছুতেই সেনাবাহিনীর গভীর দখল। তারা সরকার চালায়, আবার ব্যবসাও করে। এই দ্বৈত ভূমিকা দেশের জন্য কতটা ক্ষতিকর, তা আজ দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। (Representative Image: AI)
advertisement
5/7
২০১৬ সালে পাকিস্তান সরকার পার্লামেন্টে জানিয়েছিল, সেনাবাহিনী চালায় ৫০টি ব্যবসা। এটি পৃথিবীর অন্যতম বিরল উদাহরণ যেখানে একটি দেশের সেনাবাহিনী নিজেই এত বৃহৎ ব্যবসায় জড়িত। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তান সেনার ব্যবসার পরিমাণ প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের। শুধু তাই নয়, ইসলামাবাদে সেনাবাহিনীর দখলে রয়েছে ১৬,০০০ একর জমি, করাচিতে আরও ১২,০০০ একর। করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি, ইসলামাবাদ, মুলতান, গুজরানওয়ালা, বাহাওয়ালপুর, পেশোয়ার ও কুয়েটার মতো শহরে সেনা পরিচালিত হাউসিং প্রোজেক্ট ছড়িয়ে রয়েছে। শুধু তাই নয়, সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের মাঝে মাঝেই জমি উপহার হিসেবে বিলি করা হয়। (Representative Image: AI)
advertisement
6/7
পাক সেনার এই সাম্রাজ্য এতটাই বিস্তৃত যে, দেশের অর্থনীতির ১০ শতাংশ তাদের নিয়ন্ত্রণে। ‘আর্মি ফাউন্ডেশন’ এবং অন্যান্য ট্রাস্টের মাধ্যমে তারা সিমেন্ট, সার, দুগ্ধজাত পণ্য, বেকারি, পশমজাত সামগ্রী ও পেট্রোল পাম্পের মতো ব্যবসায় হাত বাড়িয়েছে। এমনকি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৈরি সিমেন্টের বস্তা দেখলেই বোঝা যায়—এটি সেনার তৈরি। কারণ, বস্তার রং ও নকশা অনেকটাই সেনা ইউনিফর্মের মতো। ব্যাংকিং, ইনসিওরেন্স, ডেইরি থেকে টেলিভিশনের নাটক তৈরি পর্যন্ত—সবখানেই রয়েছে তাদের দখল। ফলে পাকিস্তানে কোনও সাধারণ ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সহজ নয়। (Representative Image: AI)
advertisement
7/7
সামরিক একনায়কতন্ত্রের ছায়ায় ধুঁকছে গণতন্ত্র ও অর্থনীতি। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় চলা সেনাবাহিনী যখন নিজেই ব্যবসা ও সম্পত্তি লুটে নেয়, তখন রাষ্ট্রযন্ত্রের ভারসাম্য চূড়ান্তভাবে ভেঙে পড়ে। পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক দুর্দশার মূলেও রয়েছে এই সামরিক মাফিয়া সংস্কৃতি। জনগণ গরিব হচ্ছে, আর সেনাপতিরা বিলাসবহুল জীবনে বিদেশে ভিলা কেনায় ব্যস্ত। (Representative Image: AI)