এয়ারপোর্টে খুলে নেওয়া হল অন্তর্বাসও! ভিতরে এ কী...? যা দেখা গেল, তাতে ঘাম ছুটে গেল অফিসারদের!

বিমানবন্দরে সতর্কতা এখন অনেক বেশি। নিরাপত্তা বিভাগের চোখ এড়িয়ে মাছিটিও গলতে পারে না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি এয়ারপোর্টগুলিকে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করতেই বর্তমানে এত কড়াকড়ি। আর তাতেই রক্ষা! সম্প্রতি নিরাপত্তাবাহিনীর সন্দেহ হতেই বড় কেলেঙ্কারি ফাঁস হল!

দুবাই থেকে অমৃতসর বিমানবন্দরে আসা এক যাত্রীকে প্রায় বিবস্ত্র করে তল্লাশি চালানো হল। খুলে নেওয়া হল অন্তর্বাসও। তাতে যা দেখা গেল ভিতরে...ঘাম ছুটল অফিসারদেরও! এ কী এমনও সম্ভব?

যাত্রীর অন্তর্বাসে লুকোনো ছিল কোটি টাকার সোনা! বিমানবন্দর ও শুল্ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুবাই থেকে ফ্লাইটটি অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করলে নিরাপত্তা সংস্থার পাশাপাশি কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তারাও সতর্ক হয়ে যান। এদিকে, কর্মকর্তারা একজন যাত্রীকে সন্দেহ করলে তাঁকে কঠোরভাবে তল্লাশি করা হয়।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই যাত্রী তাঁর অন্তর্বাসে এবং হাঁটুর চারপাশে বাঁধা বেল্টে পেস্ট আকারে সোনা লুকিয়ে রেখেছিলেন। সেই যাত্রীকে শুল্ক আইন, 1962 এর প্রাসঙ্গিক ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

যাত্রীর কাছ থেকে 1.50 কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা যাত্রীকে সন্দেহ করেন, পরে তাঁকে থামিয়ে তাঁর কাছ থেকে ২,৬৭৪ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়। এত বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার করতে ঘাম ছুটেছে নিরাপত্তাবাহিনীর অফিসারদের।

সাম্প্রতিক কালে বিমানবন্দরে সোনা পাচারের অনেক ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, তাই নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সন্দেহজনক যাত্রীদের উপর কড়া নজর রাখতে শুরু করেছে। এর ইতিবাচক ফলাফলও সামনে আসতে শুরু করেছে।

আইজিআই বিমানবন্দরে সোনা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে দিল্লির আইজিআই বিমানবন্দরে এক যাত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ৪০৮ গ্রাম ওজনের চারটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া দুধের গুঁড়ো বাক্স থেকে দুটি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়েছে। শুল্ক আইন, 1962-এর অধীনে আরও তদন্ত চলছে বলে জানানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আটক যাত্রী সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন। এ সময় আইজিআই বিমানবন্দরে তাঁকে নিয়ে সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর পুলিশ তল্লাশি করলে এসব সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।