Pahalgam Terror attack: নাম জিজ্ঞেস করে একে একে খুন করছিল জঙ্গিরা, পহেলগাঁও হামলার পিছনে টিআরএফ! কারা এরা? এদের নেপথ্যেই বা কারা?
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
২০১৯ সালে গঠিত টিআরএফ অতীতেও সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত। কী ভাবে তৈরি হল এই দল? এঁরা কারা?
advertisement
1/8

বধ্যভূমিতে পরিণত হয়েছে ভূস্বর্গ। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও-তে সন্ত্রাসী হামলায় এখনও পর্যন্ত ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারেই বলে মনে করা হচ্ছে। এই হামলার পরেই শিরোনামে উঠে এসেছে এক জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম 'দ্য রেসিডেন্ট ফ্রন্ট।'
advertisement
2/8
পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলার দায়ও স্বীকার করেছে তাঁরা। 'টিআরএফ' নামে পরিচিত এই সংগঠন হামলার দায় নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে কাশ্মীরে অবৈধভাবে বসতি গড়তে চাইলে উপত্যকায় এই ধরনের হামলা চলতেই থাকবে। ২০১৯ সালে গঠিত টিআরএফ অতীতেও সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে যুক্ত। কী ভাবে তৈরি হল এই দল? এঁরা কারা?
advertisement
3/8
দ্য রেসিডেন্ট ফ্রন্ট কী?টিআরএফের উত্থান হয় ২০১৯ সালে। তখন সবে সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের ‘বিশেষ মর্যাদা’-র অবলুপ্তি হয়েছে। ঠিক সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝেই লশকরের ‘ছায়া সংগঠন’ হিসাবে উঠে আসে টিআরএফ। মূল লক্ষ্য ছিল, কাশ্মীরের স্থিতাবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো এবং ভারতের সার্বভৌমত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা। সেই লক্ষ্য সাধনের জন্য নাশকতামূলক কাজকর্মে পুনর্বিন্যাস আনার চেষ্টা শুরু করে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। বিশেষ ভাবে নিশানা করা হয় পরিযায়ী শ্রমিক এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের।
advertisement
4/8
গোড়ায় অবশ্য এই গোষ্ঠীর উপস্থিতি ছিল শুধুই অনলাইনে। পরে ক্রমশ শক্তি বৃদ্ধি করে তারা। প্রতিষ্ঠার মাস ছয়েকের মধ্যেই অনলাইন থেকে বাস্তবে রূপ পায় টিআরএফ। উপস্থিতি জানান দিতে লশকর, জৈশ-ই-মহম্মদ-সহ একাধিক জঙ্গিগোষ্ঠীর থেকে এই সংগঠনে সদস্যদের নিযুক্ত করা হয়েছিল। নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, টিআরএফ জঙ্গিগোষ্ঠীর দ্রুত আড়ে-বহরে বিস্তারের নেপথ্যে সরাসরি ভূমিকা ছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। ২০২৩ সালে টিআরএফকে ‘সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী’ হিসাবে চিহ্নিত করেছিল কেন্দ্র। জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা।
advertisement
5/8
টিআরএফ কী ভাবে কাজ করে?এই সংগঠনে যোগদানের সঙ্গে সঙ্গেই সন্ত্রাসীদের প্রথমে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাওয়া হয় প্রশিক্ষণের জন্য। প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওতে হামলার পিছনেও পাক জঙ্গিদের হাত আছে বলে খবর। এরপর তাঁরা ফিরে আসে দেশে। জানা যায় ঘটনাটি ঘটানোর আগে টিআরএফ সন্ত্রাসীরা তাঁদের বাড়িতেই ছিল। সিগন্যাল পাওয়ার পরই অপারেশনে বেরোয় তাঁরা। শুরু করে আক্রমণ। হামলার পর, পিছনে জঙ্গলে পালিয়ে যায় বলেই খবর।
advertisement
6/8
টিআরএফ সন্ত্রাসীরা প্রায়ই হিন্দু, পর্যটক এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপর আক্রমণ করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন টিআরএফ সন্ত্রাসবাদীরা দ্রুত খ্যাতি অর্জনের জন্য এই কৌশল অবলম্বন করে।
advertisement
7/8
প্রসঙ্গত, পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় লস্কর-ই-তইবার সঙ্গে সঙ্গেই জইশ-ই-মহম্মদ যুক্ত ছিল বলে খবর সূত্রে। এই দিন হামলায় ৫-১০ জঙ্গি যুক্ত থাকতে পারে। গোয়েন্দা সূত্রেও খবর এই টিআরএফ আসলে লস্কর-ই-তইবার একটি শাখা সংগঠন।
advertisement
8/8
কারণ, এই জঙ্গিগোষ্ঠীর পিছনে হাত রয়েছে মুম্বইয়ের ২৬/১১ সন্ত্রাসের চক্রী হাফিজ মহম্মদ সঈদ, জাকিউর রহমান লকভিদের। এরা মূলত আরও একটি ‘ছায়া সংগঠন’ গড়ে কাশ্মীরে নাশকতার ধারা বজায় রাখতে সক্রিয় হয়। আর সেই সূত্রেই গড়ে উঠেছিল তেহরিক লবাইক ইয়া মুসলিম (টিএলএম), ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) -এর মতো জঙ্গিগোষ্ঠী। যে টিআরএফ সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় মঙ্গলবার দুপুরে দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বৈসরন উপত্যকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন পর্যটক। রাতে নৃশংস হত্যালীলার দায় স্বীকার বিবৃতিও দিয়েছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠীটি।