Pahalgam Terror Attack Mastermind: তদন্তকারীদের হাতে চমকে দেওয়া তথ্য, উর্দুতে এমএ, স্কুলে পড়িয়েছেন, এরপরেই পাকিস্তানে পড়তে যায়, সেখান মানুষ নিধনের পাঠ নিয়ে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার মাস্টারমাইন্ড

পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিশোধ ভারত  এখনও মনোমত করে নিতে পারেনি ভারত৷ ডিজিট্যাল স্ট্রাইক, ভিসা বন্ধ, সিন্ধু জল চুক্তি রদের মতো বিষয়গুলি হলও এখন হানার বদলা পাল্টা আক্রমণ এখনও করেনি ভারত৷ কিন্তু যেভাবে সেনাদের মহড়া চলছে তাতে পাকিস্তান আতঙ্কিত। পাকিস্তান আশঙ্কা করছে ভারত যেকোনও মুহূর্তে তাদের মন ভেঙে দিতে পারে। পহেলগাঁওয়ের জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে। জঙ্গি আদিল হুসেন ছাত্র হিসেবে পাকিস্তানে গিয়েছিল কিন্তু সেখান থেকে ফিরে আসে একজন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হিসেবে৷

সন্ত্রাসবাদী আদিল হুসেন স্টাডি ভিসায় পাকিস্তানে পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সে ফিরে আসে খতরনাক জঙ্গি হয়ে সেই অপারেশন পহেলগাঁও পরিচালনা করে। অনেক কাশ্মীরি শিক্ষার্থীই নিয়মিত ভারত থেকে পাকিস্তানে স্টুডেন্ট হিসেবে স্টাডি ভিসায় পাকিস্তানে পড়াশোনা করতে যান। পহেলগাঁওয়ের সন্ত্রাসবাদী আদিল হুসেনও তাদেরই একজন।

আদিল হুসেন, মূলত কাশ্মীরের বিজবেহারা অনন্তনাগের বাসিন্দা। সে ১৯৯২ সালে জন্মেছিল। ২০১৫ সালে সে স্থানীয় একটি কলেজ থেকে স্নাতক হয়। এরপর ২০১৮ সালে তিনি অনন্তনাগের রহমত আলম কলেজ থেকে (এমএ উর্দু) ডিগ্রি অর্জন করে। এই সময়ে, সে সামসিপুরার একটি স্থানীয় স্কুলে বেসরকারি শিক্ষক হিসেবেও কাজ করত। এই সময়েই শুরু বদলের৷ জানা যাচ্ছে যে সে কিছু লোকের সংস্পর্শে আসেন এবং  স্টাডি ভিসায় পাকিস্তানে পড়াশোনা করতে যায়।

সন্ত্রাসবাদী আদিল কীভাবে পাকিস্তানে গেল?কীভাবে ছেলে আদিল পাকিস্তানে গিয়েছিল তার বাবাও এই কথা জানতেন না। তার বাবা কয়েকদিন পর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন যে তার ছেলে নিখোঁজ হয়ে গেছে। তদন্তের সময়, পুলিশ জানতে পারে যে সে কিছু জঙ্গির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। তাদের সাহায্যে আটারি সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে যান। মজার ব্যাপার হল, আদিল হুসেন স্টাডি ভিসার নামে পড়াশোনার অজুহাতে পাকিস্তানে গিয়েছিল৷

সেখানে যাওয়ার পর, সে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অস্ত্র ও বিস্ফোরক প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করে। জঙ্গি শিক্ষা কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ শেষ করার পর, তাকে দুই জঙ্গির সঙ্গে কাশ্মীর উপত্যকায় ফেরত পাঠানো হয়। এখানেই সে জঙ্গি কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে শুরু করে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় অস্ত্র পরিবহন, স্থানীয় এলাকাগুলিতে রেইকি করা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর গতিবিধির তথ্য তার বসদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল তার উপর।

আদিলের ভূমিকা কী?আদিলের স্থানীয় যোগাযোগ ছিল। অতএব, তিনি পহেলগাম আক্রমণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। কোন পথ কোন দিকে নিয়ে যেতে পারে এবং কোথায় লুকিয়ে থাকতে পারে সে সম্পর্কে তার ভালো জ্ঞান ছিল। ধারণা করা হচ্ছে যে, তার স্থানীয় যোগাযোগ এবং তথ্যের ভিত্তিতে, আদিল হুসেন পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন।

বর্তমানে তার খোঁজে চিরুণি তল্লাশি জারি রয়েছে৷ অনেক ছাত্রকে পড়াশোনার নামে কাশ্মীর দিয়ে পাকিস্তানে পাঠানো হয় এবং এই  পথেই একটি বড় চক্র কাজ করে। দিল্লিতে পাকিস্তানি হাইকমিশনের কর্মকর্তারাও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। জাতীয় তদন্ত সংস্থা ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে একটি বড় তদন্ত করছে এবং আদালতে একটি চার্জশিটও পেশ করেছে।