অ্যাকাউন্টে মাত্র ৫৫৬ টাকা, ফ্ল্যাটের বাইরে বোর্ড ঝুলিয়ে একদিনেই ৩.৭২ কোটি টাকা আয় ! হতবাক পুলিশও
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Online Cyber Fraud: তদন্তে জানা যায় যে অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স ছিল ৫৫৬ টাকা। তার পর হঠাৎ একদিনেই ৩.৭২ কোটি টাকা জমা হয়। একই দিনে ৩.৩৩ কোটি টাকা তুলেও নেওয়া হয়।
advertisement
1/5

সাইবার অপরাধ ক্রমশ তার জাল বিস্তার করেই চলেছে দেশে। পুলিশ সক্রিয় অপরাধদমনে, কিন্তু প্রতিনিয়তই দেখা যাচ্ছে অপরাধের নতুন ধরন। রাজধানীতে সম্প্রতি যা ঘটেছে, তা দেখে হতবাক পুলিশও! জানা গিয়েছে যে দিল্লির ত্রিলোকপুরী এলাকার একটি সাধারণ ফ্ল্যাটের বাইরে পার্কিং এরিয়ায় এক অদ্ভুত নীল বোর্ড ঝুলত। প্রতিবেশীরা বলছেন যে ফ্ল্যাটের বাইরের সেই নীল বোর্ডটি এখন আর দেখা যাচ্ছে না। কে বোর্ডটি লাগিয়েছে এবং কে সরিয়ে দিয়েছে, তাও কেউ জানেন না।
advertisement
2/5
ফ্ল্যাটটিও অনেক দিন ধরে খালি রয়েছে। খালি ফ্ল্যাটটি সাইবার জালিয়াতির এমন একটি ঘটনা সামনে এনেছে যে পুলিশ থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক কর্মকর্তারা সকলেই অবাক। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৩ সালে এইচডিএফসি-র করোলবাগ শাখায় ৫০০ টাকা দিয়ে 'জীবিকা ফাউন্ডেশন'-এর একটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল।
advertisement
3/5
তদন্তে জানা যায় যে অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স ছিল ৫৫৬ টাকা। তার পর হঠাৎ একদিনেই ৩.৭২ কোটি টাকা জমা হয়। একই দিনে ৩.৩৩ কোটি টাকা তুলেও নেওয়া হয়। ব্যাঙ্ক কর্মকর্তারা কোনও সূত্রও পাননি। ব্যাঙ্ক দাবি করে যে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছিল। কিন্তু কীভাবে একদিনে কোটি কোটি টাকা জমা হল, এই প্রশ্নের উত্তর কারও কাছে নেই। তদন্তে আরও একটি চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসে। ২০২৪ সালের ৮ অগাস্ট, মাত্র একদিনে, এই অ্যাকাউন্টে মোট ১৯৬০টি লেনদেন হয়েছিল এবং অ্যাকাউন্টে ৩.৭২ কোটি টাকা জমা হয়েছিল। এর মধ্যে ৩.৩৩ কোটি টাকা তোলা হয়েছিল।
advertisement
4/5
পুলিশের রেকর্ড অনুসারে, ৭৮ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা বীরেন যাদব সাইবার জালিয়াতির শিকার হন। তাঁ সঙ্গে ডিজিটাল অ্যারেস্টের প্রতারণা হয়। যাদব প্রথমে অ্যাকাউন্টে ৪২.৫ লক্ষ টাকা জমা করেন। কিন্তু রেহাই পাননি। হুমকির মুখে তাঁর কাছ থেকে ১.৫৯ কোটি টাকা আদায় করা হয়। চারটি ব্যাঙ্কের বিভিন্ন মিউল অ্যাকাউন্টে এই টাকা ট্রান্সফার করা হয়। এখন ৬টি রাজ্যের পুলিশ 'জীবিকা'-র মিউল অ্যাকাউন্টগুলো তদন্ত করছে। প্রত্যেকটারই ডিজিটাল অ্যারেস্টের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে। গুরুগ্রাম, হায়দরাবাদ, মণিপাল, চেন্নাই এবং কলকাতা-সহ দেশের নানা জায়গায় এই জালিয়াতি চলেছে। শহরের তালিকাটি আরও দীর্ঘ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
5/5
'জীবিকা ফাউন্ডেশন'-এর কোনও রেকর্ড কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। শুধুমাত্র একটি ফেসবুক পেজ আছে যেখানে 'ডা. অমরেন্দ্র ঝা' নামে একজনের পরিচয় মিলেছে। তিনি প্রথমে ত্রিলোকপুরীতে একটি অফিস থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন, কিন্তু পরে তা অস্বীকারও করেছিলেন।এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের কর্মকর্তারা বলছেন যে দুটি রাজ্যের পুলিশ তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন, তাই তাঁরা আর কিছু জানাতে চাননি। তদন্তে আরও জানা গিয়েছে যে যখন অ্যাকাউন্টে মাত্র ৩৮ লক্ষ টাকা অবশিষ্ট ছিল, তখন ব্যাঙ্ক ডেবিট ফ্রিজ করে।