কখনও জোটসঙ্গী আরজেডি, কখনও জোটসঙ্গী বিজেপি! বিহারে বারবার ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ের মুখ নীতীশ
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
তাঁকে ইতিহাস মনে রাখে রাজনীতির ময়দানে বারবার প্রাসঙ্গিক ভাবে ফিরে আসার জন্য। রাজনীতিতে তিনি প্রতিবার ফিরে আসেন আগের থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে। তিনি জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। তাঁকে ভারতীয় রাজনীতিতে টিকে থাকার লড়াইয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম মুখ হিসাবেও দেখা হয়।
advertisement
1/10

তাঁকে ইতিহাস মনে রাখে বারবার ফিরে আসার জন্য। রাজনীতিতে তিনি প্রতিবার ফিরে আসেন আগের থেকে আরও শক্তিশালী হয়ে। তিনি জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। তাঁকে ভারতীয় রাজনীতিতে টিকে থাকার লড়াইয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম মুখ হিসাবেও দেখা হয়।
advertisement
2/10
জেডিইউ-এর প্রধান হিসাবে বিহারের ১০তম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন নীতিশ কুমার। এনডিএ-এর সঙ্গে জোট বেঁধে বিহারে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছেন তাঁরা।নীতিশ কুমার বিহারের সবথেকে লম্বা সময় ধরে পদে থাকা মুখ্যমন্ত্রী আগেই হয়েছেন। এবার পঞ্চম বারের মতন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি।
advertisement
3/10
এছাড়াও,রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সরকারে ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে বারবার সফল হয়েছেন তিনি। ন'বার বিভিন্ন সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। এই স্টান্সকেই তাঁর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে টিকে থাকার লড়াই হিসাবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
advertisement
4/10
১ মার্চের ১৯৫১ সালে পাটনার থেকে কিছুটা দূরে অখ্যাত এক শহর বখতিয়ারপুরে জন্ম নীতিশের। তাঁর বাবা ছিলেন আয়ুর্বেদিক তথা স্বাধীনতা সংগ্রামী। শিক্ষাগত যোগ্যতায় তিনি ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
advertisement
5/10
তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বিহারের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়াকালীন। এনআইটি পাটনায় তিনি তখন সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। সারা ভারতে তখন জয়প্রকাশ নারায়ণ আন্দোলন জ্বরে কাঁপছে। সেই সময়েই সামনে আসে লালু প্রসাদ, সুশীল কুমার মোদির মতন নেতারাও। তাঁরা দুজনেই তখন পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট এবং জেনারেল সেক্রেটারি।১৯৮৫ সালে প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়ে জয় পান নীতিশ কুমার। সেই বছর গোটা বিহার জুড়ে কংগ্রেস ঝড় বইলেও, নিজের হারনৌট আসনে লোক দলের প্রার্থী হয়ে জয় ছিনিয়ে নেন। পাঁচ বছর পর দিল্লিতে অধুনা বিলুপ্ত বারহ আসন থেকে জিতে সাংসদ হন।
advertisement
6/10
এরপরে বিহারে যখন ১৯৯০ দশকের প্রথমদিকে মণ্ডল কমিশনের ২৭% সংরক্ষণের হাওয়ায় লালু প্রসাদ যখন ভোটের ফসল ঘরে তুলছিলেন। সেই সময়েই জর্জ ফার্নান্ডেজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সমতা পার্টির গঠন করেন। এরপরে এই দল জেডি(ইউ)-এর সঙ্গে মিশে যায়। ২০০৫ এর থেকে বিজেপির সঙ্গে এই দলই হয় কেন্দ্রে নয়ত রাজ্যে ক্ষমতা ভাগ করেছে।
advertisement
7/10
নীতিশ কুমারের প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর সময়টা, বড় সমালোচকদেরও বাহবা কুড়িয়েছিল। তিনি ক্ষমতায় আসার পরেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার ভোল বদলে দেন। কারণ, সেই সময় গণহত্যা থেকে বিরোধীদের হত্যার খবর বারবার শিরোনামে উঠে আসছিল।
advertisement
8/10
তাঁর আমলেই ওবিসি ছাড়াও কুর্মীদের এক্সট্রিম ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস বা (ইবিসি) এবং মহাদলিতদেরও সুযোগ সুবিধার বিষয়টি তুলে ধরেন।২০১৩ সালে জেডি(ইউ) প্রধান নীতিশ কুমার বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করলেও ক্ষমতায় টিকে থাকেন। এরপরের বছর লোকসভায় জেডি(ইউ)-এর খারাপ ফলের জন্য ক্ষমতা থেকে সরে আসেন।
advertisement
9/10
একবছর বাদেই তাঁর সবথেকে কাছের প্রতিপক্ষ জিতেন রাম মাঝিকে সরিয়ে আরজেডি এবং কংগ্রেসের সমর্থনে ক্ষমতায় ফিরে আসেন তিনি। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে মহাগঠবন্ধনের সরকার গঠিত হয়। কিন্তু, দু'বছরের মধ্যেই শেষ হয় এই জোটের সরকার।২০১৭ সালে ফের এনডিএ-তে ফেরেন নীতিশ। বিজেপির থেকে মুখ ঘুরিয়ে ফের ২০২২ সালের অগাস্টে মহাগঠবন্ধন বা গ্র্যান্ড অ্যালায়েন্সে ফেরেন তিনি।
advertisement
10/10
মুখ্যমন্ত্রী পদে মহাগঠবন্ধন সরকারের হাত ধরে ফিরলেও ফের বিজেপির দিকে ডিগবাজি খান নীতিশ। সরকার গঠনের মাত্র ১৮ মাসের মাথায় বিজেপির সঙ্গে নতুন সরকার গড়েন জেডি(ইউ) প্রধান। আর এরপরে সেই বিজেপির সঙ্গে জোট করেই মহাগঠবন্ধনকে কার্যত ধরাশায়ী করে আরও একবার ক্ষমতা ধরে রাখতে চলেছেন নীতিশ কুমার।