Meghalaya Honeymoon Case: 'বাঁচাও, বাঁচাও...' মাথায় কোপ পড়তেই চিৎকার রাজার! সোনমের তখন সে যা রূপ! স্বামী রক্তে স্নান করছে, কী করছিল তখন স্ত্রী সোনম জানেন? শুনে চমকে উঠবেন
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Meghalaya Honeymoon Case: এই সোনমই রাজা খুনে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত। অথচ ভিডিওতে হাসিখুশি ওই দম্পতিকে দেখে সে সবের কিছুই আঁচ করার জো নেই।
advertisement
1/10

মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে খুন হয়েছেন ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী। তদন্ত সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, খুনের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেও স্ত্রীর সঙ্গে হইহই করে চড়াই বেয়ে পাহাড়ে উঠেছিলেন রাজা। তখনও জানতেন না, আর কিছু ক্ষণেই খুন হতে চলেছেন তিনি! সম্প্রতি একটি ভিডিওয় রাজা এবং তাঁর স্ত্রী সোনমকে মেঘালয়ের ঘন জঙ্গলে ঘেরা এক পাহাড়ে চড়তে দেখা গিয়েছে।
advertisement
2/10
ঘটনাচক্রে, এই সোনমই রাজা খুনে অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত। অথচ ভিডিওতে হাসিখুশি ওই দম্পতিকে দেখে সে সবের কিছুই আঁচ করার জো নেই।
advertisement
3/10
এবার তদন্ত সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বিশাল সিং চৌহান চাপাতি দিয়ে রাজার গায়ে প্রথম কোপ বসাতেই দৌড়ে পালিয়ে যায় তাঁর সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। রাজা রঘুবংশী খুনের পুনর্নির্মাণ করতে গিয়ে এই তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে মেঘালয় পুলিশ।
advertisement
4/10
তদন্তে আরও জানা গিয়েছে, রাজা যন্ত্রণায় কাতরে উঠেছিলেন, সাহায্যের জন্য চিৎকারও করেছিলেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফিরে আসেনি সোনম রঘুবংশী। এমন হাড়হিম তথ্য নাড়িয়ে দিয়েছে তদন্তকারী অফিসারদের।
advertisement
5/10
পুনর্নির্মাণের পর ইস্ট খাসি হিল্স–এর পুলিশ সুপার বিবেক সিয়েম বলেন, ''রাজাকে প্রথম আঘাত করেছিল বিশাল। রাজার পিছনে দুই হাত দিয়ে চাপাতি চালিয়েছিল বিশাল। সে রাজার পেছনেই দাঁড়িয়েছিল। রাজার সামনে ছিল সোনম। এর পর তাঁকে কোপায় আনন্দ এবং শেষ কোপটি মারে আকাশ।''
advertisement
6/10
পুলিশ জানতে পেরেছে, গোটা ঘটনার মূল চক্রী সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা সে সময় ইন্দোরেই ছিল। সেখানে বসেই সে সমস্ত খোঁজখবর রাখছিল। রাজার দেহ গিরিখাতে ফেলে দেওয়ার সময়েও সেখানে ছিল না সোনম।
advertisement
7/10
পুলিশ স্পষ্টতই জানিয়েছে, ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে বিয়ের পর মেঘালয়ে হানিমুনে নিয়ে গিয়ে তাঁকে খুনের ছক কষে স্ত্রী সোনম এবং তার প্রেমিক রাজ কুশাওয়াহা। আর এই জন্য তারা তিন দুষ্কৃতীর সাহায্যও নেয়। তিন আততায়ী রাজয়ের পরিচিত। তবে তারা এর আগে কোনও অপরাধ করেনি বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে।
advertisement
8/10
এদিকে, মেঘালয়ে রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এবার উঠে এল নতুন নাম৷ তদন্ত করতে গিয়ে সঞ্জয় ভার্মা বলে একজনের নাম পেয়েছে পুলিশ৷ তদন্তকারীদের দাবি, সঞ্জয় ভার্মা নামে এই ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ের আগে এবং পরে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছিল সোনমের৷
advertisement
9/10
পুলিশের কাছে আসা তথ্য অনুযায়ী, ১ মে থেকে ২৫ মে-র মধ্যে এই সঞ্জয় ভার্মার সঙ্গে ১১৯ বার কথা হয়েছিল সোনমের৷ বর্তমানে এই সঞ্জয় ভার্মার মোবাইল নম্বরটি সুইচড অফ রয়েছে৷
advertisement
10/10
গত ১১ মে সোনমের সঙ্গে বিয়ে হয় মধ্যপ্রদেশের ইনদওরের বাসিন্দা রাজা রঘুবংশীর৷ সোনম নিজেও ইনদওরের বাসিন্দা৷ ২০ মে হনিমুনে মেঘালয়ে যান তাঁরা৷ ২৩ মে নিজের প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তিন জন ভাড়াটে খুনির সাহায্যে রাজাকে খুন করেন তাঁর স্ত্রী সোনম৷ ঘটনাস্থলে সোনম নিজেও উপস্থিত ছিল৷ গত ২ জুন পূর্ব খাসি পাহাড়ের ওয়েই সাওডং জলপ্রপাতের সংলগ্ন একটি খাদ থেকে রাজার পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷ তার পরেও নিখোঁজ ছিল রাজার স্ত্রী সোনম৷ গত ৭ জুন উত্তর প্রদেশের গাজিপুর থেকে সোনমকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ এর পরেই এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সামনে আসে৷