Meghalaya Couple Missing Case: সোনমকে মারা হয়নি, বেঁচে আছেন তিনি, একটি ঘটনাতেই বুঝে যায় পুলিশ! কী জানেন? মেঘালয় কাণ্ডে সন্দেহ কেন ঘুরল সোনমের দিকে?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Meghalaya Couple Missing Case: উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ সোনমের। দাবি পুলিশের।
advertisement
1/12

হানিমুনে গিয়ে স্ত্রীয়ের হাতে স্বামীর খুনের ছক কি শুধুই নববধূর? নাকি রাজা রঘুবংশীকে খুনের অভিযোগে ধৃত নববধূ সোনম রঘুবংশীর সঙ্গে রয়েছেন কোনও ‘তৃতীয় ব্যক্তি’? উত্তরপ্রদেশের গাজ়িয়াবাদ থেকে সোনমকে গ্রেফতার করার পর পুলিশের সন্দেহ, নববধূ একা নন, রাজা রঘুবংশীর খুনের পিছনে রয়েছেন মধ্য়প্রদেশের এক বাসিন্দা।
advertisement
2/12
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজাকে খুন করতেই মধুচন্দ্রিমায় পাহাড়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনম। মধুচন্দ্রিমার জন্য বেছে নিয়েছিলেন দেশের অন্য প্রান্তের একটি রাজ্য মেঘালয়কে। পুলিশের আরও দাবি, বিয়ের আগের সম্পর্কের কারণে এই হত্যার ছক কষেন সোনম।
advertisement
3/12
কিন্তু কী থেকে প্রথম সোনমের উপর সন্দেহ হয় পুলিশের? পুলিশের দাবি, হানিমুন ট্রিপে মেঘালয়ের মাওলাখিয়াত গ্রামের কাছে নির্জন ‘ডবল ডেকার ব্রিজ’-এ হাইকিংয়ে গিয়ে রাজাকে খুন করা হবে বলেই গাইড নিতে চাননি নববধূ সোনম। শনিবার মাওলাখিয়াত গ্রামের স্থানীয় গাইড পিডি অ্যালবার্ট জানিয়েছিলেন, গাইড নিতে চাননি রাজা-সোনম।
advertisement
4/12
২৩ মে সকাল ১০টা নাগাদ রাজা ও সোনমকে লংরিয়াট গ্রামে ‘ডবল ডেকার ব্রিজ’ হাইকিংয়ে যেতে দেখেছিলেন তিনি। সেখানে তাঁদের সঙ্গে আরও তিনজন ব্যক্তির উপস্থিতির কথা গাইডই প্রথম জানায় পুলিশকে। সেই তথ্যই পুলিশকে নাড়িয়ে দেয়। এরপরই পুলিশ বুঝতে পারে, হয়ত সোনমের কিছুই হয়নি। এরপরেই তদন্তের জাল আরও ছড়ায় পুলিশ। শেষমেশ আসে সাফল্য।
advertisement
5/12
পুলিশ তদন্তে জানা যায়, বিয়ের আগে রাজ কুশওয়াহা নামে এক যুবকের সঙ্গে সোনমের প্রেম ছিল। প্রেমের পথ থেকে রাজাকে সরিয়ে দিতে মধুচন্দ্রিমায় শিলং গিয়েছিলেন তাঁরা।
advertisement
6/12
পুলিশ সূত্রে আরও দাবি, বিয়ের পরেও রাজ ও সোনমের যোগাযোগ ছিল। সোনম রাজাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন এবং প্রেমিকের সঙ্গে শিলংয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বলে দাবি পুলিশের। রাজা হত্যায় আরও এক অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ। বর্তমানে পলাতক সেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দাই সোনমের প্রেমিক কিনা, তা জানা যায়নি।
advertisement
7/12
ইন্দোরের ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে গত ১১ মে সাতপাকে বাঁধা পড়েন সোনম। এর পর ২০ মে মেঘালয়ে হানিমুনে যান নবদম্পতি। কী এমন ঘটল যে, হানিমুনে গিয়ে খুন হয়ে গেলেন যুবক? তদন্তে নেমে তদন্তকারীদের হাতে এসে পৌঁছেছে রোমাঞ্চকর তথ্য।
advertisement
8/12
পুলিশ সূত্রে খবর, রাজা খুনের পিছনে সোনমের প্রেম অন্যতম বড় কারণ হিসাবে কাজ করেছে। ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীর সঙ্গে বিয়ে হলেও প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেন সোনম। বাড়ির চাপে পড়ে রাজাকে বিয়ে করলেও রাজকেই ভালোবাসেন তিনি, জেরায় সোনম এ কথা স্বীকার করেছেন বলে পুলিশের দাবি। 'পথের কাঁটা' রাজা রঘুবংশীকে সরাতেই খুনের ছক কষেন সোনম-রাজ, সন্দেহ পুলিশের।
advertisement
9/12
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়েই রাজাকে সরিয়ে ফেলা হবে বলে পরিকল্পনা করেন সোনম-রাজ। ভাড়াটে খুনিকে কাজে লাগিয়ে রাজা রঘুবংশীকে রাস্তা থেকে সরানোর মূল প্ল্যানটা ছিল রাজেরই। কিন্তু এর খুঁটিনাটি সবই জানতেন সোনম।
advertisement
10/12
এদিকে, সোনম ধরা পড়তেই রীতিমতো ফুঁসে উঠলেন রাজা রঘুবংশীর মা। ছেলে হারিয়ে মা উমা সরাসরি আঙুল তুলেছেন বৌমা সোনমের দিকেই। বৌমা দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁকে ফাঁসি দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। তবে, সোনমের উপর সন্দেহ থাকলেও এখনই তাঁকে আসামি বলে মানতে চান না সোনমের দেওর বিপুল রঘুবংশী!
advertisement
11/12
সোনমের শাশুড়ি অর্থাৎ রাজার মায়ের অভিযোগ, রাজাকে একপ্রকার জোর করেই মেঘালয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন সোনম। তাঁর দাবি, সোনম নিজে থেকেই মেঘালয়ের বিমানের টিকিট কেটেছিলেন। বিমানের টিকিট কাটার আগে রাজার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনও আলোচনাও করেননি সোনম। তাঁর দাবি, সোনম সকলের সঙ্গে এত মিষ্টি ভাবে কথা বলতেন যে কারও মনে কোনও সন্দেহই হয়নি। সোনম দোষী প্রমাণিত হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ডের দাবি তুলেছেন রাজার মা।
advertisement
12/12
তবে, মা এমন দাবি করলেও সোনমকে এখনই আসামি বলে দাগিয়ে দিতে চান না রাজার ভাই বিপুল। তাঁর দাবি, সোনম আত্মসমর্পণ করেননি। সন্ধান পেয়ে পুলিশ তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়েছিল। তাই যত ক্ষণ না সোনম নিজে মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করছেন, তত ক্ষণ সোনমকে আসামি বলে মানতে চাইছেন না বিপুল।