Meghalaya Couple Case: মেঘালয়ের ঘটনায় বাংলা-বিহার ‘যোগ’! স্বামীকে মারতে প্রেমিকের সঙ্গে দিনের পর দিন ষড়যন্ত্র, তারপর পালাল কী ভাবে?
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
তাছাড়া, হানিমুন থেকে ফেরার টিকিট সোনমরা কেন কাটেনি, তা নিয়েও সন্দেহ দানা বেঁধেছিল৷ সোনম ফোনের মাধ্যমে তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সাথে সমানে কন্টাক্ট রেখে যাচ্ছিল৷ প্রমাণ মেলে সেখানেও৷ তারপরেই শুরু হয় ধরপাকড়৷ গ্রেফতার হয় সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা, আর তিন তার তিন সঙ্গী ভিকি, আকাশ এবং আনন্দ৷ যদিও রাজ মেঘালয়ে যায়নি৷
advertisement
1/7

প্রেম, বিয়ে, হানিমুন এবং তারপর একটা রক্তাক্ত ষড়যন্ত্র... হাড়হিম করা একটা গল্প! সিনেমার স্ক্রিপ্টের মতো শোনালেও, মধ্যপ্রদেশ থেকে শুরু করে মেঘালয়ে পৌঁছে ঘটেছে এই ঘটনা। ইন্দোরের ২৯ বছর বয়সি ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশী এবং ২৫ বছরের সোনমের বিয়ে হয়েছিল চলতি বছরের ১১ মে। বিয়ের মাত্র ৯ দিন পরে, অর্থাৎ ২০ মে, এই দম্পতি তাদের মধুচন্দ্রিমার জন্য মেঘালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। ২৩ তারিখ থেকে নিখোঁজ৷
advertisement
2/7
নিখোঁজ হওয়ার ১১ দিন পরে মিলেছিল স্বামী রাজা রঘুবংশীর লাশ৷ লাশে পাশে পড়েছিল একটা রক্তমাখা চাপাতি, মেয়েদের একটা সাদা শার্ট এবং একটা ভাঙা মোবাইল স্ক্রিন৷ কেউ ভাবতেও পারেনি নববিবাহিতা একটা কনে এতবড় অপরাধ করতে পারে। মধ্যপ্রদেশ থেকে মেঘালয় এবং তারপর উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর, সোনমের গ্রেফতারি সর্বত্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
advertisement
3/7
মেঘালয়ের ইস্ট খাসি হিলসের সুপার বিবেয় সিয়াম দাবি করেছেন, সোনমের সঙ্গে ঘটনার গুরুতর যোগাযোগ রয়েছে৷ স্থানীয় এক ট্যুর গাইড, যে সম্ভবত রাজা রঘুবংশীকে শেষ জীবিত অবস্থায় দেখেছিল, সে বয়ান দিয়েছিল, রাজা ওসোনমের সঙ্গে তিনজন হিন্দি ভাষী যুবক ছিল৷ এর পরে রাজার দেহের পাশে উদ্ধার হওয়া চাপাতি থেকে সন্দেহ আরও বাড়ে৷ সেই চাপাতি একেবারে ঝকঝকে নতুন ছিল, আর তা স্থানীয় খাসি অথবা অন্যান্য সম্প্রদায়ের ব্যবহৃত ট্র্যাডিশনাল চাপাতি ছিল না৷
advertisement
4/7
তাছাড়া, হানিমুন থেকে ফেরার টিকিট সোনমরা কেন কাটেনি, তা নিয়েও সন্দেহ দানা বেঁধেছিল৷ সোনম ফোনের মাধ্যমে তার প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার সাথে সমানে কন্টাক্ট রেখে যাচ্ছিল৷ প্রমাণ মেলে সেখানেও৷ তারপরেই শুরু হয় ধরপাকড়৷ গ্রেফতার হয় সোনমের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা, আর তিন তার তিন সঙ্গী ভিকি, আকাশ এবং আনন্দ৷ যদিও রাজ মেঘালয়ে যায়নি৷
advertisement
5/7
ভিকি, আকাশ এবং আনন্দকে ধরলেও সোনমের খোঁজ মেলে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুরের একটি ধাবায়৷ সেই ধাবা থেকে সে তার ভাই গোবিন্দকে ফোন করে৷ আর সেই ফোনেই ধরা পড়ে যায় সে৷ এখন প্রশ্ন, মেঘালয় থেকে সে কীভাবে উত্তরপ্রদেশ পৌঁছল?
advertisement
6/7
সন্দেহ করা হচ্ছে, মেঘালয়ে স্বামীকে খুন করার পরে, সোনম মেঘালয় থেকে প্রথমে বাংলায় প্রবেশ করে৷ তারপর বাংলা-বিহার সীমান্তে যায়। সেখান থেকে কিষাণগঞ্জ এবং কাটিহার, গয়া-পাটনা হয়ে বক্সারে পৌঁছয়৷
advertisement
7/7
তারপর উত্তর প্রদেশে প্রবেশ করেসোনম। মেঘালয় পুলিশ বর্তমানে এই মামলার প্রতিটি সূত্র পরস্পরের সঙ্গে মেলানোর চেষ্টা করছে। পুলিশের মতে, সোনম এবং তার সঙ্গীরা বিহারের কিছু এলাকায় হত্যার সাথে সম্পর্কিত কিছু সূত্র লুকিয়েছে। তাই, এই মামলাটি প্রতিটি দিক থেকে তদন্ত করা হচ্ছে এবং বিহার পুলিশের কাছ থেকেও সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।