থানায় এসে বাবা বললেন, 'আমার ছেলে আর নেই!' কিন্তু পুলিশের চোখে ধরা পড়ল এক অদ্ভুত বিষয়, মোড় ঘুরে গেল!
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
বাবা দাবি করলেন ছেলের মৃত্যু হয়েছে, শেষকৃত্যও সম্পন্ন। এত দূর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল, কিন্তু পুলিশের চোখে ধরা পড়ল এমন এক অদ্ভুত বিষয়, যা পুরো ঘটনাটিকে মোড় ঘুরিয়ে দিল রহস্যে।
advertisement
1/8

থানায় হঠাৎ এক মধ্যবয়সী ব্যক্তি হাজির হয়ে জানালেন, তাঁর ছেলে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। কিছুদিন পর আবার ফিরে এলেন—এইবার দাবি করলেন ছেলের মৃত্যু হয়েছে, শেষকৃত্যও সম্পন্ন। এত দূর পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল, কিন্তু পুলিশের চোখে ধরা পড়ল এমন এক অদ্ভুত বিষয়, যা পুরো ঘটনাটিকে মোড় ঘুরিয়ে দিল।
advertisement
2/8
পুলিশ জানায়, গত ৫ মার্চ নাজাফগড় থানায় সতীশ কুমার হাজির হন এবং দাবি করেন তাঁর ছেলে গগন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। কিন্তু পুলিশ যখন গগনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে, তখন তিনি নিখোঁজ। এমনকী, সতীশও কোনও লিখিত বয়ান না দিয়েই থানায় থেকে চলে যান।
advertisement
3/8
এরপর ১১ মার্চ তিনি আবার থানায় এসে দাবি করেন, গগন মারা গিয়েছে এবং উত্তরপ্রদেশের হাপুড়ে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। তিনি পুলিশকে এফআইআর দায়েরের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তবে তাঁর আচরণে পুলিশের সন্দেহ আরও বাড়ে।
advertisement
4/8
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, গগন আদৌ কোনও দুর্ঘটনার শিকার হয়নি এবং তিনি জীবিত রয়েছেন। আরও গভীর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, এক বাইক চালককে টাকা দিয়ে গগনকে ‘আঘাত’ করার নাটক তৈরি করা হয়েছিল।
advertisement
5/8
পুলিশ যখন বাইকচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে, তখন সে পুরো ঘটনাটি ফাঁস করে দেয়। পুলিশ এরপর হাপুড়ে যায়। সেখানে কোনও মৃত্যুসনদ বা শেষকৃত্যের নথির হদিশ মেলে না। উলটে, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গগন নিজেই উপস্থিতদের টাকা বিলি করছেন। এখানেই স্পষ্ট হয়ে যায়, পুরো ঘটনাটিই ভুয়ো।
advertisement
6/8
প্রকাশ্যে আসে, বাবা ও ছেলে মিলে ১ কোটি টাকার বিমা টাকা হাতাতে তৈরি করেছিলেন এক নিখুঁত পরিকল্পনা। মৃত বলে ছেলের নামে পুলিশের কাছে গিয়ে রিপোর্টও করেন বাবা। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়া এত সহজ ছিল না। সন্দেহ দানা বাঁধতেই একে একে খুলে যেতে থাকে প্রতারণার পর্দা।
advertisement
7/8
দিল্লি পুলিশের হাতে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, এক বাবা তাঁর জীবিত ছেলেকে ‘মৃত’ বলে দেখিয়ে বিমার টাকা হাতানোর চেষ্টা করেছিলেন। সেই বাবার নাম সতীশ কুমার (৫০) ও ছেলের নাম গগন কুমার (২৭)। দু’জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
advertisement
8/8
দ্বারকা DCP অঙ্কিত সিং জানান, প্রতারণা, জালিয়াতি ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় দু’জনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ১ কোটি টাকার লোভে সাজানো এই নাটকের পর্দা নামায় পুলিশের সজাগ দৃষ্টি। এখন বাবা ও ছেলে দু’জনই জেলে এবং এই মামলার সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য দিকও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।