Tree House In Jabalpur: ১২৭ বছরের পুরনো গাছ কাটতে মন চায়নি, এই পরিবার বাড়ি বানাল দারুন উপায়ে, দেখুন

এমনই এক অনন্য বাড়ি, যা দেখতে এখন লোকজন ভিড় করছে। মাঝে পুরনো বট গাছ, আর সেই গাছকে ঘিরেই বাড়ি। মধ্যপ্রদেশের জবলপুরের পানগর এলাকায় এই বাড়িটিকে ট্রি হাউস বললে ভুল হবে না। ১২৭ বছরের পুরনো একটি বট গাছ না কেটে বাড়ির মালিক সেখানে বাড়ি তৈরি করেছেন। এই তিনতলা বাড়িতে গাছের শিকড় নীচে এবং ডাল ছড়িয়ে রয়েছে। বিশাল গাছ বাঁচাতে কেশরওয়ানী পরিবারের এই কাজ সবাইকে পরিবেশ রক্ষার শিক্ষা দিচ্ছে।

মধ্যপ্রদেশের কেশরওয়ানি পরিবারের কয়েকজন সদস্যই নয়, ১২৭ বছরের পুরনো এই বট গাছও তাঁদের সঙ্গেই থাকে। সাধারণত মানুষ ঘরের জানালা দিয়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে পেলেও এখানে এই গাছের ডালগুলো জানালা দিয়ে বেরিয়ে আসে। এই বাড়ির ভিত স্থাপিত হয়েছিল ২৭ বছর আগে। এই বাড়ির মালিক ডক্টর মতিলাল কেশরওয়ানি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। তাঁর ছেলের মতে, মতিলাল কেশরওয়ানি এই গাছের ছায়ায় বড় হয়েছিলেন এবং বাড়ি তৈরির সময় গাছটি রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন।

জমির মাঝখানে বট গাছ থাকায় বাড়ি বানাতে অনেক অসুবিধা হলেও কেশরওয়ানী সেটি কাটতে রাজি হননি। তাঁর পরিবারের সদস্যরা পরে গাছ না কেটে এর চারপাশে একটি বাড়ি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। গাছের চারপাশে তৈরি এই বাড়িটি সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব।

কেশরওয়ানি পরিবারের এই বাড়িটি সারা শহরে জনপ্রিয়। এই বাড়ির নীচে একটি মন্দিরও রয়েছে। সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ পূজো দিতে আসেন। এখন এই বটগাছটিও ঘরের অংশ হয়ে গেছে। বাড়ি নির্মাণে গাছের কোনো অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এই কারণে ডাইনিং রুম থেকে অন্য রুমে কোনও না কোনও গাছের গুঁড়ি দেখতে পাওয়া যায়।

পরিবেশ সুরক্ষার পাশাপাশি বট গাছের আধ্যাত্মিক গুরুত্বও রয়েছে অনেকের কাছে। বিশ্বাস অনুসারে, এই গাছে ৩৩ কোটি দেবতাও বাস করেন। এই কারণেই বাড়ির সদস্যরাও প্রতিদিন এই গাছের পুজো করেন। বৈজ্ঞানিকভাবেও বটই একমাত্র গাছ যা দিনে ও রাতে অক্সিজেন দেয়। বাড়ির লোকজন বলেন, এই বাড়ির মাধ্যমে আমরা এখানকার মানুষকে একটা বার্তা দিতে চাই। যে কোনো কিছু ধ্বংস করা সহজ, কিন্তু নির্মাণ করা কঠিন।