'ঠান্ডা হচ্ছে না কেন...?' 2AC কোচে বার বার 'কমপ্লেন' করছিলেন যাত্রীরা! কেসটা কী? এসি 'ডাক্ট' খুলতেই যা ঘটল, মুহূর্তে পায়ের তলা থেকে মাটি সরল টেকনিশিয়ানের!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Indian Railways: অন্যান্য দিনের মতোই সেদিনও লখনউ-বারাউনি এক্সপ্রেস ছুটছিল হাই স্পিডে। বেশ খানিকক্ষণ ধরেই কোচটিতে এসিতে পর্যাপ্ত শীতলতা পাওয়া যাচ্ছে না অভিযোগ উঠছিল যাত্রীদের মধ্যে। ঠান্ডা হচ্ছে না, ঠান্ডা হচ্ছে না, বার বার বলছিলেন যাত্রীরা।
advertisement
1/13

ট্রেন যাত্রা তখনই আরও আরামদায়ক ও মজাদার হয়ে ওঠে যখন আপনার হাতে থাকে কনফার্ম টিকিট। আর সেই টিকিট যদি এসি বা স্লিপার কোচের হয়, তাহলে তো সোনায় সোহাগা।
advertisement
2/13
এই গরমে ট্রেনে উঠে বসে পড়লেই হল। আরাম করে পৌঁছে যাওয়া যায় গন্তব্যে। দীর্ঘ যাত্রার ক্লান্তিও আপনাকে ছুঁতে পারবে না যদি 3AC বা 2AC কোচে যাত্রা করার সুযোগ হয়।
advertisement
3/13
ট্রেনের দুলুনি তেমন বোঝা যায় না এসি কামরায়, চাদর, কম্বল টেনে আরামে ঘুমিয়ে বেশ রাত কাটিয়ে দেওয়া যায় আর দিনের ক্ষেত্রেও মালুম হয় না গরমের গুঁতো। ঠিক এই জন্যেই ট্রেনের এসি সিট বুকিংয়ের চেষ্টার কসুর করেন না যাত্রীরা।
advertisement
4/13
কিন্তু সবসময় তো একরকম হয় না অভিজ্ঞতা। অনেক সময় এই এসির ঠান্ডা নিয়েও হয় সমস্যা।কখনও এসি এতো স্ট্রং হয়ে যায় যে কম্বলের তলাতেও কাঁপুনি ধরে, আবার কখনও এসি মনে হয় যেন কাজই করছে না ঠিক মতো।
advertisement
5/13
অন্যান্য দিনের মতোই সেদিনও লখনউ-বারাউনি এক্সপ্রেস ছুটছিল হাই স্পিডে। বেশ খানিকক্ষণ ধরেই কোচটিতে এসিতে পর্যাপ্ত শীতলতা পাওয়া যাচ্ছে না অভিযোগ উঠছিল যাত্রীদের মধ্যে। ঠান্ডা হচ্ছে না, ঠান্ডা হচ্ছে না, বার বার বলছিলেন যাত্রীরা।
advertisement
6/13
শেষমেশ ২এসি কোচের (এ-২) ৪০ নম্বর সিটের যাত্রী বিপিন কুমার ট্রেনে পর্যাপ্ত কুলিং না থাকার অভিযোগ করেন টিটিই-র কাছে। এরপরেই খবর যায় কারিগরি কর্মী অর্থাৎ টেকনিশিয়ানদের কাছে।
advertisement
7/13
পরে বুধওয়াল স্টেশনে ট্রেন পৌঁছলে ট্রেনে উঠে পরীক্ষা শুরু করেন টেকনিশিয়ান রেল স্টাফরা। এইসময় ঘটে ভয়ঙ্কর কাণ্ড। যেই মাত্র পরীক্ষা করার জন্য তাঁরা এসি ডাক্টটি খোলেন, তখনই তাঁদের চোখে পরে এসির মধ্যে কাগজে মোড়ানো কিছু বোতল।
advertisement
8/13
সেই কাগজের র্যাপার খুলতেই যা দেখা গেল তা দেখে তাজ্জব হয়ে গেলেন রেলকর্মী থেকে টেকনিশিয়ানরা! পুরু কাগজের প্যাকেজিংয়ের মধ্যে ভর্তি অফিসার্স চয়েস ব্র্যান্ডের মদের বোতল!
advertisement
9/13
এসি কোচের এসি ডাক্টের ভিতর থেকে এভাবেই একের পর এক যা বেরিয়ে পড়ল তা দেখে কার্যত ঘাম শুরু হয়ে যায় টেকনিশিয়ানদের। রেল সূত্রে খবর, অবৈধ মদের একটি গোটা চালান লুকানো ছিল ট্রেনের এসি কামরার ওই ডাক্টে।
advertisement
10/13
লখনউ-বারাউনি এক্সপ্রেসে যা ঘটল, স্বভাবতই রেলের টেকনিশিয়ান এসি ডাক্টটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে গোটা ট্রেনের সব যাত্রীদের চোখ উঠে গেল কপালে। মুহূর্তে সকলেই হতবাক। এমন কাণ্ড কেউ কল্পনাও করতে পারছিলেন না!
advertisement
11/13
পরে, পুরো কোচটি তল্লাশি করে মোট ১৫০ টিরও বেশি মদের বোতল বাজেয়াপ্ত করা হয়। মজার বিষয় হল, এই ট্রেনে এর আগেও মদ পাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, তবে লখনউ স্টেশনে এই প্রথম এমন ঘটনা ধরা পড়ে।
advertisement
12/13
এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। বর্তমানে আরপিএফ এবং স্থানীয় পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এত বিপুল পরিমাণে মদের বোতল ট্রেনে কে এনেছিল এবং মজুত করেছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
advertisement
13/13
আরপিএফ-এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, "এই ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুতর। এই মদ বিহারে পাচার করা হচ্ছিল বলেই প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে। অথচ বিহারে মদ নিষিদ্ধ। মে মাসেও একই ট্রেনে প্রচুর পরিমাণে মদ পাওয়া গিয়েছিল। সেই সময় ৭০০ ক্রেট মদ পাওয়া গিয়েছিল এই ট্রেনেই। সেই সময় ট্রেনের জেনারেটর পাওয়ার ক্রুর সদস্যকে এই অভিযোগে আটক করা হয়। বার বার ট্রেনের মাধ্যমে এমন পাচার রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে রেল কর্তৃপক্ষকে।