'আমি তিন রাত ঘুমায়নি...', ভোর ৫টায় বন্দে ভারত ট্রেনে চড়লেন যাত্রী, পরক্ষণেই শুরু হল চরম 'খেলা', কাঁপতে শুরু করল গোটা 'কোচ'!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Indian Railways: রেল যাত্রীরা এই ট্রেনের টিকিট হাতে পেলে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতোই আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন। কিন্তু কেমন হবে যদি এই ট্রেনের যাত্রাই দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠে কারও কাছে? ঠিক সেরকমই একটি ঘটনা সম্প্রতি তুমুল ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়!
advertisement
1/13

বন্দে ভারত ট্রেন নিশ্চিত ভাবে এই মুহূর্তে দেশের সেরা ট্রেনগুলির মধ্যে সবার আগে জায়গা করে নিয়েছে। জনপ্রিয়তা থেকে অত্যাধুনিক ফিচারস, সবদিক থেকেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কদরই আলাদা।
advertisement
2/13
রেল যাত্রীরা এই ট্রেনের টিকিট হাতে পেলে হাতে চাঁদ পাওয়ার মতোই আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন। কিন্তু কেমন হবে যদি এই ট্রেনের যাত্রাই দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠে কারও কাছে? ঠিক সেরকমই একটি ঘটনা সম্প্রতি তুমুল ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়!
advertisement
3/13
হাইফাই বন্দে ভারত ট্রেনে সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল ওই যাত্রীর সঙ্গে? জানলে শিউরে উঠবেন আপনি। গোটা ঘটনা শুনলে আপনারও মায়া হবে এই যাত্রীর কথা ভেবে, নিশ্চিত!
advertisement
4/13
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়েই বিশাখাপত্তনম থেকে সেকেন্দ্রাবাদের দিকে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। ভোর পাঁচটায় নির্ধারিত সময় বিশাখাপত্তনম থেকে ট্রেনে চড়েন তিনি। কিন্তু তারপর তার জীবনে দিনের আলোর পরিবর্তে রাতের অন্ধকার নেমে আসে যেন এক মুহূর্তেই।
advertisement
5/13
ব্যক্তি একটি বন্দে ভারত ট্রেনের ছবি শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে লেখেন "আমি বর্তমানে বন্দে ভারত ২০৮৩৩ ট্রেনে আছি। এই ট্রেনটি বিশাখাপত্তনম এবং সেকেন্দ্রাবাদের মধ্যে চলছে।"
advertisement
6/13
তাঁর ভাইরাল পোস্টটিতে তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, তিনি গত তিন রাত ধরে ঘুমাননি এবং ঐদিন ভোর ৫:৩০ টায় ট্রেনে উঠেছিলেন। কিন্তু তিনি ট্রেনে উঠে ঘুমোনোর তোড়জোড় করতেই এমন কিছু শুরু হয়ে যায় যে গোটা কোচ যেন থরথর করে কাঁপতে থাকে।
advertisement
7/13
যাত্রী তাঁর পোস্টে ভয়ঙ্কর অসহায় অবস্থার কথা স্বীকার করে জানান, "হঠাৎ একদল ছোট বাচ্চা গোটা কোচের চারপাশে দৌড়াদৌড়ি করতে শুরু করে দেয়। শুধু তাই নয় ভয়ানক জোরে চিৎকার করছিল ওই শিশুরা। তাঁরা শুধু আমাকেই নয়, প্রতিটি যাত্রীকে বিরক্ত করছিল ওরা।"
advertisement
8/13
রেডিট ব্যবহারকারী ওই ব্যক্তি তাঁর পোস্টে প্রশ্ন তোলেন "কেন বাচ্চাদের বাবা-মারা এই ভাবে বাচ্চাদের প্রতিটি কাজকেই 'কিউট' মনে করেন জানি না। যদি এই কাজ এতটাই কিউট হয়, তাহলে বাড়িতেই এইসব করুন না কেন, বাইরের আর পাঁচজন যাত্রীকে বিরক্ত করা বন্ধ করুন। ওদের দৌড়াদৌড়ি সারা কোচকে কাঁপিয়ে দিচ্ছে, আর ঠিক ততটাই জোরে চিৎকার করছে ওরা।"
advertisement
9/13
বস্তুত, শিশুদের নিয়ন্ত্রণ করা মানে তাদের তিরস্কার করা নয়, বরং ভালো মূল্যবোধ গড়ে তোলা। কারণ মাঝে মাঝে, পাবলিক প্লেসে শিশুদের আচরণ বাবা-মায়েদের জন্য রীতিমতো লজ্জার হয়ে বসে। সেই আচরণ এমনকি তাঁদের লালন-পালন নিয়েও প্রশ্ন ওঠাতে বাধ্য।
advertisement
10/13
তাঁর পোস্টে বন্দে ভারতের ওই প্যাসেঞ্জার লেখেন, "মা এবং বাবারা যদি আপনারা এটা দেখছেন, তাহলে দয়া করে নিজেদের বাচ্চাদের নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করুন। এই আচরণ শুধু অবিশ্বাস্যরকম বিরক্তিকরই নয়, বরং বিপজ্জনকও।"
advertisement
11/13
তাঁর ব্যাখ্যায় ওই প্যাসেঞ্জার লেখেন, বাচ্চারা যে ভাবে চলন্ত ট্রেনে এদিক-ওদিক দৌড়াচ্ছে তাতে যে কোনও মুহূর্তে তাদের মাথায় আঘাত লাগতে পারে। আমি এখনও এই ট্রেনে আছি, আর বাচ্চারাও এখনও একইভাবে তারস্বরে চিৎকার করে চলেছে। দয়া করে, অন্যদের জন্য হলেও, অন্তত নিজেদের বাচ্চাদের দিকে মনোযোগ দিন।
advertisement
12/13
রেডডিট পেজ r/indianrailways-এ, @PersonalConfusion699 নামে একজন ব্যবহারকারী এই পোস্টটি দিয়ে লিখেছেন, "জানতে চাই, কেন বাবা-মায়ের পক্ষে তাদের খিটখিটে সন্তানদের নিয়ন্ত্রণ করা এত কঠিন?" এটি ইতিমধ্যেই ৮৫০ টিরও বেশি আপভোট এবং শত শত মন্তব্য পেয়েছে।
advertisement
13/13
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ভ্রমণকারী শিশুদের সমস্যার বিষয়ে এই পোস্টে ব্যবহারকারীরা ব্যাপক হারে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। কেউ কেউ অভিভাবকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, আবার কেউ কেউ মূল্যবোধ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "আসলে বাচ্চারা অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে কারণ তাদের বাবা-মায়েরা তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করেন না।"