Indian Railways: বাংলাদেশের একেবারে ঘাড়ের কাছে পৌঁছে গেল ভারতীয় রেল... ৮০৭১ কোটি টাকার ‘উপহার’ মোদির
- Published by:Satabdi Adhikary
- Reported by:ABIR GHOSHAL
Last Updated:
আজ এই রেল পথের যাত্রীবাহী পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এই রেল পরিকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। একাধিক সেতু ও সুড়ঙ্গর মধ্যে দিয়ে ছুটবে যাত্রিবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন। এই রেল পথের গুরুত্ব শুধু যাত্রী পরিবহণ করে নয়। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও এই রেল পথের অসীম গুরুত্ব আছে। সব মিলিয়ে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ভৈরবী-সাইরাং রেল প্রকল্প। উৎসবের মরসুমে অনেকেই আছেন যারা উত্তর পূর্ব ভারতে বেড়াতে যেতে আগ্রহী। তাদের জন্য এই ট্রেন সুবিধা করে দেবে।
advertisement
1/9

মিজোরামের জনগণের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হবে এবার। ভৈরবী-সাইরাং নতুন লাইন রেল প্রকল্পটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে রেল সংযোগ মজবুত করার দিকে একটি বড় পদক্ষেপ। এই ঐতিহাসিক প্রকল্পটি মিজোরামের রাজধানীকে প্রথমবারের মতো সরাসরি রেল যোগাযোগের সুযোগ প্রদান করবে, যার ফলে রাজ্যটি জাতীয় রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে জুড়ে গেল৷
advertisement
2/9
ফলে ব্যবসা বৃদ্ধি হবে, পর্যটকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাবে এবং আর্থ-সামাজিক বিকাশের জন্য নতুন পথ উন্মোচিত হবে। আনুমানিক ৮০৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ৫১.৩৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ভৈরবী-সাইরাং নতুন লাইন রেল প্রকল্পটি ভারতীয় রেলওয়ের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং বিস্ময় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
advertisement
3/9
প্রকল্পটিতে ৪৮টি টানেল, ৫৫টি মেজর ব্রিজ এবং ৮৭টি মাইনর ব্রিজ রয়েছে। প্রকল্পটিতে মোট ১২,৮৫৩ মিটার দৈর্ঘ্যের টানেল রয়েছে, যার মধ্যে দীর্ঘতম টানেল (টানেল নং ৩) প্রায় ২ কিলোমিটার বিস্তৃত। ব্রিজ নং. ১৯৬-এর উচ্চতা ১১৪ মিটার যা কুতুব মিনারের চেয়ে ৪২ মিটার অধিক।
advertisement
4/9
এই প্রকল্পে ৫টি রোড ওভার ব্রিজ এবং ৬টি রোড আন্ডার ব্রিজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই নতুন লাইন প্রকল্পে চারটি নতুন স্টেশন যথা হরতকী, কাউনপুই, মুয়ালখাং এবং সাইরাং-এর নির্মাণও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অত্যন্ত বিপদজনক ভূখণ্ড সত্ত্বেও, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে আইজল পর্যন্ত রেল যোগাযোগ সম্প্রসারণে উল্লেখযোগ্য কাজ সম্পন্ন করেছে, এবং দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রকল্পটিকে বাস্তবিক রূপ দেওয়ার জন্য উল্লেখযোগ্য ভৌগোলিক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্ত রকম বাধা অতিক্রম করেছে।
advertisement
5/9
রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) সতীশ কুমার আইজল সফর করেছেন বারবার। তিনি মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী পু লালদুহোমার সঙ্গে দেখা করেন এবং ভৈরবী-সাইরং প্রকল্পের পাশাপাশি রাজ্যে রেলওয়ে পরিকাঠামো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে অন্য কৌশলগত উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রান্তের সাথে রেল যোগাযোগ চালু হচ্ছে। আগামীদিনে আরও বেশি সংখ্যক ট্রেন চলবে সাইরাং থেকে।
advertisement
6/9
কলকাতা থেকে এবার এক ট্রেনেই আইজল। আজকেই সাইরাং অবধি রেল চলাচলের সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ তার রেল প্রকল্প উদ্বোধন করার কথা। ভৈরবী থেকে সাইরাং অবধি ছুটবে এবার যাত্রীবাহী ট্রেন। আট থেকে নয় ঘণ্টার রাস্তা এবার মাত্র দেড় ঘণ্টাতেই যাতায়াত সম্ভব হবে৷ এরই মধ্যে কলকাতা থেকে সাইরাং এবার সরাসরি ট্রেন চালু হতে চলেছে। ভারতীয় রেল জানিয়েছে ১৩১২৫/১৩১২৬ কলকাতা-সাইরাং-কলকাতা এক্সপ্রেস চলবে সপ্তাহে তিন দিন করে উভয় প্রান্ত থেকে। ১৮ ঘণ্টায় এই ট্রেন যাত্রা সম্পূর্ণ করবে।
advertisement
7/9
এই ট্রেন কলকাতা স্টেশন থেকে ছাড়বে শনিবার, মঙ্গলবার ও বুধবার। সাইরাং থেকে এই ট্রেন ছাড়বে সোমবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার।নবনির্মিত নসিপুর রেল ব্রিজ দিয়ে যাবে এই ট্রেন। ট্রেন থামবে নৈহাটি, কৃষ্ণনগর সিটি, বহরমপুর কোর্ট, মুর্শিদাবাদ, আজিমগঞ্জ, জঙ্গিপুর রোড, নিউ ফারাক্কা, মালদা টাউন, কিষাণগঞ্জ, নিউ জলপাইগুড়ি, নিউ কোচবিহার, তুফানগঞ্জ, গোলকগঞ্জ, গৌরিপুর, বিলাসিপাড়া, অভয়াপুরী, গোয়ালপাড়া টাউন, কামাক্ষ্যা, গুয়াহাটি, হোজাই, নিউ হাফলং, বদরপুর, হাইলাকান্দি, ভৈরবী।
advertisement
8/9
ক্যাটারিং সার্ভিস দেওয়া হবে অর্থাৎ খাবার নেওয়া হবে মালদা টাউন, নিউ জলপাইগুড়ি ও গুয়াহাটি থেকে। ট্রেনে জল ভরা হবে মালদা টাউন, নিউ জলপাইগুড়ি, নিউ কোচবিহার, গুয়াহাটি ও বদরপুরে। ২২ কোচের এই ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যেতে পারে দুর্গাপুজোর আগেই। যাত্রী নিরাপত্তার কথা ভেবে এল এইচ বি কোচ চালানো হবে।
advertisement
9/9
আজ এই রেল পথের যাত্রীবাহী পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এই রেল পরিকাঠামো প্রস্তুত করা হয়েছে। একাধিক সেতু ও সুড়ঙ্গর মধ্যে দিয়ে ছুটবে যাত্রিবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন। এই রেল পথের গুরুত্ব শুধু যাত্রী পরিবহণ করে নয়। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও এই রেল পথের অসীম গুরুত্ব আছে। সব মিলিয়ে ভারতীয় রেল নেটওয়ার্কে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে ভৈরবী-সাইরাং রেল প্রকল্প। উৎসবের মরসুমে অনেকেই আছেন যারা উত্তর পূর্ব ভারতে বেড়াতে যেতে আগ্রহী। তাদের জন্য এই ট্রেন সুবিধা করে দেবে।