India: এই মহিলার কোনও জাতি, ধর্ম নেই, অথচ তিনি ভারতীয়! কেন জানেন? আপনিও চান এমন?
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
India: স্নেহা যা করতে চেয়েছেন, করেওছেন তা গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে। কিন্তু হয়নি। কেন হয়নি? কীই-বা এমন করেছেন তিনি?
advertisement
1/6

ইনি স্নেহা পার্থিবরাজ। বয়স পঁয়ত্রিশ। পেশায় আইনজীবী এই ভদ্রমহিলার বাড়ি তামিলনাড়ুর তিরুপাত্তুর। ইনি এর মধ্যেই ব্যতিক্রমী এক কাণ্ড ঘটিয়েছেন। কাণ্ড বললেও অবশ্য কম বলা হবে,বলা উচিত বিপ্লব। হ্যাঁ, নিঃশব্দ বিপ্লবই ঘটিয়েছেন ইনি। তাও আবার ভারতের মতো ধর্ম ও বর্ণে শতবিভক্ত একটি দেশে।
advertisement
2/6
স্নেহা যা করতে চেয়েছেন, করেওছেন তা গোটা বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে। কিন্তু হয়নি। কেন হয়নি? কীই-বা এমন করেছেন তিনি? ইনিই ভারতের প্রথম মহিলা যাঁর কোনো ধর্ম নেই এবং বর্ণও নেই। এই স্বীকৃতি তিনি আদায় করেছেন দীর্ঘ লড়াইয়ের পর খোদ তামিলনাড়ু সরকারের কাছ থেকে।
advertisement
3/6
স্কুল জীবন থেকেই তিনি বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রে ধর্ম ও বর্ণের ঘরটা ফাঁকা রাখতেন তিনি। পরবর্তীকালে ২০১০ সাল নাগাদ তিনি আইনি লড়াই শুরু করেন।
advertisement
4/6
পাশে পেয়ে যান তাঁর স্বামী পার্থিবরাজকেও। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মেলে স্বীকৃতিও। স্বয়ং তামিলনাড়ু সরকার গত ফেব্রুয়ারিতেই স্নেহা পার্থিবরাজকে সনদ পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়, এবার থেকে স্নেহা নিজেকে ধর্মহীন এবং বর্ণহীন মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে।
advertisement
5/6
সরকার একই সঙ্গে জানিয়ে দেয়,এখন থেকে স্নেহার একমাত্র পরিচয়- তিনি ভারতীয়। স্নেহা পার্থিব, পেশায় আইনজীবী। স্নেহার স্বামী পার্থিব রাজা একজন লেখক। নিজের সংসার সামলে রোজ দশটা-পাঁচটার ডিউটি তামিলনাড়ুর কোর্ট, ২০১০ সালের আগে পর্যন্ত এই ছিল স্নেহার রোজনামচা। কিন্তু ২০১০ সালেই এক অভূতপূর্ব কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন এই আইনজীবী।
advertisement
6/6
সেই বছরই সরকারের কাছে স্নেহা আবেদন জানান তাঁকে সম্পূর্ণভাবে জাতি-ধর্মহীন নাগরিক ঘোষণা করার জন্য। যদিও তার বহু পূর্বেই লড়াইয়ের বীজ বপন হয়ে গেছে স্নেহার অন্তরে। সেই লড়াইয়ের অন্যতম শরিক ছিলেন তার মা-বাবাও।