চিনের মাঠে বড় প্লেয়ার! ভারতের 'ব্রহ্মোস' মিসাইলের প্রথম ক্রেতা কে জানেন? জোরদার নতুন সমীকরণ
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
সম্পর্ক দ্রুত গভীর হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বেড়েছে। এই সম্পর্ক কতটা মজবুত, তা বোঝা যায় একথা থেকে যে, ভারতের তৈরি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল প্রথম যে দেশ কিনেছিল, তা হল এই দেশ!
advertisement
1/12

ভারতের সঙ্গে ফিলিপিন্সের সম্পর্ক বহু দশকের পুরনো। এবার সেই সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে চার দিনের সফরে দিল্লি এসেছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। ভারত ও ফিলিপিন্স—দুই দেশই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের বড় দুই গণতন্ত্র।
advertisement
2/12
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে ফিলিপিন্স ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ রয়েছে ফিলিপিন্সের। চিন পুরো দক্ষিণ চিন সাগরকে তার নিজস্ব অঞ্চল বলে দাবি করে থাকে—যেমন তার ‘ব্যাকইয়ার্ড’।
advertisement
3/12
সেই দাবির বিরোধিতায় ফিলিপিন্সকে বরাবরই সমর্থন জানিয়ে এসেছে ভারত। এমনকি ভারত-ফিলিপিন্স নৌবাহিনী দক্ষিণ চিন সাগরে যৌথ সামরিক মহড়াও করছে, যা দুই দেশের পারস্পরিক আস্থার প্রতিচ্ছবি।
advertisement
4/12
গত কয়েক বছরে ভারত ও ফিলিপিন্স শুধু প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত সহযোগিতা বাড়ায়নি, বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমুদ্র নিরাপত্তার মতো নানা ক্ষেত্রেও নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
advertisement
5/12
ভারতের মানিলা দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে চার জন ফিলিপিন্স প্রেসিডেন্ট ভারত সফর করেছেন—১৯৭৬ সালে ফার্দিনান্দ মার্কোস (সিনিয়র), ১৯৯৭-এ ফিদেল রামোস, ২০০৭-এ গ্লোরিয়া ম্যাকাপাগাল আররোয়ো এবং ২০১৮-তে রড্রিগো দুতের্তে।
advertisement
6/12
এবার এলেন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। ভারতের পক্ষে ইন্দিরা গান্ধি (১৯৮১), রাষ্ট্রপতি আর. ভেঙ্কটরামন (১৯৯১), এপিজে আব্দুল কালাম (২০০৬), মনমোহন সিং (২০০৭), নরেন্দ্র মোদী (২০১৭) এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (২০১৯) ফিলিপিন্স সফর করেছেন।
advertisement
7/12
বাণিজ্যিক সম্পর্কও মজবুত হচ্ছে। ফিলিপিন্স ভারতের 'অ্যাক্ট ইস্ট' নীতির অন্যতম স্তম্ভ। ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে। তথ্যপ্রযুক্তি, ফার্মাসিউটিক্যাল, অটোমোবাইল ও কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্ভাবনা বেড়েছে।
advertisement
8/12
একাধিক ভারতীয় সংস্থা ফিলিপিন্সে বিনিয়োগ করছে, ম্যানিলাও ভারতীয় বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যখাতেও সহযোগিতা বাড়ানোর চুক্তি হয়েছে।
advertisement
9/12
শুধু তাই নয়, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষা ক্ষেত্রেও ভারত-ফিলিপিন্সের সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে। দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ বেড়েছে। ফিলিপিন্সে চিকিৎসাশাস্ত্রে পড়াশোনার জন্য বহু ভারতীয় ছাত্র যাচ্ছে। ভারতীয় দূতাবাস ‘যোগ দিবস’-এর মতো নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করছে।
advertisement
10/12
২০২৩ সালে ভারত ও ফিলিপিন্স তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে 'স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ'-এর স্তরে নিয়ে যাওয়ার আলোচনা করে। আগামী কয়েক বছরে তা আনুষ্ঠানিক রূপ পেতে পারে। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থের কারণে বহুপাক্ষিক মঞ্চেও একযোগে কাজ করছে দিল্লি ও ম্যানিলা। ঐতিহ্যগত সহযোগিতার গণ্ডি ছাড়িয়ে ভারত-ফিলিপিন্স সম্পর্ক এখন প্রতিরক্ষা, কৌশল, অর্থনীতি এবং সংস্কৃতির মতো বহু ক্ষেত্রে গভীরতা পাচ্ছে।
advertisement
11/12
পরিবর্তিত বৈশ্বিক সমীকরণের মাঝে, এই অংশীদারিত্ব শুধু আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যই নয়, ভারতের পূর্বমুখী নীতি এবং ফিলিপিন্সের বৈদেশিক নীতির জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
advertisement
12/12
বর্তমানে ভারত-ফিলিপিন্সের সম্পর্ক দ্রুত গভীর হচ্ছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও সহযোগিতা বেড়েছে। এই সম্পর্ক কতটা মজবুত, তা বোঝা যায় একথা থেকে যে, ভারতের তৈরি ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল প্রথম যে দেশ কিনেছিল, তা হল ফিলিপিন্স। শুধু তাই নয়, আরও ভারতীয় প্রতিরক্ষা সামগ্রী কেনার আগ্রহ দেখিয়েছে ম্যানিলা।